ছেড়া প্যান্ট পড়ে নামাজ হবে কি?
হাঁটুর উপরে প্যান্টে ছেঁড়া থাকলে তা পরা কি জায়েজ? আর এমন পোশাক পরে সালাত আদায় করলে তা সহিহ হবে কি?
Namaz। Islam। Quran । Hadith।
Pant। Pant। Pant। Pant । Pant।
Namaz। Islam। Quran । Hadith।
Pant। Pant। Pant। Pant । Pant।
Namaz। Islam। Quran । Hadith।
Pant। Pant। Pant। Pant । Pant।
সালাত বা নামাজের অন্যতম একটি ফরজ হলো, যে পোষাক পড়ে সালাত আদায় করা হবে তা পবিত্র হওয়া। অপবিত্র পোষাকে সালাত আদায় করা হারাম। তবে এমন কিছু পোষাক আছে, যা পবিত্র, কিন্তু সে সব পোষাক পড়ে সালাত পড়া মাকরূহ। আবার এমন পোষাক আছে যা হারাম নয়, মাকরূহও নয়।
ভালো পোষাক না থাকলে নোংরা-ময়লা-ছেড়া পোষাক পড়ে সালাত আদায় করাতে অসুবিধা নেই। কিন্তু কেউ যদি শুধু নামাজের জন্য নোংরা-ছেড়া পোষাক নির্ধারণ করে রাখে- ফকিহদের দৃষ্টিতে এটা মাকরূহ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা নামাজের সময় সুসজ্জিত পোষাক পড়ে নাও’- এ আয়াতের আলোকে গবেষকরা বলেন, মানুষের সামনে যেতে লজ্জা হয় ইচ্ছাকৃতভাবে এমন পোষাক পড়া মাকরূহ।
ফ্যাশন হিসেবে এ জাতীয় ছেঁড়া-ফাটা পোশাক পরা মুসলিমদের জন্য জায়েজ নয় কয়েকটি কারণে। যথা:
১) এমন পশাক পরা পাশ্চাত্য অপসংস্কৃতি ও তথাকথিত আধুনিক ফ্যাশনের অন্ধ অনুকরণ- যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
২) সতরের লঙ্ঘন। কেননা, অনেক আলেমের মতে, পুরুষের রানও সতরের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং পুরুষের জন্য নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা আবশ্যক। বিশেষ করে বর্তমান চতুর্মূখী ফিতনার যুগে। তবে একান্ত জরুরি প্রয়োজন হলে ভিন্ন কথা।
আর রানের কিয়দংশ দৃশ্যমান থাকার কারণে এমন পোশাক পরে সালাত আদায় করলে তা বাতিল হবে- তাতে কোন দ্বিমত নাই। কারণ পুরুষের জন্য সর্বনিম্ন দু কাঁধ এবং নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত সতর বা ঢাকা সালাতের পূর্বশর্ত।
৩) এমন পোশাক বিপরীত লিঙ্গের জন্য ফিতনার কারণ।
৪) এভাবে রাস্তাঘাটে পথ চলা ইসলামি শালীনতা, লজ্জাবোধ ও ব্যক্তিত্বের পরিপন্থী।
মহান আল্লাহ মুসলিম যুবকদেরকে তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার বিষ বাষ্প ও জাহেলিয়াত পূর্ণ রীতি-নীতির অন্ধ অনুকরণ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
আল্লাহু আলাম।
–আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
অল্প ছেড়া জিন্সের প্যান্ট পড়ে নামাজ হবে যদি তাতে সতর ঢাকা থাকে।নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার অন্যতম একটি শর্ত হলো সতর ঢেকে রাখা। নামাজে পুরুষের নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখা ফরজ।
Namaz। Islam। Quran । Hadith।
Pant। Pant। Pant। Pant । Pant।
Namaz। Islam। Quran । Hadith।
Pant। Pant। Pant। Pant । Pant।
তবে ইসলামে পোশাকের নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। নীতিমালা অনুসরণ করে নিজস্ব সংস্কৃতির যেকোনো পোশাক পরিধান করার অবকাশ আছে। তবে সুন্নাহসম্মত পোশাক পরিধান করা উত্তম।
আর পশ্চিমাদের কৃষ্টি-কালচার ও সভ্যতা-সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকা জরুরি। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে কোট-স্যুট ও প্যান্ট-শার্ট পশ্চিমাদের সংস্কৃতি থেকে আমাদের সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়েছে। তাই কাফিরদের সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় মৌলিকভাবে এগুলো পরিহার করা উচিত।
নামাজ এবং নামাজের বাইরে সবসময় টাখনুর ওপর প্যান্ট-পাজামা-লুঙ্গি পড়া পুরুষের জন্য আবশ্যক। অনেকে শুধু নামাজের সময় টাখনুর ওপর কাপড় উঠিয়ে রাখেন, নামাজ শেষে আবার কাপড় নামিয়ে ফেলেন- এটা মন্দের ভালো ছাড়া আর কীই বা বলা যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়া অংশটুকু জাহান্নামে ফেলা হবে।’
থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরে নামাজ পড়া জায়েজ?
থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরে নামাজ পড়তে পারবেন। তাতে কোনো সমস্যা নেই। আপনার নামাজ হয়ে যাবে। কিন্তু কথা হলো—ইবাদতের শালীনতার সঙ্গে এটি মোটেও যায় না। আল্লাহ বলেছেন, প্রতিটি সালাতের সময় তোমরা যখন মসজিদে যাবে, তখন ভালো পোশাক পরে যাবে। এখন থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট তো শালীন ড্রেস নয়। আল্লাহর সামনে আপনি এ পোশাক পরে দাঁড়িয়েছেন। এটা তো হতে পারেন। আপনি তো আর অফিস কিংবা কোনো কাজে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরে যান না। তাহলে আল্লাহর সামনে কেন পরে যাবেন এসব। এসব বোঝার বিষয়, বুঝতে হবে আপনাকে।