ইসলামইসলামিক বিষয়াদি

নামাজের এই দোয়ামা সূরাটি কি নির্দিষ্ট?

প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ দোয়া মাসুরা

আরবি

বাংলা উচ্চারণ

দোয়া মাসুরা ইংরেজি

অর্থ

দোয়া মাসুরা পড়ার নিয়ম

আরও যেই দোয়া পড়া যায়

 

প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ দোয়া মাসুরা

তবে আমরা সাধারণত যে দোয়া পড়ি, তা সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। আবু বকর (রা.)-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে রাসুল (সা.) তাকে শিখিয়ে ছিলেন। হাদিস শরিফে এসেছে, আবু বকর (রা.) রাসুল (সা.) কাছে আবেদন করলেন- আমাকে একটি দোয়া শিখিয়ে দিন— যা আমি নামাজে পড়ব। আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, এই দোয়া করো-

আরবি :

اللهم إني ظلمت نفسي ظلما كثيرا ولا يغفر الذنوب إلا أنت فاغفرلي مغفرة من عندك وارحمني إنك أنت الغفور الرحيم

বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি জুলমান কাসিরা । ওয়ালা ইয়াগ ফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা। ফাগফির লি, মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা; ওয়ার হামনি, ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম।

দোয়া মাসুরা ইংরেজি

allahuma ‘inniy zalamtu nafsi zulman kaciraw wala yagfiruz zununz ‘illaa ‘anta faghfir li magfiratam min indika warhamni’ innaka ‘antal gafurur rahim,

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই। আপনি নিজ অনুগ্রহে আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি রহম করুন। নিঃসন্দেহে আপনিই ক্ষমাকারী, করুণাময়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৩৪; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৭০৫)

 

নামাজের শেষ বৈঠকে দোয়া মাসুরা পড়তে হয়। তাশাহ্হুদের পর দরুদ পড়া এবং এরপর দোয়া মাসুরা পড়া সুন্নত। দোয়া মাসুরা শেষে সালাম ফেরাতে হয়। এখানে পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। বরং একটি মাসনুন দোয়া পড়লেই হয়। এমনকি একাধিক দোয়াও পড়া যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অতঃপর (দরুদ পাঠের পর) যে দোয়া ইচ্ছে, সেটা পড়বে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪০২)

দোয়া মাসুরার এক্ষেত্রে বেশি প্রসিদ্ধ হলো- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি…’ এই দোয়াটি। ফলে অনেকেই মনে করেন দোয়া মাসুরা বলতে শুধু এটিই। এটি ছাড়া অন্য কোনো দোয়া পড়লে হবে না। আসলে বিষয়টি এমন নয়; বরং এক্ষেত্রে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত যেকোনো দোয়া-ই পড়া যায়। এতে সুন্নত আদায় হয়ে যায়।

দোয়া মাসুরা পড়ার নিয়ম

দোয়া মাসুরা পড়ার নিয়মঃ দোয়া মাসুরা কখন পড়তে হয়? দোয়া মাসুরা সাধারণত নামাজের শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়াতু দরুদে ইব্রাহিম পড়ার পর দোয়া মাসুরা পড়তে হয়। নামাজে হাত বা নিয়ত বাধার পর সানা (সুবাহাকাল্লাহুম্মা)পড়তে হয়। তারপর সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়ে রুকুতে যেতে হয়।এরপর রুকুতে গিয়ে সুবহা-না রব্বিয়াল আ`যিম পড়তে হয় । তারপর রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হয়। তারপর রাব্বানা লাকাল হামদ পড়তে হয়। তারপর আবার সেজদায় যেতে হয়।সেজদায় সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা পড়তে হয় । এভাবে দুই সেজদার পড় উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাঁধতে হয় । এভাবে দুই রাকাত নামাজ হলো দুই রাকাত আদায় করতে হয় তারপর দুই রাকাতে সিজদার পর আর উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাধতে হয় না তখন আত্তাহিয়াতু ও দরুদ ইবরাহীম তারপরে সালাম ফিরানোর আগে দোয়া মাসুরা পড়তে হয়

আরও যেই দোয়া পড়া যায়

উল্লেখ্য, দোয়া মাসুরা বলা হয়- (বহুবচনে আদইয়ায়ে মাসুরা) শব্দের অর্থ বর্ণিত দোয়া। অর্থাৎ আল-কোরআনুল কারিম ও হাদিস শরিফে যেসব দোয়ার তালিম দেওয়া হয়েছে। হাদিস শরিফে এক্ষেত্রে পড়ার আরও দোয়া বর্ণিত হয়েছে। তার মধ্য থেকে একটি হলো-

আরবি :

اللهم إني أعوذ بك من عذاب القبر وأعوذ بك من فتنة المسيح الدجال وأعوذ بك من فتنة المحيا والممات، اللهم إني أعوذ بك من المأثم والمغرم

বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্বাবরি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জাল। ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাত। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মা‘ছামি ওয়াল মাগরামি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে, দাজ্জালের ফিৎনা থেকে। আশ্রয় প্রার্থনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিৎন থেকে। হে আল্লাহ ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি গুনাহ ও ঋণ থেকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৩২; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৮৯)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link