হস্তমৈথুন করে জীবন নষ্ট করছেন না তো?
হস্তমৈথুন! অর্থাৎ নিজ হাত দ্বারা নিজে নিজের বীর্যপাত করা। বর্তমান সময়ে যুব সমাজ ধ্বংসের অন্যতম একটি মারাত্মক মহামারী ব্যাধির হচ্ছে হস্ত মৈথুন আর এই মহামারী ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ। ঘুনে ধরা মস্তিষ্কের অধিকারী কতিপয় যুবক যুবতীবিবাহের দ্বারা অবরুদ্ধ দেখে নিজেদের নিজ হাত দ্বারা হস্ত মৈথুন করে নিজে নিজের হাত দিয়ে বীর্যপাত করে স্বীয় যৌবনকে ধ্বংস করতে আজ দ্বিধা করছেনা। প্রথমে প্রথমে সে কাজ তৃপ্তিদায়ক মনে হয়, কিন্তু যখন চোখ খুলে যায়, তখন যে সে কাজ কই যে চলে যায় তাহ বলার ভাষা রাখে না।
আসুন আমরা আরও জানি.. কি তার ভয়াবহতা।
স্বভাবগত অভ্যাস দ্বারা তারা স্বাস্থ্যও ভেঙ্গে পড়ে নষ্ট হয়ে যায় কারণ এ কাজ এক বার করার পর বার বার পুনরায় সে কাজ করতে ইচ্ছে হয়। কয়েক বার সে কাজ করলে পুরুষাঙ্গে ফুলি চলে আসে এবং সে ও পুরুষ অঙ্গের নরম ও সূক্ষ রগসমূহ বার বার হাতে ঘর্ষণের ফলে ডিলে হয়ে যায় এবং পুরুষাঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। অবশেষে অবস্থা এ পর্যায়ে গিয়ে দাড়ায় যে, কোন নারীর প্রতি সামান্য কু-দৃষ্টিপাত করলে কিংবা কোন নারীকে জল্পনা কল্পনা করলে সাথে সাথে বীর্য বের হয়ে পড়ে। এমন কি কাপড়ের সাথে পুরুষাঙ্গ ঘর্ষণের ফলেও বীর্য বের হয়ে যায়। বীর্য সে রক্ত থেকে সৃষ্টি হয়, যা সমস্ত শরীরে খাদ্য পৌঁছানোর পর অবশিষ্ট থাকে। যখন প্রচুর পরিমাণে বীর্য নির্গিত হতে থাকে তখন রক্ত সমস্ত শরীরে কীভাবে খাদ্য পৌঁছাবে?
ফলশ্রুতি-তে শরীরের যাবতীয় কার্যক্রম লন্ডবন্ড হয়ে যায় সাথে হস্ত মৈথুন করলে অর্থাৎ নিজে নিজ হাত দ্বারা বীর্যপাত করলে এ কাজে ছাব্বিশ টি শারীরিক মারাত্মকভাবে ক্ষতি ও হয়! যেমন..
(১)মন দূর্বল হয়ে পড়ে
(২)পাকস্থলী যকৃত এবং হৃৎপৃন্ড নষ্ট হয়
(৩) দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পায়
(৪) কানে শু শু আওয়াজ অনুভূত হয়
(৫) সর্দা মেজাজ খিটখিটে থাকে
(৬) সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীর কাহিল হয়ে পড়ে
(৭) শরীরের জুড়ায় জুড়ায় ব্যথা অনুভূত হয়, এবং চোখে ঝাঁপসা দেখে
(৮) বীর্য পাতলা হয়ে যায় যার কারণে সর্বদা সামান্য সামান্য বীর্য নির্গত হতে থাকে। প্রস্রাবের নালীতে বীর্য জমে থাকে। যার ফলে দূরগন্ধের সৃষ্টি হয় ফলে প্রস্রাবের নালীতে ক্ষত হয়ে যায়। এবং ক্ষত স্থান থেকে রক্ত পুঁজ বের হয়।
(৯) প্রথম প্রথম প্রস্রাবের সময় সামান্য সামান্য জ্বালা যন্ত্রণা করে পরবর্তী প্রস্রাব সাথে পুঁজ বের হয় অতঃপর প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়
(১০) এমনকি গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন এমনি তিক্ত করে তোলে যার ফলে মানুষ মৃত্যু কে আহবান করতে থাকে
(১১) বীর্য পাতলা যাওয়ার কারণে কোন জল্পনা কল্পনা ব্যতীত প্রস্রাবের আগে বা পরে প্রস্রাবের সাথে বীর্য বের হতে থাকে একে প্রমেষ রোগ বলা হয় এবং নতুন নতুন কঠিন কঠিন রোগ বালাই সৃষ্টি হয় শরীরে
(১২) মেরুদন্ড দূর্বল হয়ে পড়ে
(১৩) পুরুষ অঙ্গ আকারে ছোট আঁকা বাঁকা হয় ও আগা মোটা গুড়া চিকন বা গুড়া মোটা আগা চিকন বিকল দূর্বল হয়ে যায়, যার কারণে বিয়ে করতে সাহস হয় না বা ভয় পায়, যার কারণে বিবাহের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।
(১৪) যদিও বিয়ে করে স্ত্রী সাথে মিলন করার ক্ষেত্রে সফল হয়না আর হলেও বীর্য পাতলা হবার কারণে সন্তান সন্ততি জন্ম হয়না ফলে নিঃসন্তান থেকে যায়
(১৫) কোমরে ব্যথা করে
(১৬) চেহেরা হলুদ বর্ণ ধারণ করে
(১৭) শরীর দিন দিন ক্ষীন যায় স্বাস্থ্যও ভেঙ্গে যায়
(১৮) মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে, এমনকি পাগল হয়ে যাবার ও কারণ হয়ে দাড়ায়