চিকেন পক্স হলে কি খাওয়া উচিত?
বেড়েছে গরম। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানা বিধ রোগ। চিকেন পক্স তার মধ্যে অন্যতম। চিকেন পক্স হলে দ্রুত সুস্থ হতে কিছুটা বাছ বিচার করে খাবার খেতে হবে।
চলুন জেনে নিই চিকেন পক্স হলে কি খাওয়া যাবে আর কি খাওয়া যাবে না।
চিকেন পক্স হলে কি খাওয়া উচিত?
যা খাবেন-
১. চিকেন পক্সে হলে এক চামচ মধুর সঙ্গে গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
২. প্রচুর পানি পান করতে হবে। আর শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে বিভিন্ন ফলের জুস, বাটার-দুধ, লাচ্ছি ও স্যুপ খেতে পারেন।
৩. চিকেন পক্সে আক্রান্তদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. খেতে হবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। যা সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে।
৫. অ্যান্টব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ কাঁচা পেঁপে খেলে উপকার পাবেন।
৬. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিম্যালারিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল সমৃদ্ধ নিম পাতা চিকেন পক্স নিরাময় করে। তাজা নিম পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৭. নিম সিদ্ধ পানি দিয়ে গোসল করলেও উপকার পাবেন।
যা খাওয়া যাবে না-
চর্বিযুক্ত খাবার: চর্বিযুক্ত খাবার বিশেষ করে নারকেল, মাখন, চকলেট, বাদাম ও পনির শরীরের প্রদাহ বাড়ায়। এসব খাবারে খুব বেশি পরিমাণে সম্পৃক্ত চর্বি থাকে। এ ধরনের চর্বি জলবসন্তের গুটির জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে।
মসলাযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার জলবসন্তের রোগীদের দেওয়া উচিত নয়। রোগীর মুখের ভেতরে ঘা থাকে বলে এ সময় এ ধরনের খাবার বাদ দেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত লবণ: অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্য সব সময়ই ক্ষতিকর। জলবসন্তের সময় এ ধরনের খাবার মুখের ক্ষত বাড়িয়ে দেয়।
অরগিনিনসমৃদ্ধ খাবার: চীনাবাদাম, ওয়ালনাট, পিনাট বাটার, চকলেট, বীজ ও কিশমিশে প্রচুর পরিমাণ অরগিনিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। অরগিনিন শরীরের উপকারী অ্যামিনো অ্যাসিড হলেও এই উপাদান জলবসন্তের জীবাণুর বংশ বিস্তার ঘটায়।
লেবু–জাতীয় ফল: জলবসন্তে আক্রান্ত শিশুকে ফলের রস দেওয়া যেতে পারে। ফলের রস দ্রুত পানি ও খনিজ উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে। তবে লেবু–জাতীয় ফলের রস শিশুকে না খাওয়ানোই ভালো। কারণ, উচ্চমাত্রায় সাইট্রিক অ্যাসিডের কারণে লেবুর রস মুখের ভেতরে গেলে ক্ষতস্থানে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হয়।