কারা থাকতো পৃথিবীতে যখন মানুবজাতির অস্তিত্ব ছিলো না?

Who lived on our planet millions of years ago when mankind did not even exist

আপনি কোন মহামানব বা দৈত্যের কথা আজ অব্দি কোন পুরনো ধর্মগ্রন্থ বা কোন না কোন মুভিতে তো দেখেই থাকবেন। আমার ইতিহাসে এমন অনেক মহামানব বা বড় দৈত্যের কথা বহুবার আমরা শুনে এসেছি। তাহলে আজ থেকে প্রায় লক্ষ কোটি বছর আগে, পৃথিবীতে কি কোন দৈত্য  বা মহা মানুষ বাস করত? নাকি এগুলো শুধুই মনগড়া কাহিনী? যার সত্যের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। 

 

কিন্তু একটা জিনিস ভাবার বিষয় যে, পৃথিবীর সব সংস্কৃতিতে এসব দৈত্যের কথা উল্লেখ আছে, এমনকি তাদের থাকার প্রমাণ ও আমরা বিভিন্ন ভাবে পেতে পারি। 

 

একমাত্র বিজ্ঞানই পারে এই রহস্য উদঘাটন করতে অর্থাৎ বিজ্ঞানের কাছে এর উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে। 

 

Seco Gametic এর ঐতিহাসিক একজনের ভাষ্য অনুযায়ী,  1950 সালে ইউএস আর্মি গ্রিসে একটা 18 ফুট লম্বা একটি নর কঙ্কাল পেয়েছিল। এবং এই কঙ্কালটির মাথাটি ছিল আমাদের মত সাধারন মানুষের মাথার চেয়ে অনেক গুণ বড়। ঠিক একি বছরে আলাস্কাতে মানুষের মাথার মত একটি খুলি পাওয়া যায়। এই খুলিটির উচ্চতা ৩ ফুটেরও বেশী ছিল।  1993 সালে মঙ্গোলিয়াতে খোদাই করা ফলে আরো একটা নর কঙ্কাল পাওয়া যায়। কার্বন ডেটিং এর সাহায্যে পরীক্ষা করা হয় যে, কঙ্কালটি ছিল আজ থেকে প্রায় 1 লক্ষ 15 হাজার বছর আগের। কথাটি শুধু এক কঙ্কাল এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। 

 

 

বরং আমাদের পৃথিবীতে অনেকগুলো নকশা এবং আর্কিটেকচার আছে যেগুলা কোনোভাবেই মানুষের দ্বারা করা সম্ভব নয়।

 

সেই বিল্ডিংগুলো বানানোর জন্য আমরা যদি আমাদের বর্তমান টেকনোলজির সর্বোচ্চটাও ব্যবহার করি, তারপরেও এগুলো ওইগুলোর মত এত নিখুত ভাবে বানানো সম্ভব হবে না। এই বিষয়টা একটা ছোট্ট উদাহরণের মাধ্যমে বলা যাকঃ- মেক্সিকো সিটি থেকে 31 মাইল উত্তরে একটি জায়গা আছে। এই জায়গাটিকে বলা হয় সিটি অব গড অর্থাৎ ঈশ্বরের শহর। এইটা জায়গাটি আকর্ষণীয় তার কারণ হচ্ছে, সেই জায়গাতে পাথরের মত ব্লক,বিল্ডিং ব্যবহার করে আমাদের সৌরজগতের মত বানানো হয়েছে। আর যার মাঝে রয়েছে একটি সূর্য। 

 

 

এখানে একটি জিনিস খুবই বিস্ময়কর এবং লোমহর্ষক যে, এই সিটি অব গডের বিল্ডিংগুলোর দূরত্বের অনুপাত, আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলোর পরস্পরের দূরত্বের অনুপাতে সাথে সমানুপাতিকহার মিলে যায়। এমনকি এখানে প্লুটো গ্রহটাকেও পাথরের ন্যায় দেখানো হয়েছে। আর এই প্লুটো গ্রহের খোঁজ আমাদের আধুনিক বিজ্ঞান মাত্র 1930 সালে করেছে। তাহলে ইতিহাসের এত পিছনে মানুষ এগুলোকে কিভাবে বুঝেছে এবং করেছে? 

 

এর থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, আজ থেকে লক্ষ কোটি বছর আগে মহামানবগুলো বর্তমানে আমাদের মধ্যে যে প্রযুক্তি রয়েছে তার থেকে অনেক উন্নত ছিল। 

 

ইস্টার্ন আইল্যান্ড, যেখানে রয়েছে ৬০০ এরও বেশী বড় বড় মূর্তি। মূর্তিগুলি এত বেশি শক্ত যে এগুলোকে যদি হাতুড়ি দিয়েও পেটানো হয় তারপরও এই গুলোর উপরে একটু দাগও পড়বে না। প্রত্যেকটি মূর্তির ওজন জন্য হল 100 টন এর কাছাকাছি। আর এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু মূর্তি আছে যেগুলোর উচ্চতা 30 ফুটেরও বেশি।এখন প্রশ্ন হলো, যেখানে (আইল্যান্ডে) এখনো পর্যন্ত কোনো মানুষের থাকার চিহ্ন পাওয়া যায়নি, সেখানে এতো বড় বড় মূর্তিগুলো এল কোথা থেকে? আরেকটি প্রশ্ন থেকে যায় যে এই মুহূর্তগুলোকে এখানে আনলো কারা?

