ইতিহাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এটি 1921 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটির ঐতিহাসিক উৎপত্তি বিশেষভাবে স্মরণীয়।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতির শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের উন্নতি এবং স্বাধীনতা চেতনা প্রসারিত করা। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পেল এবং 1971 সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমিকা পেল।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তৈরি করার জন্য বৃটিশ শাসনকে কৃত্রিম তথা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল, যা বাঙালি সংস্কৃতি, শিক্ষা, এবং সামাজিক প্রগতির মাধ্যমে সংগ্রহবতী প্রকল্পের একটি অংশ ছিল। এটি ব্রিটিশ শাসনের উপায়ে একটি উদ্দেশ্য ছিল যার মাধ্যমে সামাজিক কুঠারে আর্থিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা বদলে নেওয়া হতো।

 

১৯২০ সালে, ইয়েল কমিশন নামে একটি কমিশন গঠিত হয়েছিল, যা একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে যেখানে বাংলা স্পোকেন প্রধান উপদেশ ক্ষেত্র হতে হয়। এর ফলে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হতো। তবে, পরিযাপ্ত বৌদ্ধিক সমর্থন না থাকার কারণে এই প্রস্তাবনাটি প্রত্যাখ্যাত হয়ে যায়।

 

এরপর, ১৯২১ সালে ব্রিটিশ শাসন একটি পুনর্নির্মাণ প্রস্তাবনা জারি করে, যার ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই নির্ণয়ের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯২১ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হয়।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রযুক্তি এবং শিক্ষাবিজ্ঞানে পরিষ্কার এবং উন্নত পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ ও বৃদ্ধি সহ নতুন শিক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করেন।

 

এই ভাবনার মাধ্যমে, ব্রিটিশ শাসন প্রতিরূপ প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাবিদ উত্তরাধিকারী নৈতিক আদর্শ প্রদান করে, যার ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার একটি নির্মাণশীল জীবন শৈলী বজায় রাখতে সাহায্য করে।

 

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বগুলি অধ্যাপক শফিউল্লাহ, আবুল ফয়েজ মোহাম্মদ কামাল এবং এ. এ. ফায়েজ পর্যাপ্ত দানবদ্ধ করেছে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস একটি ঐতিহাসিক এলাকায় অবস্থিত যা প্রাচীন এবং আধুনিক স্ট্রাকচারে সমন্বিত। এটি বিভিন্ন শিক্ষাগত এবং গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের একটি বাড়ি হিসেবে কাজ করে, যা বিভিন্ন শাখার উপাধিত পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিকুঞ্জ এবং এটির ঐতিহাসিক সাক্ষী হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মতো ঘটনাগুলির চিত্রণ করে।

 

  1. **প্রতিষ্ঠানের পূর্বতত্ত্ব**: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবার প্রতিষ্ঠিত হয় 1921 সালে, এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মাধ্যমে স্বাধীনতা আদান-প্রদান করা।

 

  1. **অধ্যাপক শফিউল্লাহ**: প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাধ্যক্ষ হিসেবে শফিউল্লাহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

 

  1. **একুশে ফেব্রুয়ারি**: এই দিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ছাত্র-ছাত্রীদের মৃত্যু দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে শহীদের আমলে পরিণত হয়েছিল।

 

  1. **স্বাধীনতা সংগ্রাম**: ১৯৫২ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা আন্দোলন আয়োজিত হয়, যা পরিস্থিতিকে পরিবর্তন এনে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন সম্প্রদায় এবং প্রচেষ্টা সৃষ্টি করে।

 

  1. **মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা**: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্বাধীনতা সংগ্রামের মহত্ত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।

 

  1. **গবেষণা এবং শিক্ষাবাদ**: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা কাজ চলছে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষাবাদি প্রদান করা হচ্ছে।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি বিভিন্ন শিক্ষাগত এবং গবেষণামূলক ক্ষেত্রে উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৫০,০০০ ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছেন, যা বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন এবং স্নাতক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন শিক্ষাগত এবং গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত আছে, যা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন এবং গবেষণা কাজে সাহায্য করে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য বর্তমানেও প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকা, শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে ও সৃজনশীলতায় উন্নতি করা। এটি বিভিন্ন পেশাগত এবং সামাজিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে যা ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যারিয়ার তৈরি করতে সাহায্য করে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন গবেষণামূলক কাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা কাজে অংশগ্রহণ করা হয়, যা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞান, এবং আরও অনেক বিষয়ে অধ্যয়ন এবং উন্নতির দিকে মুখায়িক করে।

 

সামাজিকভাবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থানীয় সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেকে যুক্ত করে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বিভিন্ন সামাজিক সেবা প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে।

 

সংক্ষিপ্ত করে বলতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গুণমান ও উন্নতির দিকে সম্প্রেষণ করছে, তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link