স্বাস্থ্য

কলা খাওয়া কি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

কলা খাওয়ার উপকারিতা কি? – What are the benefits of eating bananas? 

 

এনার্জি বাড়াতে কলার জুড়ি নেই। তাই খুব বেশি ওজন কমে গেলে বা শরীর দূর্বল হয়ে পড়লে চিকিৎসকরা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

 

এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড় শক্ত রাখে।

 

কলায় থাকে পেকটিন নামক একটি ফাইবার। যা কোষ্টকাঠিন্যের মতো সমস্যার দূরে রাখতে সাহায্য করে। 

 

বাচ্চাদের প্রথম সলিড খাওয়ানোর সময় অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান, যে কী ফল দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রেও কাজে আসতে পারে কলা। তবে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। 

 

পেট পরিস্কার রাখার পাশাপাশি হজমেও সাহায্য করে কলা। একটি কলায় থাকে ৩ গ্রাম ফাইবার। যা খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। 

 

ভি়টামিন-মিনারেলের মতো বহুগুণ সমৃদ্ধ কলায় রয়েছে ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও। benefits of eating banana 

ত্বকের উন্নতি

 

যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ এবং ‘দ্যা ক্যান্ডিডা’ বইয়ের লেখক লিসা রিচার্ড ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “একটি মাঝারি আকারের কলাতে দৈনিক চাহিদার ১৩ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ থাকে। যা খাবারের আকারের তুলায় যথেষ্ট।”

 

তার মতে, ‘ম্যাঙ্গানিজ গ্রহণ করা ত্বক উন্নত করতে সাহায্য করে। ম্যাঙ্গানিজ কোলাজেন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা তারুণ্য ধরে রাখে এবং উন্মুক্ত রেডিক্যাল থেকে হওয়া ত্বকের ক্ষতি ও বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।

 

মলাশয়ের সুস্থতা

 

নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টি পরামর্শক ও সুস্থতা-বিষয়ক ওয়েবসাইট ’দ্যা আনউইন্ডার’য়ের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জন ফকস ২০১৭ সালের এক পুষ্টি গবেষণার কথা ইঙ্গিত করে বলেন, “কলায় ‘প্রতিরোধী শ্বেতসার’ বলে কিছু আছে।

 

সাধারণত, শ্বেতসার শুনতে নেতিবাচক মনে হয়। তাই অনেকেই এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এটা প্রকৃতপক্ষে, ‘শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড’ উৎপাদনে সহায়তা করে বলে মনে করেন, তিনি। 

 

মলাশয়ের সুস্থতায় এই ‘শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড’ গুরুত্বপূর্ণ রাখে। তাই মলাশয়ের সুস্থতায় কলা খাওয়া উপকারী। 

READ MORE:  মানসিক রোগ থেকে বাঁচতে করণীয়

 

পেশির টান পড়া কমায়

 

জন ফকস বলেন, “কলাতে আছে ইলেক্ট্রোলাইট যা দেহকে আর্দ্র রাখে।”

 

দেহে খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও পেশির টান পড়া কমাতে কলা খাওয়া উপকারী।

 

লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে

 

নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘ইন্সটিটিউট অফ কালিনারি এডুকেশন’য়ের পুষ্টি বিভাগের পরিচালক সেলিন বিচম্যান ব্যাখ্যা করেছেন যে, “কলার পটাসিয়ামের মাত্রা সামগ্রিক খাদ্যতালিকাগত স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যদি অন্য খাবারের সঙ্গে লবণ বেশি খাওয়া হয়ে থাকে।”

 

“কলা পটাসিয়ামের ভালো উৎস, যা সোডিয়ামের নেতিবাচক প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হিসেবে কাজ করে।”

 

তিনি আরও বলেন, “ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম খাবার তালিকায় যোগ করা হৃদ স্বাস্থ্য ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।” 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *