বন্যার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
বন্যার সময় করণীয় বন্যার কারণ কি বন্যার কারণ ও প্রতিকার বন্যার কারণ ও বিপদ বন্যার সময় কি কি করা উচিত নয়
সম্প্রতি সিলেট বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যার সময় কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
নদী, হ্রদ বা সমুদ্রের মতো জলাশয়গুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে বন্যা দেখা দিতে পারে, যেখানে পানি উপরে উঠে যায় বা বাঁধভেঙে যায়, ফলে সেই পানি কিছু অংশ এর স্বাভাবিক সীমানা ছাড়িয়ে যায়, বা এলাকায় বন্যায় সুসিক্ত মাটিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে এটি ঘটতে পারে।
১) টিভি ও রেডিও-তে সম্প্রচারিত খবরের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে
২) একটি বা দুটি ব্যাগে অত্যন্ত দরকারি জিনিস প্যাক করে নিতে হবে। বিশেষ করে কোনও ওষুধ নিতে ভুলবেন না তাতে
৩) প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলে, তাত্ক্ষণিক তা করুন
৪) সামনে যদি পাহাড়ি এলাকা থাকে, তাহলে হড়পা বানের সম্ভাবনা প্রবল। তাই কাছাকাছি নিরাপদ উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিন আগে থেকেই
৫) বাড়ি যদি দোতলা বা তিনতলা হয়, তাহলে আগে থেকেই একতলার দরকারি জিনিস উপরের তলে জমা করুন
৬) বাইরে বেরতে হলে সঙ্গে রাখুন একটি লাঠি। সামনের জমি কতটা শক্তি তা পরীক্ষা করে তবে পা ফেলুন
৭) যতটা সম্ভব বন্যার জল এড়িয়ে চলুন। যে কোনও মুহূর্তে সেই জল থেকে ঘটতে পারে বিপদ। বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হতেও পারেন যে কোনও সময়
৮) যে জল খাচ্ছেন তা দেখে নিন
৯) বন্যার জল যদি রাস্তার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে তাহলে সেই রাস্তা এড়িয়ে চলাই ভালো। জলের তোড়ে রাস্তা দুর্বল হয়ে থাকতে পারে। ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের বিপদ
১০) জলের তোড় বেশি থাকলে সেখান দিয়ে পার হওয়ার চেষ্টা করবেন না। জলের স্রোত আপনাকে যে কোনও মুহূর্তে টেনে নিয়ে যেতে পারে
বাড়তি নজর রাখুন
বন্যার কারণে যেমন রোগের বিস্তার বৃদ্ধিপায় তেমনি দেখা দেয় আকস্মিক কিছু দুর্ঘটনা। কেবল একটু সতর্কতার মাধ্যমে এসব দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বন্যায় সাধারণত বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা, জলে ডুবে যাওয়া, সাপ ও পোকামাকড়ের কামড়ের ঘটনাগুলো বেশি ঘটে থাকে।
জলে ডুবে যাওয়া ও সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বন্যার সময় শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে হবে। এ সময় শিশুদের চোখের আড়াল করা যাবে না। অভিভাবকদের অসচেতনতার দরুণ বন্যার জল থেকে শিশুদের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। একটু বাড়তি নজর রাখলেই এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে শিশুরা রক্ষা পেতে পারে।
মেঝেতে বিছানা না পেতে উঁচু জায়গায় বিছানা পাতবেন।মশারি বিছানার সাথে ভালকরে আটকেই ঘুমাবেন।