মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
মাথার ত্বকে আমাদের অনেকেরই চুলকানোর সমস্যা হয়৷ এটা সত্যিই অনেক বেদনাদায়ক এবং অস্বস্তিকর।
মাথার ত্বকে চুলকানো এর প্রধান সংযুক্ত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি?
মাথার ত্বকে চুলকানি নিজেই একটা উপসর্গ। এটির সঙ্গে অন্যান্য যে লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির হতে পারে, সেগুলি হল:
- মাথার ত্বকে প্রদাহ।
- খুশকি।
- উকুনের উপস্থিতি।
- লাল ঘা এর ছােপ।
- স্কেলিং।
- পুঁজ বা কঠিন আবরণ।
এই সমস্যা গুলো এর পিছনে প্রধান কারণগুলি কি? মাথার ত্বকে চুলকানি একটি উপসর্গ যা নিম্নলিখিত অবস্থাগুলির দ্বারা ঘটতে পারে:
- ডার্মাটোলজিক, যা ত্বক থেকে হয় যেমন চাঁদির ছত্রাক সংক্রমণ, সরাইসিস, একজিমা এবং
অন্যান্য।
- মাথার উকুন।
- নিউরােপ্যাথিক, অন্তর্বাহ স্নায়ু ফাইবারের অসুখ
থেকে এটি হয়।
- নিয়মানুগ রােগ, যা সারা শরীরকে প্রভাবিত করে
যেমন লুপাস।
- সাইকোজেনিক/সাইকোসােমাটিক যা মানসিক এবং মনােদৈহিক (শারীরিক অসুস্থতা যা মানসিক ফ্যাক্টর দ্বারা সৃষ্ট বা বৃদ্ধি পায়) রােগের সাথে জড়িত।
নারিকেল তেল: তালুর শুষ্কতার কারণেই মূলত মাথা চুলকায়। এই সমস্যা কমাতে দু’চামচ নারিকেল তেল বাটিতে নিয়ে গরম করুন। গরম তেলে তুলো ডুবিয়ে সারা মাথায় তেলটুকু লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক মাসাজ করুন। সারারাত তেলটা রেখে দিন, সকালে কোমল শ্যাম্পু দিয়ে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন। সপ্তাহে দু’বার করলে স্ক্যাল্পের চুলকানি কমে যাবে
পেপারমিন্ট অয়েল: ত্বক শীতল রাখতে পেপারমিন্ট অয়েল দারুণ কাজের। আধ চা চামচ পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েলের সঙ্গে দেড় চা চামচ নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার তুলো দিয়ে তেলটা সারা মাথায় লাগিয়ে একঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’বার করলে মাথার চুলকানি কমবে।
আর্গান অয়েল: খাঁটি আর্গান অয়েল নিয়ে চুলে আর স্ক্যাল্পে হালকা হাতে মাসাজ করুন। তেলটা চুলে পুরো শুষে যাবে। সারা রাত তেলটা চুলে রেখে দিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নেবেন। সপ্তাহে একদিন নিয়মিত করলে তফাৎ বুঝতে পারবেন, চুলের জৌলুসও বাড়বে।
ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েল আমাদের স্ক্যাল্প আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া টি ট্রি অয়েল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণে সমৃদ্ধ, ফলে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তুলোয় করে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল নিয়ে মাথায় লাগান। পাঁচ মিনিট মাসাজ করুন। দু’ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে উষ্ণ গরম পানিতে ধুয়ে নিন।