আপনার স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করবে যে খাদ্য গুলো-
Food to increase memory power in Bengali – স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির খাবার
প্রত্যেকেরই সময়ে সময়ে ভুলে যাওয়ার মুহূর্ত থাকে, বিশেষ করে যখন জীবন ব্যস্ত হয়ে যায়।
যদিও এটি একটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে, একটি দুর্বল স্মৃতিশক্তি হতাশাজনক হতে পারে।
জেনেটিক্স স্মৃতিশক্তি হ্রাসে ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে আলঝেইমার রোগের মতো গুরুতর স্নায়বিক অবস্থার ক্ষেত্রে। যাইহোক, গবেষণায় দেখা গেছে যে ডায়েট এবং জীবনধারা স্মৃতিতেও বড় প্রভাব ফেলে।
প্রাকৃতিকভাবে আপনার স্মৃতিশক্তি উন্নত করার জন্য এখানে প্রমাণ-ভিত্তিক উপায় রয়েছে।
ডালিমের রস
ডালিম খেলে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক থাকে।
ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ডালিম খেলে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক থাকে, যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করে। দুপুরে খাবারের আগে বা পরে ডালিমের শরবত খেলে মস্তিষ্ক সুস্থও স্বাভাবিক থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
জামের মিল্ক শেক
দুধের সাথে জাম মিশিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়
দুধের সাথে জাম মিশিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।
দুধের উপকারিতার কথা আমাদের বলার অপেক্ষা রাখে না। দুধের সাথে জাম মিশিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। জাম ব্লাড প্রেশারের পরিমাণ ঠিক রাখে। সেই সাথে কোলেস্টোরেলের পরিমাণ কমায়।
ডার্ক চকলেট
মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে ডার্ক চকলেট
মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে ডার্ক চকলেট
এই চকলেটে ৭০ শতাংশ কোকোয়া থাকে। এটা ধমনীর কার্যকারিতা উন্নত করে, মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
টমেটো
টমেটো কোষের রেডিকল ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে।
টমেটো কোষের রেডিকল ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে।
টমেটোতে লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা কোষের রেডিকল ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে স্মৃতিভ্রংশ বা স্মৃতির অবক্ষয় হ্রাস পায়। তাই প্রতিদিন সালাদে টমেটো খেতে পারেন।
পালংশাক
মস্তিষ্কে বয়সের প্রভাব ও স্মৃতিভ্রংশ কমাতে বা দূর করতে সাহায্য করে পালং শাক
মস্তিষ্কে বয়সের প্রভাব ও স্মৃতিভ্রংশ কমাতে বা দূর করতে সাহায্য করে পালং শাক
পাতাবহুল এই সবজি নানানভাবে উপকারী। পালংশাকে ভিটামিন ই থাকে। যা মস্তিষ্কে বয়সের প্রভাব ও স্মৃতিভ্রংশ কমাতে বা দূর করতে সাহায্য করে।
ডিম
ডিমের কুসুম কোলিন নামক অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। যা কোষে সংকেত পৌঁছাতে সাহায্য করে। আর ‘শর্ট-টার্ম’ মেমোরি স্বল্প সময়ের স্মৃতি উন্নয়নে সাহায্য করে।
কুমড়ার বীজ
কুমড়ার বীজ থেকে ভিটামিন বি ও ট্রিপ্টোফেন পাওয়া যায়
কুমড়ার বীজ থেকে ভিটামিন বি ও ট্রিপ্টোফেন পাওয়া যায়
এক মুঠো কুমড়ার বীজ জিংক স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও কুমড়ার বীজ থেকে ভিটামিন বি ও ট্রিপ্টোফেন পাওয়া যায়।
বয়স বাড়লে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যেতে থাকি। কিন্তু এই ভুলে যাওয়া যখন গুরুতর আকার ধারণ করে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন একে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম বলে। নানা কারণে স্মৃতিভ্রংশ রোগ হতে পারে। যেমন: অ্যালঝেইমার ডিজিজ, থাইরয়েড ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা ইত্যাদি। গবেষণা বলছে, আমাদের খাদ্যাভ্যাসও এর জন্য কিছুটা দায়ী। স্মৃতিভ্রংশ রোধে খাদ্যাভ্যাস বেশ ভালো সুফল আনে।