বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ?
উত্তর:- না, এখনো পর্যন্ত বিটকয়েন Cryptocurrency কে বাংলাদেশে বৈধ করা হয়নি। তবে দেশের মানুষের ভালো সুবিধার জন্য, যে কোন মুহুর্তে বৈধ করা হতে পারে।
Bitcoin কে বর্তমানে সারা বিশ্বে অনলাইন সর্ণমুদ্রা অর্থাৎ Golden Currency নামে ডাকা হয়ে থাকে৷ যদিও বাংলাদেশে এখনো এই বিটকয়েন বা এই অনলাইনের সর্ণ ভাণ্ডার কে অবৈধ হিসেবে গণ্য করে থাকে।
অর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিটকয়েন ডলার ব্যবহার করা খুবই সহজ। এবং এখানে ৩য় পক্ষ নেই, অর্থাৎ আমি বুঝাতে চাচ্ছি, বিটকয়েন ব্যবহার করে সারাবিশ্ব থেকে কেনাকাটা করা সম্ভব এবং টাকা withdraw করে হাতে পাওয়া সম্ভব হয়, তবে অন্য কাউকে এর জন্য কোন খরচ দিতে হয়না।
যেমন ধরুন, বাংলাদেশে বিকাশ, নগদ, রকেট এবং অন্যান্য ব্যাংক একাউন্ট এর ক্ষেত্রে আমাদের থেকে লাভবান হয় অন্যান্য সদস্যরা, সাথে সাথে আমরাও সার্ভিস পেয়ে থাকি। এতে করে আমাদের লেনদেন থেকে কিছু অর্থ কিন্তু ৩য় পক্ষের কাছে চলে যায়। এবং শুধু ৩য় পক্ষ সম্পদের পাহাড় গড়ে এবং আমাদের সব কিছুই অন্যের অধিনে থাকে।
কিন্তু বিটকয়েন লেনদেন এর ক্ষেত্রে সম্পুর্ন আলাদা, আপনার অর্থে কেউ অংশিধার থাকবে না। নিজেই নিজের অর্থ দেখাশোনা করতে পারবেন, এবং সারাবিশ্বে অর্থিক চাহিদা পুরন করে সহজ পথচলায় অংশ নিতে পারবেন। তাই বিটকয়েন কে বুদ্ধিমানদের কয়েন ও বলা হয়।
বিটকয়েন – Bitcoin: সর্ণ ভাণ্ডার অবৈধ? পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ
বিটকয়েন কে ভার্চুয়াল জগতের সর্ণ ভাণ্ডার মনে করা হয়! কারন কি জানেন?
যারা বিটকয়েন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে একটু মন দিয়ে ভাববেন, তারা বুঝতে পারবেন, কেন এটি সর্ণ ভাণ্ডার। এর প্রধান কারণ হলো, সারা বিশ্বে বিটকয়েন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, বিশেষ করে উন্নত বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে বিটকয়েন নিয়ে।
বং এই বিটকয়েন এর মাধ্যমে লেনদেন করা হলো সব চেয়ে সহজ, এবং নিরাপদ। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিটকয়েন হলো আরেকটি ভরসার নাম। যদি বাংলাদেশে বিটকয়েন বৈধ করে দেওয়া হতো তবে সব চেয়ে বেশি উপকৃত হত ফ্রিল্যান্সাররা।
কারন এদেশের ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং করে টাকা দেশে আনার ক্ষেত্রে নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাছাড়া অন্যান্য পেমেন্ট ওয়ালেট এ প্রচুর পরিমাণে Fees দিতে হয়।
বাংলাদেশে বিটকয়েন কে বৈধতা না দেওয়ার কারনঃ
এটা আশা করা যায় যে, বাংলাদেশ ও এক সময় বিটকয়েন কে বৈধ করে দিবে, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে, অবশ্যই এটা হতে পারে। তবে তখন হয়তো পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ। এটা ধারনা করা যায় যে, এই মুহূর্তে উন্নত দেশের বুদ্ধিমান জনগণ তাদের নিজের ভান্ডারে প্রচুর পরিমাণে বিটকয়েন জমা করে রাখছে। যখন সারা বিশ্বে বিটকয়েন আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তখন তাড়া, সেই বিটকয়েন গুলো ক্যাশ করে টাকায় রুপান্তর করে নিবে। কিন্তু পিছনে থাকবে যারা বিটকয়েন কে অবৈধ করে রেখেছিল।
এ দেশে বিটকয়েন কে অনিরাপদ মনে করা হয়, এটা কোন যুক্তিতে তার কোন ভিত্তি নেই। অনেকেই মনে করে বিটকয়েন এ অর্থপ্রাচার, কালোবাজারি, বা জুয়া ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হতে পারে তাই বিটকয়েন কে বৈধতা দিতে রাজি নন বাংলাদেশ।
কিন্তু ভাবা উচিত যে, সব জিনিসকেই চাইলেই খারাপ ভাবে ব্যবহার করা যায়। বিটকয়েন কে যদি কেউ খারাপ কাজে ব্যবহার করে থাকে৷ তাহলে দোষ টা কিন্তু ব্যবহারকারির, এখানে বিটকয়েন কে দোষ দেওয়া বুকামি ছাড়া কিছুই না।