বিজ্ঞান জিজ্ঞাসা

বিড়াল কিভাবে অন্ধকারে দেখতে পায়?

 

বিড়াল আমাদের খুব পরিচিত একটি প্রাণী। এই আদুরে প্রাণীটি আমরা অনেকেই শখ করে পুষে থাকে। এছাড়া বিড়াল আমাদের চারপাশে সবসময়ই দেখা যায়। বিড়াল এর চোখ রাতের বেলা জ্বল জ্বল করে জ্বলে। তাই আমাদের মনে চিন্তা আসতেই পারে বিড়াল রাতের বেলা দেখতে পায়।

বিড়াল কি সত্যিই রাতের বেলা দেখতে পায়? এটি কি তাদের কোনো বিশেষ ক্ষমতা? চলুন জানার চেষ্টা করি।

 

আমরা প্রায়ই খেয়াল করে থাকব, বিড়ালের চোখ রাতের বেলা অন্ধকারের মধ্যে উজ্জ্বল আলোয় জ্বলতে দেখা যায়। তাই আমাদের মনে হতে পারে বিড়াল রাতের বেলা হয়তো দেখতে পায়। কিন্তু সত্যি বলতে বিড়াল রাতের বেলা দেখতে পায় না। তবে বিড়াল অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় রাতের বেলা সামান্য অন্ধকারে বা যেকোনো অন্ধকার পরিবেশে মানুষের তুলনায় বেশি ভালো দেখতে পায়। আমরা মানুষরা কিন্তু একদম অন্ধকারে কিছুই দেখতে পারি না। তদ্রুপ বিড়ালদেরও একই অবস্থা। বিড়ালও রাতের অন্ধকারে কিছুই দেখতে পারে না। কিন্তু আমরা মানুষরা স্বল্প আলোতে ভালো দেখতে না পেলেও বিড়ালদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিড়ালরা অল্প আলোতে অনেক ভালো দেখতে পায় মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায়। বিড়ালের অল্প আলোতে ভালো দেখতে পাওয়ার পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। কারণটি হলো বিড়ালের চোখের গঠন এবং অবস্থান মানুষের চোখের গঠন এবং অবস্থান থেকে ভিন্ন। আমাদের মানুষের চোখের অবস্থান আমাদের মুখমন্ডলের অনেকটা ভেতরের দিকে। অন্যদিকে বিড়াল মহাশয়দের চোখের অবস্থান তাদের মুখমন্ডলের একদম সামনের দিকে এবং অনেকটা বাহিরের দিকে তাদের চোখের অবস্থান। এর ফলে বিড়ালের ২ টি চোখ একসাথে ভালো কাজ করে এবং একটি বিশেষ দিকে ভালোভাবে লক্ষ করে দেখতে সক্ষম। অনেকটা দূরবীন যেভাবে কাজ করে দূরের বস্তু ভালোভাবে দেখতে তেমনি সেভাবে বিড়ালের দুইটি চোখ একত্রে কাজ করে। তাই বিড়াল স্বল্প আলোতে যেকোনো জিনিস খুবই ভালো দেখতে পায়। আর বিড়ালের চোখ যে জ্বল জ্বল করে সেটির পিছনে রয়েছে ভিন্ন কারণ। বিড়ালের চোখ রাতের অন্ধকারে জ্বল জ্বল করে কারণ তাদের চোখের ভেতর টেপিডাম লুসিডাম নামক বিশেষ এক কোষ রয়েছে। এই টেপিডাম লুসিডাম নামক কোষের কারণে বিড়ালের চোখ রাতের অন্ধকারে জ্বল জ্বল করে জ্বলে বলে মনে হয়। আর বিড়ালের চোখ রাতের আধারে জ্বল জ্বল করে বেলা আমরা ভাবি বিড়াল হয়তো রাতের আধারে দেখতে পায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link