স্বাস্থ্য

সেলিয়াক রোগ প্রতিরোধে করণীয় – Celiac disease in Bangla

সেলিয়াক রোগ (Celiac disease in Bangla)

 

গ্লুটেন জাতীয় খাদ্য ভেঙে ফেলা কঠিন হয়ে যায় সেলিয়াক ডিজিজের ফলে। গ্লুটেন হল এমন এক ধরনের প্রোটিন যা, গম, রাই, বারলি, ওটে পাওয়া যায়। এছাড়াও পাউরুটি, পাস্তা, পিৎজা, শস্য জাতীয় খাবারে পাওয়া যায় গ্লুটেন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে এই শারীরিক জটিলতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সংক্রান্ত সমস্যা। এটি একটি অটো ইমিউন কন্ডিশন। এমন শারীরিক জটিলতায় মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাঁর শরীরের বিরুদ্ধে গিয়ে নানান সমস্যা তৈরি করে। গ্লুটেন জাতীয় খাবারে সমস্যা বেড়ে যায়। অনেকেই এর চিকিৎসা করান না। ফলে সমস্যা বাড়তে থাকে। এতে প্রভাব পড়ে রোগ অন্ত্রে। প্রভাব পড়ে হজমের ক্ষেত্রে। এই শারীরিক জটিলতা থাকলে, একজন মানুষ তাঁর শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য বহু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খেতে পারেন না।

 

সেলিয়াক রোগ (Celiac disease in Bangla) কি?

 

সবচেয়ে খাদ্য খাবার ময়দার আঠা কারণ একটি অটোইমিউন ব্যাধি celiac রোগ বলা হয়। দানাশস্য এবং বীজ, খাদ্য যেমন বার্লি ও গম পদার্থ একটি প্রোটিন এই প্রোটিনের উপস্থিতি Gluten.Due হিসাবে বলা গঠিত, রুটি মালকড়ি ইলাস্টিক হয়ে যায় এবং রুটি এটা চর্ব্য করে তোলে। celiac রোগ মানুষের দুর্ভোগ জন্য একটি ময়দার আঠা-বিনামূল্যে খাদ্য।

 

যখন celiac রোগ ভুগছেন ময়দার আঠা ব্যক্তি, লোকসান Villi (ক ছোট ছোট অন্ত্রের প্রাচীর উপস্থিত আঙুল মত একটি প্রসারক বর্ণন) ধারণকারী খাদ্য ভোজনের, কারণ তাদের শরীরের প্রোটিন Riaekt ওভার।

 

আহত Villi পুষ্টি খাদ্য থেকে শুষে থেকে ক্ষুদ্রান্ত্র প্রতিরোধ। এই কারণে, শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি অনুপস্থিতি এবং বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা উন্নয়ন। এই ধরনের ক্যান্সার, নার্ভ রোগ, গর্ভপাতের মতো বন্ধ্যাত্ব এবং সবচেয়ে খারাপ ক্ষেত্রে রয়েছে। এটা শরীরের অস্টিওপরোসিস মধ্যে হাড়ের ঘনত্ব স্তরের অভাবে রয়েছেন।

 

সেলিয়াক রোগের কারণ – The cause of celiac disease in Bangla 

 

Celiac রোগের কারণ পিছনে কারণ পরিচিত হয় না, কিন্তু জিন celiac রোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত, পিতা, মা, বোন, ভাই, মেয়ে বা ছেলে সহ প্রথম ডিগ্রী সম্পর্ক থেকে

সংক্রমণের কারণে অন্যান্য কারণের কারণে পরিবেশে পরিবর্তন দ্রুততর হতে পারে। গ্লুটেনের গঠিত খাদ্যগুলি ব্যক্তিদের ইমিউন সিস্টেমকে জড়িয়ে ফেলতে পারে যে গ্লুটেন অসহিষ্ণু।

 

সেলিয়াক রােগের প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গুলি কি কি?- What are the main signs and symptoms of celiac disease in Bangla? 