 

অনেকে এটা বিশ্বাস করে যে এখানে এলিয়েনরা বসবাস করত। তারাই এগুলো বানিয়েছে। তবে যাই হোক, এইগুলা যারা বানিয়েছে তারা আর যাই হোক, আমাদের মত সাধারন মানুষ হতে পারে না। 

 

এছাড়া আমরা জানি মিশরের পিরামিড সম্পর্কে। এই পিরামিডগুলোর আকৃতি গুলো তো অনেক ভাবার বিষয়। আবার কেউ কেউ এটাও বিশ্বাস করে যে, আমাদের কৈলাস পর্বত এটাও হতে পারে কারও তৈরি একটা পিরামিড। এই পর্বতের একটি অবাক করা বিষয় হচ্ছে, পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট,  এখানেও মানুষ নিজের পায়ের ছাপ ফেলতে পেরেছে  কিন্তু কৈলাস পর্বতে এখন পর্যন্ত মানুষ তার পদচিহ্ন  ফেলতে পারেনি। অনেকে চেষ্টা করেছিল কিন্তু তাদের মধ্যে অনেক প্রায় সব মানুষই হার মেনেছে। আবার অনেককে তো নিজের জীবনও দিতে হয়েছে। 

 

এইগুলার আকৃতি এবং শুধুমাত্র গঠনগত দিক দেখলেই কিন্তু হবে না। আপনি যদি এগুলোর ভৌগলিক অবস্থান দেখেন, তাহলেও আপনাকে চমকে উঠতে হবে! যদি কৈলাস পর্বত থেকে একটি সরলরেখা টেনে মিশরের পিরামিড পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়, আর এই লাইনটি কেই যদি আরো লম্বা করা, তাহলে এই লাইনটি চলে যাবে ইস্টার্ন আইল্যান্ডে যেখানে 660 টি মূর্তি রয়েছে বলেছিলাম। তার মানে এই তিনটি জিনিস একই সরলরেখায় অবস্থিত। 

 

তাহলে এই মহামানব গুলো কোথা থেকে এসেছিল এবং তাদের অস্তিত্ব পৃথিবী থেকে একেবারে কিভাবে মুছে গেল?

 

এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে আসুন জেনে নেয়া যাকঃ-

 

অনেক বিজ্ঞানীই এটা মানেন যে, আজ থেকে লক্ষ কোটি বছর আগে, একটা বড় অ্যাস্ট্রয়েড পৃথিবীর কাছে চলে আসে। যার আকার ছিল আমাদের চাঁদের থেকে একটুখানি বড়। চাঁদের এবং পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের জন্য এই এসট্রয়েডটি এখানেই ফেঁসে যায়। যার ফলে কিছুদিনের জন্য এটা পৃথিবীর একটি প্রাকৃতিক স্যাটেলাইট এর মত হয়ে গিয়েছিল। ফলে পৃথিবীতে দুটি চাঁদ থাকায় অভিকর্ষ বল অনেক কম হয়ে গিয়েছিল। হয়তবা এই কারনেই পৃথিবীতে তখন দৈত্যরা এসেছিল। অর্থাৎ তখন গ্রেভেটি কম থাকায় মানুষের আকার-আকৃতি ও অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল।পরবর্তিতে এই এস্ট্রয়েটটি পৃথিবী এবং চাঁদের চুম্বক ক্ষেত্রের বাইরে চলবে  যায়। এবং একটি টুকরো টুকরো হয়ে মহাকাশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায়। এটিরই বেঁচে থাকে অবশেষ গুলি আমাদের পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খায়। তখন পৃথিবীর উপর শুরু হয়ে যায় অনেক উল্কাপিন্ডের বৃষ্টি। হয়তোবা এই কারণেই ওই দৈত্যগুলোর পৃথিবীতে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। আর ওই এস্ট্রয়েটটি হঠাৎ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পৃথিবীর অভিকর্ষ বলে আবার পরিবর্তন আসে। গ্রেভেটি বেড়ে যাওয়ার ফলে ওই দৈত্যগুলোর আকার ধীরে ধীরে আবার ছোট হয়ে যায়। তাছাড়া পৃথিবীর ওজনস্তরও অনেক পাতলা হয়ে যায়। ফলের সূর্য থেকে আসা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি পৃথিবীতে বেশি আসতে শুরু করে। কোন মানুষের বডির আকৃতি যদি ছোট হয় তাহলে তার বডির  সার্ফেস এড়িয়াটাও ছোট হয়ে যায়। তাই ছোট সার্ফেস হওয়ার জন্য আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি তার শরীরে কম এফেক্ট ফেলে। হতে পারে এটাও ছিল একটা কারণ। 

এগুলো আসলে কিছু সাইন্টিফিক এক্সপ্লানেশন(বৈজ্ঞানিক গবেষণা)। আমাদের পৃথিবীতে যদি দানব বসবাসও করত, তবে শেষটা ঠিক এভাবে হয়েছে।

 

 

তবে পৃথিবীতে দানবের বসবাস টা আসলেই সত্যি? নাকি মানুষের মিথ্যা মনগড়া কাহিনী? 

আপনার মতামত জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *