ইসলামিক বিষয়াদিইসলাম

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া কি পড়বো?

 ্আ্মার এক নানু ইন্তেকাল করেছেন। জানাজা পড়ে দাফন করে আসলাম। পথে আসতে আসতে মনে অনেক প্রশ্ন জাগল। আচ্ছা কবর জিয়ারতের ক্ষেত্রে আমাদের হুজুরা কেন রাসুল সাঃ অনুসরণ করেন না। কোন ব্যক্তিকে। কবরস্থ করার পর আমাদের দেশের হুজুরেরা সাধারণত সূরা ফাতিহা, এখলাস, ফালাক, নাস আর মাঝে মাঝে সূরা কাফিরুন পাঠ করতে বলে থাকেন। অথচ আল্লাহ্ সূরা ইয়াসিনের ৭০ নম্বর আয়াতে কুরআন কে উদ্দেশ্য করে বলেছে, এটা জীবিত। মানুষের জন্য। কিন্তু কবে, কি ভাবে এ পদ্ধতির প্রচলন শুরু হয়েছে তা আমার। জানা নেই, আমাদের দেশে যে ভাবে কবরস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া করা হয় তার সনদ কোন সহি হাদিসের গ্রন্থে আছে কি? নবী করিম(সঃ) যে ভাবে দোয়া করতেন তার একটি দুটি দোয়া | উল্লেখ করছি; (কবরস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া):: اللهم اغفر له وازحفه ، وعافه واعف عنه ، وأكرخ ژله ، ووغ مذځله ، واغسله بالماء والثلج والبرد، ونقه من الخطايا كما نقيت الثوب الأبيض من الدنس ، وأبدله دارا خيرا من داره ، وأهلا خيرة من أهله ، وتزوجا خيرا من وجه، وأدخله الجنة ، وأعذه من عذاب القبر وعذاب النار আল্লাহহু স্মাগ ফিরলাহু ওয়ারহামহু, ওয়া আফিহি, ওয়া ফু আনহু, ওয়া আকরিম নুযুলাহু, ওয়া ওয়াসসি মাদখালাহু, ওয়াগসিলহু বিল মায়ি ওয়াস সালজি ওয়াল বারাদি, ওয়া নাককিহি মিনাল খাতা ইয়া কামা ইউননাককাস সাওবুল আব ইয়াযু মিনাদদানাসি, ওয়াবদিলহু দারান খয়রন মিন দারিহি, ওয়া আহলান খাইরান মিন আহলিহি, ওয়া যাওজান খাইরান মিন যাওজিহি। ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আইজহু মিন আযাবিল কাবরি ওয়ামিন আযাবিন নার। (মুসলিম ২/৬৩৪) অনুবাদঃ হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুণ এবং তাকে দয়া করুণ, শান্তিতে রাখুন, তার থাকার স্থানটিকে মর্যাদাশীল করুণ, তার কবরকে প্রশস্থ করে দিন। বরফ ও তুষারের শুভ্রতা দিয়ে, তাকে গুনাহ থেকে এমন ভাবে পরিস্কার করে দাও সাদা কাপড় পরিস্কার হয় ময়লা থেকে, তাকে দুনিয়ার বাসস্থানের চেয়ে উত্তম বাসস্থান, পরিবার ও সঙ্গী দান করুন, হে মাবুদ, তাকে জান্নাতে। দাখিল করুন, তাকে কবর আর দোজখের আজাব থেকে রক্ষা করুণ।

 

সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! আহা কত সুন্দর দোয়াই না পড়তেন রাসুল্লাহ সাঃ। দোয়ার প্রতিটি শব্দ মাইয়াতের জন্য। আমি রাসুলে পাক সাঃ -এর এ মৃত ব্যক্তিকে এরূপ দোয়ার । কারনে হযরত আওফ বিন ইবন মালিক (রাঃ) বলেন, আমি | আকাঙ্ক্ষা করেছিলাম যে, যদি সেই মৃত ব্যক্তিটি আমি হতাম। রাসুল (সঃ) আরাে পাঠ করতেন;
السلام عليكم يا أهل القبور يغفر الله لنا ولكم ألثم سلفا وتخن بالأثر
আস সালামুয়ালাইকুম ইয়া আহ্বাল কুকুর ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আশারি অনুবাদঃ মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক। আমাদের অগ্রবর্তী ও পরবর্তীদের উপরে আল্লাহ রহম করুন! আল্লাহ চাহে তাে আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে। মিলিত হতে যাচ্ছি’।[মুসলিম, মিশকাত হা, ১৭৬৭]
সহি হাদিসগুলােতে এ রকম সুন্দর সুন্দর অনেক দোয়া আছে। | আমরা কবরস্থানে যাই মাইয়াতের (মৃত ব্যক্তি) জন্য দোয়া। করতে আর সেখানে মৃত ব্যক্তির কল্যাণের চাইতে অজান্তে নিজের জন্যই বেশী দোয়া করি। যেমনঃ ‘রাব্বানা আতিনা ফিদুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদের জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। -সূরা বাকারা : ২০১ পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়। রাসূলুল্লাহ সাঃ এ দোয়াটি সবচেয়ে বেশি করতেন। তবে এ দোয়াটি তাে নিজের জন্য মাইয়াতের জন্য নয়। বিষয় গুলাে আমাদের ভাবা উচিত আর আমাদের প্রিয়জন যারা আমাদের ছেড়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তাদের জন্য রাসুল সাঃ যেভাবে দোয়া করতেন আমরাও চেষ্টা করি সে পথ অনুসরণ করতে কারন আল্লাহ্ বলছেন; সূরা হাসর; আয়াত-৭ অমা য় আ-তা-কুমু রসূলু ফাখুনূহু অমা-নাহা-কুম্ আহ্ ফান্তাহূ অত্তাকুল্লা-হ্……….] অনুবাদঃ তােমাদের রাসুল তােমাদের যা দেয় গ্রহন কর, আর যা থেকে বিরত থাকে বিরত থাক………। আল্লাহ আমাদের মাফ করুন আমাদের সবাইকে রাসুল (সঃ)কে অনুসরণ করার সামর্থ্য দান করেন। আমীন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link