শায়খ আহমাদুল্লাহ জীবনী | Biography of Shaykh Ahmadullah
৫৬ হাজার বর্গমাইলের সীমানা পেরিয়ে যে ক’জন বাঙালি আলেমের বিশ্বময় পরিচিতি ঘটেছে শায়খ আহমাদুল্লাহ (Shaykh Ahmadullah) তাদের মাঝে অন্যতম।
শায়খ আহমাদুল্লাহ (Shaykh Ahmadullah) ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে বিদিত পিতা দেলোয়ার হুসাইন এর ঘর আলোকিত করে ১৫ই ডিসেম্বর ১৯৮১ সালে লক্ষীপুর জেলার বশিকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবনে শায়খ নোয়াখালীর হাতিয়ায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ফয়যুল উলুম মাদরাসা থেকে মুতাওয়াসসিতাহ বা (ssc) পাশ করেন।
১০’ম র্যাংকে অবস্থান অর্জন সহ দেশখ্যাত হাটহাজারী মাদরাসা চট্টগ্রাম থেকে সানুবিয়াহ বা (hsc) উত্তীর্ণ হন।
এরপর যশোরের প্রাচীন দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘দড়াটানা মাদরাসা’ থেকে ৩য় র্যাংক প্রাপ্ত হয়ে ফযিলত [Graduate] ও ২য় র্যাংক পেয়ে দাওরায়ে হাদিস তাকমিল (masters) শেষ করেন৷ সবশেষে ‘খুলনা দারুল উলুম’ থেকে ইফতা বা মুফতী কোর্স কম্পলিট করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
কর্মজীবনে শায়খ আহমাদুল্লাহ সৌদি আরবের পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি সেন্টারের বাংলা ভাষার সম্মানিত একজন দাঈ হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন।
বর্তমানে তিনি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাঝে ইসলামী জ্ঞান পৌছে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন। লেখালেখি, সভা সেমিনারে বক্তব্য প্রদান, নানামুখী দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা,উন্মুক্ত ইসলামী প্রোগ্রাম, ইসলামী প্রশ্নোত্তরমূলক অনুষ্ঠানে যোগদান, টিভি অনুষ্ঠানে যোগদান সহ নানামুখী সেবামূলক কাজে জড়িত রয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ । সম্প্রতি যার অন্যতম নতুন সংযোজন “আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন” এর মাধ্যমে দেশব্যাপী রাসূল (স) এর সীরাত প্রতিযোগিতা আয়োজন যা সারা দেশে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ (Shaykh Ahmadullah) গবেষণা ফিল্ডে বেশ সরব। প্রতিনিয়ত কুরআন সুন্নাহর উপর গবেষণা লব্ধ তার বক্তব্য প্রকাশ হচ্ছে “আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন” এর ইউটিউব চ্যানেলে। এছাড়াও এপর্যন্ত শায়খ আহমাদুল্লাহ’র শতাধিক গবেষণালব্ধ আর্টিকেল প্রকাশ পেয়েছে যার মধ্যে ১৫ টির অধিক আরবীতে প্রকাশ হয়েছে বলে জানা যায়।
কুরআন সুন্নাহকে জীবনে লালন করা এ ব্যাক্তিটির কাছে তার স্বপ্ন সম্বন্ধে জানতে চাইলে জানা যায় ; কুরআন সুন্নাহর আলোকে সুন্দর উপায়ে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সত্যমিথ্যার চক্র থেকে মানবতাকে মুক্ত করার জন্য সত্য, সুন্দর ও শক্তিশালী যুগোপযোগী মিডিয়ার জগত গড়ে তোলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করা।
মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ খাঁন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)