 

এই রােগের কারণে অন্ত্রে যে সমস্যা তৈরি হয় তা সাধারণভাবেই প্রত্যক্ষ করা যায়, তবে, শিশু ও প্রাপ্তবয়ষ্ক। মানুষের দেহে লক্ষণগুলি কিছুটা আলাদা রকম হতে পারে। সেলিয়াক রােগের কিছু লক্ষণ নিচে উল্লেখ করা হলাে:

  • ডায়রিয়া বা পেট খারাপ • পেট ফাঁপা। • কোষ্ঠকাঠিন্য • বমি • ফ্যাকাশে, পাতলা, ভাসমান ধরণের মল ত্যাগ • বদহজম • অম্বল। • অম্বলের কারণে গলা জ্বালা

পাচনতন্ত্রের উপসর্গগুলি ছাড়া আর যে যে উপসর্গ। লক্ষ্য করা যায়:

  • রক্তাল্পতা অর্থাৎ অ্যানিমিয়া এবং ওজন হ্রাস • হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া • ত্বকের চুলকানি ও তার সঙ্গে ব্যাশ বা ফুসকুড়ি ওঠা

(আরও পড়ুন: ত্বকের ব্যাশের চিকিৎসা) • দাঁতের সাদা রঙ অথবা এনামেল নষ্ট হয়ে যাওয়া • মাথাযন্ত্রণা • মুখের ঘা

 

সেলিয়াক রোগের চিকিৎসা- Treatment of celiac disease in Bangla 

 

সেলিয়াক রােগের লক্ষণ প্রায়ই বদলাতে থাকে, আর সেই কারণে মাত্র 20 শতাংশ রােগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরে। সেলিয়াক রােগ হয়েছে কিনা তা জানার জন্য পরিবারের চিকিৎসাগত ইতিহাস, রােগীর চিকিৎসাগত ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করা হয়, সেই সঙ্গে রােগীর খাদ্য তালিকা দেখা হয়, এছাড়াও, রক্ত পরীক্ষা এবং বায়ােপসি করেও দেখা হতে পারে। দুরকমের রক্ত পরীক্ষা করা হয়ঃ প্রথমটি হলাে সেরােলজিকাল টেস্ট যার ফলে জানা যায় গ্লুটেনকে বিনষ্ট করার জন্য শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি আছে কি না। আর দ্বিতীয় হলাে হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন (এইচএলএ)-এর জন্য জেনেটিক টেস্ট। ক্ষুদান্ত্রে যেসব ছােটো ছােটো শােষক নল থাকে তার পরিকাঠামােগত কোনও ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জানার জন্য অন্ত্রের বায়ােপসি করা হয়। তবে, এইসব পরীক্ষায় সঠিক এবং ঠিকমতাে ফলাফল যাতে আসে তার জন্য এই সময় গ্লুটেন জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে বলা হয়। এই ধরণের অসুখে পরবর্তীকালে শারীরিক পরীক্ষা বছরে একবার এবং তা আজীবন চালিয়ে যেতে হয়।

 

এই রােগ থেকে একেবারে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হলাে গ্লুটেন নেই এমন খাবার খেতে হবে, এমনকি গ্লটেনের উপস্থিতি আছে এমন কোনও ওষুধ, সাপ্লিমেন্ট বা সম্পূরক খাদ্য এবং পানীয় গ্রহণ করা যাবে না।। একজন ভালাে পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যতালিকায় গ্লুটেনমুক্ত খাবার যেমন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনই এটাও দেখতে হবে শরীরে যেন প্রয়ােজনীয় প্রােটিনের | ঘাটতি না হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে । যাওয়া অন্ত্র সেরে উঠতে শুরু করে, ক্ষুদ্রান্তে অবস্থিত শােষক নলও আবার তৈরি হয়ে যায় কয়েক মাসের | মধ্যে। অন্ত্র পুনরায় আগের মতাে হয়ে এলে প্রদাহ দূর হয়। এবং উপসর্গগুলিও আর দেখা দেয় না। খাবার ও পানীয় গ্রহণের সময় শতর্ক থাকতে হবে। প্যাকেটের গায়ে দেখে নিতে হয় প্লুটেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ব্যাপারটি। সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে তবেই তা কিনতে হয়। স্টার্চযুক্ত বা গ্লুটেনবিহীন কিছু খাদ্য, শস্য: • ভুট্টা, নটেশাক, পেশাই করা ভুট্টা বা কর্নমিল,

চালবাজরা, সাবু দানা ও অ্যারারুট। • তাজা মাংস, মাছ, পােল্টি জাতীয় খাবার, বেশিরভাগ দুগ্ধজাতীয় খাদ্য ও শাকসজি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link