ইসলামইসলামিক বিষয়াদি

বয়স কত হলে রোজা রাখতে হবে?

কত বছর বয়স হলে রোজা রাখা ফরজ?

 

ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের ও সক্ষম নারী ও পুরুষের নামাজ, রোজাসহ শরিয়তের সব হুকুম পালন করা ফরজ। রোজা ও নামাজ ফরজ হওয়ার জন্য বয়স মুখ্য নয়, কেউ বালেগ হলে বা সাবালকত্ব অর্জন করলে তার ওপর রোজা ও নামাজ ফরজ হয়ে যায়।

 

ইসলাম ধর্ম পরিপূর্ণ একটি জীবন ব্যবস্থা। তাই মহান আল্লাহতালার তরফ থেকে বান্দাদের জন্য এমন কোন কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়নি যেটা বান্দারা পালন করতে পারবে না। তাই ইসলামের ফরজ ইবাদতের ক্ষেত্রে নামাজ ও রোজার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি বয়স নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। রমজান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ নেই। তাই প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তি কে রমজান মাসের রোজা পালন করতে হবে। পবিত্র এই মাসে মহান আল্লাহতালা পৃথিবীর মানুষের জন্য পবিত্র কুরআন মাজীদ সৃষ্টি করেছিলেন যেখান থেকে পাওয়া যাবে ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য।

 

একজন মুসলমান কিভাবে তার জীবন পরিচালনা করবে বা একজন মুসলমানদের জীবনে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে কিভাবে তার সমস্যা সমাধান করবে সকল বিষয়ে সকল ধরনের তথ্য নির্ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে পবিত্র এই কুরআন মাজিদে। আর তাই আপনারা যারা কত বছর বয়সে রোজা ফরজ হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান এই বিষয়টি কুরআন মাজীদে সুস্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে।

 

রমজান মাসের রোজা পালন করার জন্য মহান আল্লাহ তালার তরফ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। আর সেই নির্দেশনা মোতাবেক একজন মুসলমান ব্যক্তিকে রোজা রাখতে হবে। আর রোজা রাখার প্রথম ও প্রধান শর্ত হল সেই মুসলমান ব্যক্তিকে অবশ্যই প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে কারণ ইসলাম ধর্মে সুস্পষ্ট ভাবে বলা রয়েছে প্রাপ্ত বয়স্ক ছাড়া একজন মুসলমান ব্যক্তির ওপর রমজান মাসের রোজা কোন ভাবে ফরজ হবে না।

 

ইসলামের শরিয়া মোতাবেক রমজান মাসের রোজা পালন করার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের বয়সসীমা হবে মুসলিম ছেলে-মেয়ের বয়স ৭ বছর হলেই রোজা রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া। যদি তারা রোজা পালনে সক্ষম হয়। তবে আলেমদের মধ্যে কেউ কেউ নামাজের সঙ্গে তুলনা করে ১০ বছর বয়সে রোজা না রাখলে দৈহিক শাস্তির কথা বলা হয়েছে এক হাদীসে। তবে ৭ বছর বয়স থেকে ছেলে-মেয়ে রোজা রাখলে তারা সাওয়াব পাবে। আর ভালো কাজে উৎসাহিত করার কারণে উৎসাহ দাতা বা বাবা-মাও সাওয়াব পাবেন।

 

সাত বছর বয়সে রোজা রাখা কঠিন হলেও রোজা রাখার চর্চা শুরু করতে হবে। অভিভাবকদের কর্তব্য হলো সন্তানের ছোটবেলা থেকে রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেওয়া। দরকার হলে সন্তানদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে শাসন করতে হবে এমনটা নির্দেশ রয়েছে ইসলামে। ছোটরা রোজা রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাদের রোজা রাখার জন্য উৎসাহ করার কথা বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিভাবকরা যেন তাদের সাহায্য করে। তাছাড়া নবীজি মাত্র নয় বছর বয়স থেকে ফরজ রোজা পালন করেছেন।

