তিন বেলার খাবার | কি খাবেন, কি খাবেন না?
সুস্থ থাকতে চাইলে খাওয়া দাওয়ার বিকল্প নেই৷ আমরা সাধারণত তিনবেলা খাবার খাই। তবে ৩ বেলা কি কি ধরনের খাবার খাব তা সঠিকভাবে নির্বাচন করা খুবই জরুরি। তবেই সুস্থ থাকা যাবে। কথায় আছে, সকালে খাও রাজার মতো, দুপুরে খাও প্রজার মতো আর রাতে খাও ফকিরের মতো।
[ If you want to stay healthy, there is no alternative to eating We usually eat three meals a day. However, it is very important to choose the right type of food for 3 meals. Only then can you stay healthy. As the saying goes, eat like a king in the morning, eat like a commoner at noon and eat like a fakir at night.]
সকালে নির্বাচন করতে পারেন নিচের খাবারগুলো-
সকাল দিয়েই আমাদের দিন শুরু হয়। সারাদিন কর্মক্ষম থাকার জন্য দরকার শক্তি। তাই সকালে সবথেকে বেশি পুষ্টির খাবার খেতে হবে৷ অথচ আমরা তার উল্টো করি। সকালে হালকা খাবার খাই। সকালে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ছোলা এসব খেতে হবে। সাথে গ্রীন টি অথবা কফি।
এবার আসি দুপুরের খাবারে-
দুপুরে শাকসবজি, মাংস, মাছ দেড় কাপ ভাত এবং সাথে প্রচুর পানি পান করতে হবে। সাথে বিকালের দিক হালকা নাস্তা খেতে হবে।
রাতে নির্বাচন করতে পারেন নিচের খাবারগুলো-
রাতে আমাদের পরিশ্রম করতে হয় না। তাই রাতে ভারি খাবার খেলে সেগুলো হজম না হয়ে আমাদের শরীরে জমা হয়ে আমাদের শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই রাতে যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো।
এক বেলার খাবার : ২ টুকরো লাল আটার রুটি, সঙ্গে মিক্সড ভেজিটেবল (আলু ছাড়া) ও একটি ডিম অথবা মাছ অথবা দেশি মুরগির মাংস। এর সঙ্গে সালাদ থাকা জরুরি। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শর্করা, আমিষ, ফ্যাট, মিনারেলস, ভিটামিনস সব আছে।
স্যুপ : রুটির বদলে স্যুপও খাবেন, যা মিক্সড ভেজিটেবল হবে। এতে যদি ডিম বা মাংস দেয়া না থাকে তাহলে সঙ্গে সিদ্ধ ডিম খাবেন। সালাদ ও টক দই খাবারের লিস্টে রাখবেন। কারণ এসব খাবার সহজে হজম ও পরিপাকযোগ্য।
ওটমিল : যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা ওটমিল রাতের খাবারে খাবেন। কারণ এতে উচ্চ ফাইবার থাকার কারণে খাবার সহজে হজম হয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। রেসিপি ( সিদ্ধ ওটস, টকদই ও কাঠবাদাম)।
ভাত : যারা একেবারেই ভাত ছাড়া চলতে পারেন না, তারা ভাতের পরিমাণ এক কাপের বেশি খাবেন না। ভাতের সঙ্গে মিক্সড ভেজিটেবল ও সালাদ খাবেন বেশি করে। এর সঙ্গে খাবেন মাছ/মাংস/ডিম। তবে লাল মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
রাতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন সেগুলো হলো- অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার, লাল মাংস, কোল্ড ড্রিংকস, কার্বোনেটেড বেভারেজ, চিনি, অতিরিক্ত লবণ, বাইরের ভাজাপোড়া খাবার, বিরিয়ানি ইত্যাদি।
এসব স্বাস্থ্যকর পরামর্শ মেনে চললেই আপনি সুস্থ ও ফিট থাকবেন।