Pumpkin
Pumpkin is a very simple speech and preaching food of our country. The pumpkin and its seeds are in the building method. These are important for our hygiene.
মিষ্টিকুমড়া আমাদের দেশের অনেক সহজলভ্য এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। মিষ্টিকুমড়া এবং এর বীজ এর রয়েছে নানাবিধ উপকারী দিক। আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় এরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
Benefits of eating Pumpkin – মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা
(১) মিষ্টি কুমড়াতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। তাছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা হাইপারটেনশন এবং হৃদরোগ দূরে রাখে। এছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন উপাদান। ইউরিনেশনের সমস্যা কমায় ও কিডনিতে পাথর হতে বাধা প্রদান করে।
(২) মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় তা সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টি কুমড়ার জুড়ি নেই।
(৩) মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও আলফা হাইড্রোক্সাইড। জিংক ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে।
(৪) মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। বিটাক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি তাই চোখের জন্য খুবই ভালো। বয়সজনিত রোগ বিশেষ করে রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শুধু চোখের অসুখ নয়, ভিটামিন এ-এর অভাবজনিত অন্যান্য রোগেও মিষ্টি কুমড়া উপকারী।
(৫)গাজরের তুলনায় মিষ্টি কুমড়াতে অধিক পরিমাণে বিটাক্যারোটিন। গাজরে যেখানে ১৩ মিলিগ্রাম বিটাক্যারোটিন রয়েছে, মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে ৩৩ মিলিগ্রাম বিটাক্যারোটিন। বিটাক্যারোটিন এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন দূষণ, স্ট্রেস ও খাবারে যে সব কেমিক্যাল ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে সেগুলোর কারণে ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজের ফলে শরীরের ভালো কোষগুলো নষ্ট হতে শুরু করে এবং খারাপ কোষের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। সবুজ, কমলা, হলুদ রঙের সবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি পরিমাণে থাকে। তাই মিষ্টি কুমড়া ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে পারে।
(৬) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে। আর্টারির দেয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাধা প্রদান করে। ফলে মিষ্টি কুমড়া নিয়মিত খেলে হৃদরোগও প্রতিরোধ করা যায়।
(৭) মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়ার ভিটামিন এ ও সি চুল ও ত্বক ভালো রাখে। তাই চকচকে উজ্জ্বল চুল ও সুন্দর ত্বকের জন্য নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।
Benefits of pumpkin seeds
মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারীতা।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা সম্পর্কে-
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় : এই বীজ পাকস্থলী, ফুসফুস, ব্রেস্ট, কোলন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় : মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর জিংক। যা প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া সবল শিশু জন্মসহ বিভিন্ন রোগ নিবারণ করে।
ব্যথানাশক : আথ্রাইটিসের ব্যথা সারাতে উপকারী মিষ্টি কুমড়ার বীজ। জয়েন্ট পেইন দূর করতেও বেশ উপকারী এই বীজ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : এই বীজে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটো ক্যামিকেল থাকে। এসব উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীর সুস্থ রাখে।
হাড়ক্ষয় রোধ : শরীরে জিংকের অভাব হচ্ছে হাড়ক্ষয় রোগের প্রধান কারণ। জিংকসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাদ্যের উত্স হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ। মিষ্টি কুমড়ার বীজ হাড়ক্ষয় রোধ করে।
হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী : মিষ্টি কুমড়ার বীজে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে প্রচুর। এসব উপাদান হৃদযন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। এই বীজে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
প্রাকৃতিক ঘুমের ওষুধ : মিষ্টি কুমড়ার বীজে আছে সেরোটোনিন নামের একটি নিউরো ক্যামিকেল, যা প্রাকৃতিক ঘুমের ওষুধ হিসেবে বিবেচিত। এতে ট্রিপটোফ্যান নামের একটি অ্যামাইনো অ্যাসিডও থাকে, যা শরীরে সেরোটোনিন তৈরি করে। এর ফলে এই বীজ খেলে ভালো ঘুম হয়। তাই ঘুমানোর আগে পরিমাণ মতো মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে উপকার পাবেন বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় : এই বীজে জিংক আছে। গবেষণায় জানা গেছে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে ও প্রোস্টেটের সমস্যা দূর করতে জিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মিষ্টি কুমড়ার বীজে ডাই হাইেড্রো এপি এন্ড্রোসটেনেডিয়ন নামের উপাদান থাকে, যা প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী: মিষ্টি কুমড়ার বীজ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই বীজে ডাইজেস্টিভ প্রোটিন বেশি থাকায় তা ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখে।
ওজন কমায় : মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর প্রোটিন থাকে বলে এটি খেলে শরীরে শক্তি জোগায়। এতে আঁশ বেশি থাকে বলে এই বীজ খাওয়ার পর অন্য খাবার বেশি খাওয়ার আগ্রহ জাগে না। এ কারণে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থেকে শরীরের ওজন কমাতে পারেন আপনি।
চুল জন্মাতে সাহায্য করে : এই বীজে কিউকারবিটাসিন নামের একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা চুল জন্মাতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি থাকে প্রচুর, যা চুল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মিষ্টি কুমড়ার বীজের তেল মাথার তালুতে ব্যবহার করতে পারেন অথবা প্রতিদিন পরিমিত এই বীজ খেতে পারেন।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ কীভাবে খাবেন? এত সব উপকার পেতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ সিদ্ধ করে খেতে পারেন। অথবা সালাদে, তরকারিতে এই বীজ যোগ করে খেতে পারেন। এছাড়াও স্মুদি বা সসের সঙ্গে মিশিয়েও এই বীজ খেতে পারেন
Leave a Reply