বিজ্ঞান জিজ্ঞাসাকী এবং কেন?

আমাদের সর্দি কেন হয়?

সর্দি অতি পরিচিত একটি রোগ। সর্দি আমাদের জীবনে সবারই একবার না একবার হয়েছে। শিশু থেকে যুবক সবারই যেকোনো সময় সর্দি হয়ে থাকে। সর্দি হলে সাধারণত নাক দিয়ে পানি পড়ে, গলা ব্যথা করে, মাঝে মাঝে বেশি সর্দি হলে অরুচি, বমি, জ্বর মাংসপেশিতে ব্যথা  এসব লক্ষনও প্রকাশ পায়। কিন্তু সর্দি কেনও হয়? সর্দি এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ কি?  চলুন জেনে আসি। 

 

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তার সমগ্র জীবনে প্রায় ১৫০ বারের মতো সর্দিতে আক্রান্ত হয়। সর্দি ছোট বাচ্চাদের বেশি হয়ে থাকে। সর্দি হওয়ার জন্য মোট আটটি গোত্রের ভাইরাস দায়ী। এর মধ্যে সবথেকে বেশি যে ভাইরাসটি দায়ী সেটির নাম রাইনোভাইরাস। সর্দির জন্য দায়ী এসব ভাইরাস দূষিত বাতাসের মাধ্যমে আমাদের নাক দিয়ে প্রবেশ করে। নাকে প্রবেশের পর নাকের এডিনয়েড নামক এলাকায় প্রবেশ করে।  আমাদের  নাকের অনুনাসিক পৃষ্ঠের উপর রয়েছে বিশেষ ধরনের রিসেপ্টর। এই রিসেপ্টরের সাথে ভাইরাস গুলো মিশে যায়। ভাইরাস এর দেহে ডকিং পোর্ট নামক অংশ রয়েছে। এই ডকিং পোর্ট নামক অংশ মিশে যায় রিসেপ্টরের সাথে। পরবর্তী পর্যায়ে সংক্রমণ শুরু হয়। আর সংক্রমণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে কোষগুলোর মৃত্যু ঘটে এবং নতুন কোষ আক্রান্ত হয়। এভাবে আমরা সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। সর্দি হলে নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু হয়। এটি খুবই বিরক্তিকর। 

 

আর ও পড়ুনঃ পুষ্টির স্বর্গরাজ্য শাক সবজি ও ফলমূল

 

সর্দি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। সর্দি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে। বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এক্ষেত্রে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে। কারণ চর্বিযুক্ত খাবার শরীর গরম রাখে যা সর্দি প্রতিরোধে সহায়তা করে। যদি আমরা সর্দি আক্রান্ত হই তবে হাঁচি দেওয়ার সময় নাক রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখব যেন অন্য কেউ আক্রান্ত না হয়। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে সর্দি থেকে বাঁচতে। রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। গরম পানি ও লবণ দিয়ে গড়গড়া করে কুলি করতে হবে তাহলে আরাম পাওয়া যাবে। বেশি সর্দি লাগলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link