ইসলামইসলামিক বিষয়াদি

রোজা রেখে রক্ত দেওয়ার ইসলামিক বিধান

রোজা ভঙ্গের কারণ হচ্ছে স্বাভাবিক প্রবেশ পথ দিয়ে শরীরে কোনো কিছু প্রবেশ করা। শরীর থেকে কোন কিছু বের হলে রোজা ভঙ্গ হয় না। তাই রক্ত দিলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত দিলে রোজা ভাঙবে না। তবে কেউ যদি শারীরিকভাবে এমন দুর্বল হয় যে, রক্ত দিলে সে রোজা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেলবে- তাহলে তার জন্য রক্ত দেওয়া মাকরুহ।

 

-আহসানুল ফাতাওয়া: ৪/৪৩৫

 

হজরত আকরামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) হজের জন্য ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন এবং রোজা অবস্থায়ও শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন।

অন্য হাদিসে হজরত সাবিত আল বানানী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আনাস বিন মালেককে (রা.) জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে, রোজাদারের জন্য শরীর থেকে শিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত বের করাকে আপনি কি অপছন্দ করেন? জবাবে তিনি বলেন, না, আমি অপছন্দ করি না।

তবে দুর্বল হয়ে পড়ার ভয় থাকলে ভিন্ন কথা। -সহিহ বোখারি: ১/২৬০

তাছাড়া রক্তদান একজন রোগীর সেবার অন্তর্ভুক্ত। কারণ পবিত্র কোরআনে আছে, যে ব্যক্তি কোনো মানুষের জীবন রক্ষা করল, সে যেন পুরো মানবজাতিকে রক্ষা করল।

 

অন্য হাদিসে সাবিত আল-বুনানি (রহ.) বলেন- আনাস ইবনে মালিক (রা.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে, রোজাদারের জন্য শরীর থেকে শিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত বের করাকে কি আপনি অপছন্দ করেন? জবাবে তিনি বলেন- না, আমি অপছন্দ করি না। তবে দুর্বল হয়ে পড়ার ভয় থাকলে ভিন্ন কথা। (বুখারি, হাদিস : ০১/২৬০)

 

কেননা, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজা রেখে সিঙ্গা লাগিয়েছেন। তা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। 

 

সিঙ্গার মাধ্যমে শরীরের বিষাক্ত রক্ত বের করা হয়। তাই রোজা রেখে নিজের টেস্ট/পরীক্ষার জন্য কিংবা কোনো রোগীকে দেওয়ার জন্য রক্ত দিলে, রোজার কোন ক্ষতি হবে না। তবে রক্ত দিতে গিয়ে দুর্বল হয়ে রোজা ভেঙ্গে ফেলার আশঙ্কা থাকলে, সে অবস্থায় রক্ত দেওয়া মাকরুহ হবে।

READ MORE:  পীর সম্পর্কে কি বলছে কুরআন হাদিস?

 

তথ্যসূত্র: বোখারী শরিফ, হাদিস নং-১৯৩৮, মুসলিম শরিফ, হাদিস নং-১১০৬,আবু দাউদ শরিফ, হাদিস নং-২৩৭২

 

অন্য হাদিসে সাবিত আল-বুনানি (রহ.) বলেন- আনাস ইবনে মালিক (রা.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে, রোজাদারের জন্য শরীর থেকে শিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত বের করাকে কি আপনি অপছন্দ করেন? জবাবে তিনি বলেন- না, আমি অপছন্দ করি না। তবে দুর্বল হয়ে পড়ার ভয় থাকলে ভিন্ন কথা। (বুখারি, হাদিস : ০১/২৬০)

 

তাছাড়া রক্তদান রোগীর সেবার রোগীর সেবার অন্তর্ভুক্ত। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কোনো মানুষের জীবন রক্ষা করল, সে যেন পুরো মানবজাতিকে রক্ষা করল। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৩২)

 

আর রক্ত নিলে যেহেতু এ রক্ত শরীরের উল্লেখযোগ্য চার নালি থেকে কোনো নালি দিয়ে প্রবেশ করে না, বরং শরীরের অন্যান্য ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে প্রবেশ করে; সুতরাং রোজাবস্থায় কারও শরীরে রক্ত দান করলে বা নিজে রক্ত গ্রহণ করলে রোজা নষ্ট হবে না।

 

তবে খুব বেশি পরিমাণে রক্ত দেওয়া, যার দ্বারা শরীরে দুর্বলতা আসে, তা মাকরুহ।

 

(আল কাসানি : ২/৯২, ইবনে আবিদিন : ৩/৪০০, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২০০)।

 

অতএব রোজা ভেঙে যাওয়ার কোনো প্রকার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে মানবসেবার তরে রমজান মাসে রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকা উচিত। এতে করে রোজার সওয়াবের পাশাপাশি মানবসেবার সওয়াবও পাওয়া যাবে।

 

ইনজেকশন নেয়া

 

ইনজেকশন নিলে রোজা নষ্ট হবে না। চাই তা মাংসে নেয়া হোক বা রগে। কারণ ইনজেকশনের সাহায্যে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশকৃত ওষুধ মাংস বা রগের মাধ্যমেই প্রবেশ করানো হয়ে থাকে, যা অস্বাভাবিক প্রবেশপথ, তাই এটি রোজা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য কারণ নয়।

 

(ইবনে আবিদিন, খ. ২, পৃ. ৩৯৫; (খ) ইবনু নুজাইম, খ. ২, পৃ. ২৭৮; (গ) আপকে মাসায়েল আওর উনকা হলো, খ. ৩, পৃ. ২১৪)

READ MORE:  "ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ" : লিরিক্স : অজানা তথ্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *