ছোট গল্পসাহিত্য

গল্প | কলেজের সিনিয়র আপুর ক্রাশ- পর্ব ১

পর্ব-১
কলেজের সিনিয়র আপুর ক্রাশ
লেখক-  রবিউল ইসলাম জিবলু
তাড়াহুড়া করে কলেজে ঢুকতে কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে গেলাম পড়ে। আমি উঠে কিছু বলতে যাবো এমন সময় গালে ধপাস করে একটা চর বসিয়ে দিলো। আর বলতে শুরু করলো মেয়ে মানুষ দেখলে মাথা ঠিক থাকে না। মেয়ে দেখলে ধাক্কা দিতে ইচ্ছে করে না। আজ তোর একদিন কি আমার একদিন আবারো চর বসিয়ে দিলো। আমি শুধু হা করে দেখতাছি।
 এতক্ষনে আমাদের পাশে কলেজের সবাই এসে দাড়িয়ে আছে।  আর মজা নিতাছে। আমি কিছু বলতে ও পারতাছি মনে মনে রাগ ও উঠতাছে দোষ না করে ও চর খাইতে হলো। মেয়ে টা সেখান থেকে চলে গেলো আমি আমার ক্লাস রুমের দিকে চলে গেলাম। ক্লাস রুমে গিয়ে দেখি এখনো স্যার আসেনি আর ক্লাসে সামনে কোন সিট ফাঁকা নাই তাই পিছনের সিটে একাই বসে পড়লাম। এমন সময় একটা ছেলে এসে আমার পাশে বসলো। 
ছেলে: হাই আমি পারভেজ।
আমি: রবিউল ইসলাম।
পারভেজ: তোমায় দেখালম সিমার সামনে মাঠের ভেতরে দাড়িয়ে থাকতে। কোন সমস্যা হয়ে ছিল কি। 
আমি: তেমন কিছু না। 
পারভেজ: কোন ভয় নেই আমায় বন্ধু মনে করে বলতে পারো।
আমি: আসলে বাসা থেকে আসতে লেট হয়ে গেছিলো তাই তাড়াহুড়া করে কলেজে ঢুকতে তার সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়।
তার পর পারভেজ কে সব কিছু খুলে বললাম। 
পারভেজ: এই ব্যাপার এটা তো ওর নিত্য দিনের রুটিন। কোন কিছু না হতেই চর বসিয়ে দেয়। আর তা ছাড়া বাবার ক্ষমতার জোরে এসব করে। কেউ ভয়ে কিছু বলতেও পারে না। আর সে এই কলেজের সভাপতির মেয়ে। কেউ কিছু বলতে গেলে সোজা টিসি দিয়ে বের করে দেয়।
আর তাছাড়া সে আমাদের সিনিয়র। আমরা তাকে সবাই ভয় করি। আর আজ তুমি কি এই কলেজে নতুন।  
আমি: হুম আগে রাজশাহীতে ছিলাম বাবার বদলী হওয়াতে ঢাকায় আশা আর এই কলেজে ভর্তি হওয়া।
পারভেজ : ও,,,,,,,,,,,,,। তো সাবধানে থেকো। আর একটা কথা আমরা কি বন্ধু হতে পারি।
আমি: অবশ্যই।  
পারভেজ: তাইলে আজ থেকে আমরা বন্ধু। 
কিছুক্ষন কথা বলার স্যার ক্লাসে আসে। আর ক্লাস নেওয়া শুরু করে। ক্লাস শেষ করে বাড়ি চলে গেলাম। তার পর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে  দিলাম একটা ঘুম। ঘুম ভাঙ্গলো বিকাল বেলা তাই বাহিরে গেলাম একটু ঘোরাঘুরি করতে।ঘোরাঘুরি করে সন্ধায় বাসায় আসলাম তার পর পড়তে বসলাম।পড়া শেষ করে খাইতে গেলাম খাওয়া শেষ করে সবাই মিলে একটু আড্ডা দিলাম। আড্ডা দিয়ে  আমি রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে কলেজের দিকে গেলাম। 
চলবে,,,,,,,,,,,
READ MORE:  এন্তনির ব্রাজিলের বস্তি থেকে উঠে আসার গল্প

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *