পৃথিবীর সবচেয়ে শক্ত খনিজ, হীরা নিয়ে অজানা তথ্য

হীরা

হীরা কি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্ত খনিজ?

 

পৃথিবীতে পাথর, লোহা, ইস্পাতের মতো কত শক্ত শক্ত জিনিস রয়েছে। হীরা কি এসব শক্ত জিনিসের চেয়েও কঠিন জিনিস? খনিজের কাঠিন্য মাপবার জন্যে বিজ্ঞানী ফ্রিডরিক মোজ-এর একটি স্কেল রয়েছে।

 সেই স্কেল অনুযায়ী পৃথিবীর যাবতীয় প্রাকৃতিক জিনিসের মধ্যে হীরাই সবচেয়ে কঠিন। কোনো কৃত্রিম পদার্থ হীরার মতো কঠিন হলেও হতে পারে, কিন্তু কোনো প্রাকৃতিক পদার্থ নয়। তাই শক্ত যে কোনো জিনিস, তা সে হীরা বা শক্ত ইস্পাতই হোক, কাটতে লাগে হীরা। নিরেট শক্ত পাথরের স্তর ভেদ করতে যে ড্রিলিং যন্ত্র লাগে, তার বিট অর্থাৎ দাঁত তৈরি করতে প্রয়োজন হয় হীরার। তবে এই হীরা দ্যুতিময় ঝকমকে হীরা নয়, অস্বচ্ছ ও দাগওলা হীরা। কারণ এই হীরা অলংকার বা মণিরত্ন হিসেবে ব্যবহারের অযোগ্য।

 

 

কোহিনূর নামের বিশ্ববিখ্যাত হীরাটি কিভাবে কোথায় পাওয়া গিয়েছিল?

 

কোহিনূরের কথা মনে পড়লেই ইতিহাসের পাতাগুলো যেন চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠে। ১৭৩৯ সালে পারস্যের রাজা দিল্লীর মোগল সম্রাট মাহমুদ শাহকে পরাজিত করে যে বিরাট ধনসম্পত্তি লুণ্ঠন করে নিয়ে যান, তার মধ্যে ছিল বিশ্ববিখ্যাত হীরা কোহিনূর।

পরে এটি আফগান রাজা শাহ সুজার কাছ থেকে কেড়ে নেন পাঞ্জাবের অধিপতি রণজিৎ সিং। এটি এখন ব্রিটিশ মিউজিয়ামে আছে।

 বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটি আবিষ্কৃত হয় অন্ধ্রপ্রদেশের গোলকুণ্ডার কাছে কিলুর খনিতে। প্রথম অবস্থায় কোহিনূর হীরার ওজন ছিল ৭৯৩ ক্যারাট, কাটার পর ওজন দাঁড়ায় ১৯১ ক্যারাট।

 

 

হীরা কী কালো হয়?

হীরার রাসায়নিক উপাদান কার্বন। অর্থাৎ কালো কয়লার মূল উপাদান আর হীরার মূল উপাদান একই।

তাহলে হীরার রঙই বা কয়লার মতো কালো নয় কেন? হীরার রঙ কি কালো হয় না?

শুধু কালো কেন, হীরা যে কোনো রঙয়েরই হতে পারে।

 পরিমাণের দিক থেকে হিসেব করলে দেখা যায়, প্রকৃতির বুক থেকে যত হীরা পাওয়া যায়, তার মধ্যে মাত্র শতকরা ২০ ভাগ মণিরত্ন শ্রেণীর, বাদবাকি সবটাই ব্যবহার হয় যন্ত্রশিল্পের প্রয়োজনে। দামের দিক থেকে অবশ্য মণিপাথর হিসেবে ব্যবহৃত হীরার মূল্য অনেক বেশি। যন্ত্রশিল্পের প্রয়োজনে যে হীরা ব্যবহৃত হচ্ছে, তাদের রঙ ময়লা হলুদ থেকে কালো। প্রকৃতি অনুসারে এ রকম হীরা তিন ধবনের। যেমন বোর্ট, ব্যালাস এবং কার্বনডো বা কালো হীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *