রক্তদান করার উপকারী দিক
রক্ত দানের উপকারিতা
স্বেচ্ছায় নিজের রক্ত অন্যকে দেওয়াই হল রক্তদান। রক্তদানে ক্ষতি হয় এমন ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে অনেকের। আসলে রক্তদানে ক্ষতি নেই। বরং এতে অন্যের জীবন বাঁচার মতাে উপকার যেমন হয়, তেমনি নিজেরও অনেক উপকার হয়। রক্তদান করতে হলে কমপক্ষে ১৮ বছর বয়সী হতে হয়। ১৮ বছর বয়সের নিচে কারও রক্ত দান করা উচিৎ নয়। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর রক্ত দান করা যায়। রক্তদানের যে সকল উপকারিতা রয়েছে। আসুন সেগুলাে জেনে নিই।
- নিয়মিত রক্ত দিলে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- বছরে কমপক্ষে তিন বার রক্ত দিলে দেহে নতুন লােহিত রক্তকণিকা উৎপাদন হয়। এতে করে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে এবং রক্তস্বল্পতা পূরণ হয় খুব দ্রুতই।।
- নিয়মিত রক্ত দিলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদরােগের ঝুঁকি কমে।
- রক্ত দিলে ক্যালরি খরচ হয়। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ওজন কমার ফলে বিভিন্ন রােগের ঝুঁকি কমে যায়।
- নিয়মিত রক্তদানে রােগ-প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত রক্ত দিন। এতে অন্যের পাশাপাশি নিজেরও উপকার।
- রক্তদান শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে সহজে রােগ হয় না বা শরীরের অবসাদ জমা হয় না। এক্ষেত্রে রক্তদান বেশ উপকারী।
রক্তদান করলে উপরিউক্ত উপকারসমূহ আপনি পাবেন। | এতে করে আপনার উপকার হবে।
নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। এছাড়াও রক্তদানে আরও যেসব উপকারীতা রয়েছে তা হলো-
- বছরে তিনবার রক্ত দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়। এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে। দ্রুত রক্ত স্বল্পতা পূরণ হয়।
- রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যায়, এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
- রক্ত দিলে যে ক্যালোরি খরচ হয়, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় কোনো রোগ আছে কি-না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
- এতে একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।