 

রোজা ইসলাম ধর্মের একটি বিশেষ ইবাদত তাই এখানে কোন মুসলমান নর নারী যদি সাবালক হয় তবে তার জন্য রোজা ফরজ হয়ে যাবে। ইসলামের শরিয়া মোতাবেক পুরুষের প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য দাড়ি গোঁফ গজানো এবং স্বপ্নদোষ হওয়ার মতো যদি অবস্থা হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে সে প্রাপ্ত বয়স্ক। আর নারীর প্রাপ্ত বয়স্কর বড় লক্ষণ হল মাসিক। যদি হরমোন জনিত কোন সমস্যার কারণে মাসিক হতে দেরি হয়। তবে প্রাপ্ত বয়স হলে রোজা তার জন্য ফরজ।

 

রোজা ও নামাজ ফরজ হওয়ার জন্য বয়স মুখ্য নয়, বালিগ হওয়া বা সাবালকত্ব অর্জন করাই রোজা ও নামাজ ফরজ হওয়ার বয়স। বিজ্ঞজনদের মতে, বাংলাদেশের আবহাওয়া ও পারিপার্শ্বিকতায় এটি সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে তের থেকে পনর বছর এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে এগার থেকে তের বছরে হয়ে থাকে। যদিও ক্ষেত্র বিশেষে নয় বছরেও হতে পারে।

 

মূলত শরীর স্বাস্থ্য বৃদ্ধি, বংশগত, খাদ্যাভ্যাসসহ বিভিন্ন প্রভাবক ও কিছু উদ্দীপক এ ক্ষেত্রে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। এ সময় ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়, আচরণে পার্থক্য ও নতুনত্ব আসে। নারী বা পুরুষ সত্তার বিকাশ, প্রকাশ ও স্বাতন্ত্র সৃষ্টি হয়। এ সময় থেকে রোজা পালন ও নামাজ আদায় করা ফরজ হয়।

 

নামাজ-রোজা ফরজ হলে তা পালন না করলে কাজা আদায় করতে হয়; রোজা রেখে ভাঙলে কাফফারাসহ আদায় করতে হয়। এ সময় থেকে তাদের সওয়াব ও গুনাহ লেখা শুরু হয়। অবহেলা করে রোজা না রাখা অনেক বড় গুনাহ।

 

মা-বাবা বা অভিভাবক যদি তাদের রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করেন, তাহলে তারাও গুনাহগার হবেন। তবে কেউ অসুস্থ বা অক্ষম হলে তার জন্য কাজা বা ফিদইয়ার বিধান রয়েছে। (ফাতওয়া শামী)

 

মূলত শরীর স্বাস্থ্য বৃদ্ধি, বংশগত, খাদ্যাভ্যাসসহ বিভিন্ন প্রভাবক ও কিছু উদ্দীপক এ ক্ষেত্রে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। এ সময় ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়, আচরণে পার্থক্য ও নতুনত্ব আসে। নারী বা পুরুষ সত্তার বিকাশ, প্রকাশ ও স্বাতন্ত্র সৃষ্টি হয়। এ সময় থেকে রোজা পালন ও নামাজ আদায় করা ফরজ হয়।

 

নামাজ-রোজা ফরজ হলে তা পালন না করলে কাজা আদায় করতে হয়; রোজা রেখে ভাঙলে কাফফারাসহ আদায় করতে হয়। এ সময় থেকে তাদের সওয়াব ও গুনাহ লেখা শুরু হয়। অবহেলা করে রোজা না রাখা অনেক বড় গুনাহ।

 

মা-বাবা বা অভিভাবক যদি তাদের রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করেন, তাহলে তারাও গুনাহগার হবেন। তবে কেউ অসুস্থ বা অক্ষম হলে তার জন্য কাজা বা ফিদইয়ার বিধান রয়েছে।

 

 

 

আরআই/এএল

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link