অমুসলিমদের জবেহকৃত পশু খাওয়া হারাম?
অমুসলিমদের জবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া বৈধ কি? । poshur goshto । omuslim। halal । haram । important information about animal।
অমুসলিমদের জবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া বৈধ নয়। তবে তাদের মধ্যে আহলে কিতাব (ইয়াহুদি-খ্রিস্টান) দের জবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া হালাল, যদি জানা যায় যে, তারা আল্লাহর নাম নিয়ে ছুরি দ্বারা যথানিয়মে জবেহ করে। পক্ষান্তরে যদি জানা যায় যে, তারা জবেহর সময় আল্লাহর নাম নেয় না, অথবা কারেন্টের শক দিয়ে হত্যা করে, অথবা গুলি মেরে হত্যা করে, অথবা গরম পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে, যাতে গোশতের ভিতরে রক্ত জমা থেকে তার ওজন বেশি হয় এবং দেখতেও লোভনীয় ভাল গোশত হয়, তাহলে ওই গোশত খাওয়া হালাল নয়। (ইবনে জিবরীন )
প্রকাশ থাকে যে, ‘মুসলিম’ নামধারী কোন নাস্তিক, কাফের বা মুশরিকের জবেহ করা পশু হালাল নয়। মাজার, কবূরী এবং মতান্তরে কোন বেনামাজির হাতে জবেহ করা পশুর গোশত হালাল নয়। বৈধ নয় কোন ছোট শিশু, নেশাগ্রস্ত বা পাগলা ব্যক্তির জবেহ।
কোন গোশতের ব্যাপারে ‘ঠিকমত জবেহ করা হয়েছে কি না’ – এই সন্দেহ হলে বাড়িওয়ালা অথবা হোটেল মালিককে জিজ্ঞাসা করা কি জরুরী? নাকি জিজ্ঞাসা না করেও খাওয়া যায়?
(Kono goshter bepare thikmoto jobeho kora hoyeche kina ai sondeho hole bariwala othoba hotel malik ke joggasa kora ki joruri?)
যদি প্রবল ধারনায় জানা যায় যে, জবেহকারী ঠিকমত জবেহ করেছে, তাহলে জিজ্ঞাসা করা বিধেয় নয়। যেহেতু মহানবী (সঃ) ইয়াহুদিদের জবেহ করা ছাগলের গোশত খেয়েছেন এবং জিজ্ঞাসাও করেননি যে, তা ঠিকভাবে জবেহ করা হয়েছে কি না? (বুখারি ২৬১৭, ২০৬৯, ২৫০৮, মুসলিম ২১৯০ নং)
একদা একদল লোক নবী (সঃ) কে জিজ্ঞেসা করল, ‘এক নও মুসলিম সম্প্রদায় আমাদের নিকট গোশত নিয়ে আসে। আমরা জানি না যে, তার জবেহকালে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়েছে কি না।’ তিনি বললেন, “তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তা ভক্ষণ কর।” (বুখারি ২০৫৭, ৫৫০৭ নং)
উক্ত হাদিসে নবী (সঃ) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে সন্দেহ দূরীভূত করতে নির্দেশ দেননি। এমন নির্দেশ হলে নিশ্চয় মানুষ বড় সমস্যায় পতিত হতো। (ইবনে উসাইমিন)