ইসলামইসলামিক বিষয়াদি

ইনহেলার ব্যবহারে কি রোজা ভঙ্গ হবে?

ইনহেলার কি?

ইনহেলার হলাে একটি চিকিৎসা যন্ত্র যা একজন ব্যক্তির জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে ঔষধ সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয় ইনহেলার কেন ব্যবহার করা হয় ? শীতে শ্বাসকষ্ট অনেকের বেড়ে যায় । শ্বাসকষ্ট প্রতিরােধে ইনহেলার ব্যবহার করতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার অনেকক্ষেত্রে গরমে ঘেমে ও বৃষ্টিতে ভিজে হাঁপানি রােগীদের শ্বাসকষ্ট অনেক বেড়ে যায় । শ্বাসকষ্টের জন্য হাঁপানি রােগীদের মূলত ইনহেলার নিতে হয়।

 

ইনহেলার ব্যবহারে কি রােজা ভাঙ্গে?

 

ইনহেলার ব্যবহার করলে রােজা ভেঙ্গে যাবে । শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য ঔষধটি মুখের ভেতরে স্প্রে করা হয়। এতে যে জায়গায়। শাসরুদ্ধ হয় ওই জায়গাটি প্রশস্ত হয়ে যায় । ফলে শ্বাস চলাচলে আর কোনাে কষ্ট থাকে না।ওষুধটি যে শিশিতে যে পরিমাণে থাকে ঐ শিশির মুখ একবার টিপলে শিশির আকারভেদে ওই পরিমাণে র একশত কিংবা দুইশত ভাগের এক ভাগ বেরিয়ে আসে। অতি অল্প পরিমাণে গ্যাস বের হওয়ার কারণে কেউ ওষধটিকে বাতাস জাতীয় মনে করতে পারে । কিন্তু বাস্তবে এমন নয় বরং ওষুধটির দেহবিশিষ্ট। কাঠ ইত্যাদি কোন বস্তুতে স্প্রে করলে দেখা যায় যে ঐ বস্তুটি ভিজে গেছে তাই এতে রােজা ভঙ্গ হয়ে যাবে । বিষয়টি আরাে ভালাে করে বুঝুন । চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে। শ্বাস গ্রহণের রাস্তা দিয়ে কোন ঔষধ উদাহরণ স্বরূপ ইনহেলার ব্যবহার করলে তার ১০% উপকরণ সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছায়। বাকী ৯০% উপকরণ পরিপাকযন্ত্র শােষন করে। আর এ অবস্থায় ঔষধ সরাসরি রােগীর পেটে গিয়ে পৌঁছায়। যেহেতু ইনহেলার গ্রহণের রাস্তা সেটাই যেটা দ্বারা খাদ্য পেটে যায়, বা খাদ্য পৌছানাের নালির নিকটবর্তী শিরা দিয়ে তা গ্রহণ করা হয়, তাই এর দ্বারা রােযা ভেঙ্গে যাবে। সতর্কতা এটাই। সতর্কতা হিসেবে শরয়ী অনেক বিধানই সাব্যস্ত হয়। যেমন ঘুমকে অযু ভঙ্গের কারণ সাব্যস্ত করা। এ হিসেবে যে, ঘুমিয়ে গেলে নিতম্ব জমিন থেকে উঠে যেতে পারে, ফলে বায়ু বের হয়ে যায়। যদিও ঘুম অযু ভঙ্গের কারণ নয়, বরং বায়ু বের হওয়া হল অযু ভঙ্গের কারণ। কিন্তু যেহেতু ঘুমিয়ে গেলে এসব ব্যাপারে কোন খবর থাকে না, তাই ঘুমটাকেই সতর্কতাস্বরূপ অযু ভঙ্গের কারণ সাব্যস্ত করা হয়েছে। (বাদায়েউস সানায়ে-২/৫৩৫)।

READ MORE:  আর কতদিন পরে হবে গাজওয়াতুল হিন্দ?

 

পরিশেষে

 

অনেককে বলতে শােনা যায় যে ইনহেলার অতি প্রয়ােজনে ব্যবহার করা হয় তাই এটা রােজা ভঙ্গ হবে না । কথাটা একেবারে হাস্যকর। কেননা কেউ যদি ক্ষুধায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়ে অতি প্রয়ােজনীয় কিছু খেয়ে ফেলে তাহলে কি অতি প্রয়ােজনে খাওয়ার কারণে তার রােজা ভঙ্গ হবে না? অবশ্যই হবে । অতি প্রয়ােজনের সময় রােজা ভাজলে পরবর্তীতে কাযা করা ও গােনাহ না হওয়া ভিন্ন কথা।

আর রােযা ভঙ্গ না হওয়া ভিন্ন কথা। তবে হ্যাঁ যদি মুখে ইনহেলার স্প্রে করার পর না গিলে থুতু দিয়ে তা বাইরে ফেলে দেওয়া হয় তাহলে রােজা ভঙ্গ হবে না । এভাবে কাজ চললে তাে বিষয়টি আরও সহজ হয়ে যাবে। এতে শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি রােজা ভঙ্গ হলাে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *