বিজ্ঞান জিজ্ঞাসা

কুকুর কেন কাঁদে রাতের বেলা?

কুকুর আমাদের মানবজাতির জন্য সবথেকে বিশ্বস্ত একটি প্রাণী। আদিম কাল থেকে কুকুর মানুষের বাড়ি পাহারা দেয়া থেকে শুরু করে গবাদি পশুকে হিংস্র প্রাণী নেকড়ে, শেয়াল ইত্যাদি থেকে রক্ষণাবেক্ষণের মতো কাজ করে আসছে। বর্তমানেও অনেক বাসায় কুকুর বাড়ি পাহাড়া দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কুকুর ব্যবহার করে বোম খুঁজে বের করে। অপরাধীদের কাপড়ের কোনো অংশ শুকে কুকুর সহজেই সেই অপরাধীকে খুঁজে বের করতে পারে। কুকুর অনেকেই পুষে থাকে বাড়িতে। যে সব কুকুর পোষা হয় না, সেসব কুকুর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় আর ডাস্টবিন থেকে খাবার খায়। এর ফলে পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। কুকুর সত্যিই আমাদের জন্য খুব উপকারী প্রাণী। 

কুকুররা অনেক সময় রাতের বেলা প্রবল স্বরে ডেকে ওঠে। তাদের এই ডাক শুনে মনে হয় যে তারা কান্না করছে। সত্যিই কি তারা কান্না করে? রাতের বেলা কি এমন হয় যে কুকুররা নিস্তব্ধ রাতে ডাকাডাকি করে? এটি কি কোনো অতিপ্রাকৃত ব্যাপার নাকি এর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কোনো কারণ!! চলুন জেনে আাসা যাক। 

রাস্তার কুকুর গুলো সাধারণত দলবদ্ধ ভাবে জীবন যাপন করে। মজার ব্যাপার হলো এই যে আমরা মানুষরা যেমন বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করি, তেমনি কুকুরদেরও নিজস্ব এলাকা রয়েছে। কয়েকটি কুকুর দলবদ্ধ হয়ে একটি এলাকা বাছাই করে সেই এলাকায় বাস করে। এক এলাকার কুকুর অন্য এলাকায় প্রবেশ করলে সেই এলাকার কুকুর তাদের দৌড়ানি দেয়। অনেক সময় দলের কোনো কুকুর খাবারে সন্ধানে অন্য এলাকায় গেলে রাত হয়ে যায়। বা অনেক সময় বিপদে পড়ে। তখন রাতের বেলা তার দলের অন্য কুকুরগুলোকে নিজের কাছে আনতে তারা প্রবল স্বরে ডাকাডাকি করতে থাকে। তাদের এই ডাকাডাকি অনেকটা কান্নার আওজের মতো লাগে। কিন্তু তারা কিন্তু কাঁদে না। নিজের সঙ্গী কুকুরদেরকে নিজের কাছে ডাকতেই তারা রাতের বেলা ডাকাডাকি শুরু করে। কুকুরদের এই রাতের বেলা ডাকাডাকি শুনে অনেকেই ভয় পায়। কিন্তু ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। শুধুমাত্র নিজের দলের কুকুরদের ডাকতেই তারা এভাবে চিৎকার করে। আমাদের সবার উচিত রাস্তার কুকুরদেরকে মাঝে মাঝে খাবার দেয়া। অনেক সময় তারা খাবার না পেয়ে অনাহারে থাকে। তাই কুকুরদের প্রতি আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।

READ MORE:  পৃথিবীর সবচেয়ে শক্ত খনিজ, হীরা নিয়ে অজানা তথ্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *