স্বাস্থ্য

কেনো আমরা এখন আর ঘি খাই না?

ঘি একটি অতি প্রয়োজনীয় দুগ্ধ জাতীয় পুষ্টিকর খাবার। আমরা এ যুগের মানুষ আজ ফাস্টফুড প্রভৃতি খাবারের অন্তরালে ঘি এর মতো সহজলভ্য দেশীয় পুষ্টিকর খাবারের ঐতিহ্য ভুলতে বসেছি। অথচ ঘি যে কতটা উপকারী তা জানলে অবাক হবেন। 

 

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে

 

ঘি একটি চর্বি যুক্ত খাবার হওয়ায় যারা ওজন বাড়াতে চান তারা এটি খেতে পারেন। এটি ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। 

 

ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়

 

এটি একটি কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার। তাই অনেকে মনে করেন এটি দেহে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিবে। কিন্তু আসলে তা নয়। এটি দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং উপকারী কোলেস্টেরল বাড়ায়। ফলে দেহের উপকার হয়। 

 

ক্ষত সারাতে

 

 এতে রয়েছে কনজুগেটেড লিনােলেক এসিড দেহের বিভিন্ন ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এজন্যই গর্ভবতী মায়েদের অপারেশনের পর এটি খাওয়ানাে হয়। 

 

হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় 

 

ঘিয়ে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি এসিড দেহে এনার্জি বা | শক্তি জোগায়। পাশাপাশি এতে থাকা বাইটারিক এসিড হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। এছাড়াও এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।

 

পজিটিভিটি বাড়ায়

 

প্রাচীনকাল থেকেই এটিকে একটি পজিটিভ ফুড বা খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি খেলে মানুষের মধ্যে পজিটিভিটি বাড়ে। পাশাপাশি এটি মনােযােগ বাড়াতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি এর দারুণ সুগন্ধ রাগ কমাতে কার্যকর। কারও যদি প্রচন্ড রাগ উঠে তাহলে তার নাকের সামনে ঘি ধরে দেখুন। এর দারুণ গন্ধে নিমেষেই রাগ কমে যাবে।

 

ত্বকের ঔজ্জ্বল্যতা বাড়ায় ও প্রদাহ কমায় 

 

ত্বকের ঔজ্জ্বল্যতা বাড়াতে এটি খুবই উপকারী একটি খাদ্য। ত্বকের সােরিয়াসিস কমাতে এটি সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ থেকে সুরক্ষা দেয়। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেন্টরি উপাদান ত্বককে মসৃণ ও কোমল করে। এছাড়াও চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এটি। ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন ঘি। রাতে শােয়ার আগে মুখে ঘি মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল হয়। পাশাপাশি ত্বক সুন্দর হয়।

 

অতিরিক্ত ঘি খাওয়ার অপকারিতা

 

  • অতিরিক্ত ঘি খেলে দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরােগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

 

  • এটি অতিরিক্ত খেলে দেহে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে৷ ফলে দেহের ওজন বেড়ে যায় এবং নানা রােগ দেখা দেয়। 

 

  • অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। বদ হজমও হতে পারে। ফলে পেট খারাপের মতাে নানা সমস্যা দেখা দেয়। 

 

  • এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও হতে পারে। পাশাপাশি

পেট ফাঁপা ও পেট ফুলেও যেতে পারে। 

 

  • এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের রােগীরা এটি খেলে সমস্যায় পড়তে পারেন। কারণ এটি একটি চর্বি যুক্ত খাবার। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতাে সমস্যা। আছে তারা এটি না খাওয়াই ভালাে।

 

  • এছাড়াও যাদের হাড়ের সমস্যা আছে তারা এটি বেশি খাওয়া উচিৎ নয়। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link