বিশ্বকাপে কেনও নিষিদ্ধ ভুভুজেলা?
শুরু হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে প্লেয়ারদের জন্য স্বস্তির খবর মাঠে কেউ এখন আর ভুভুজেলা নিয়ে প্রবেশ করতে পারে না। কারণ ভুভুজেলা ২০১০ আফ্রিকা বিশ্বকাপের পরই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভুভুজেলা কি?
ভুভুজেলাকে বলা হয় নরকের বাঁশি।
ভুভুজেলা এক ধরনের শিঙ্গা জাতীয় বাদ্যযন্ত্র যা লেপাটাটা এবং ইংরেজি ভাষায় প্লাস্টিক ট্রাম্পেট নামেও পরিচিত। এটি সাধারণত ৬৫ সেমি লম্বা এবং প্লাস্টিকের তৈরি হয়ে থাকে যা উচ্চস্বরে বিকট সুর উৎপন্ন করে । ব্রাজিল এবং অন্যান্য ল্যাটিন আমেরিকান দেশসমূহে এ ধরনেরই কমেটা নামক অপর একটি বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়ে থাকে। ভুভুজেলা বিকট শব্দ সৃষ্টি করতে পারে। স্টেডিয়ামে যখন হাজারো দর্শক একসাথে এই ভুভুজেলা বাজাতো তখন প্লেয়ারদের অবস্থা হতো বেগতিক। তাদের খেলার মনোযোগ নষ্ট হতো। কোচেরা প্লেয়ারদের কোনো নির্দেশ দিতে পারতো না, কেননা মাঠে ভুভুজেলার আওয়াজে তা শোনার উপায় নেই৷ টিভি-কমেন্টেটররা নিজেদের কথা কানে শুনতে পারতো না৷ সারা বিশ্বে টেলিভিশন দর্শকরা দেখছে, এ কি হট্টগোল? 2010 বিশ্বকাপে ফিফা’র কাছে সপ্তাহে হাজার হাজার ই-মেল এসেছিল: ‘এ’ উৎপাত বন্ধ করো’৷ প্লেয়াররাও সম্মিলিত প্রতিবাদ জানিয়েছিল এটি নিষিদ্ধ করার জন্য।
ফুটবলের সঙ্গে ভুভুজেলার সম্পর্কটা তো তার-ও আগে। নব্বইয়ের দশক থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকা ফুটবলের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয় ভুভুজেলা।
তবে ২০১০ বিশ্বকাপেই সমাপ্তি ঘটে ভুভুজেলার। আন্তর্জাতিক ফুটবল, এমনকি উয়েফাও নিষিদ্ধ করে অদ্ভূত এই বাঁশিকে। শব্দদূষণ রোধে এই সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।