পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
অনেক সময় ওজন বেড়ে গেলে, শরীরে পুষ্টির । অভাব দেখা দিলে, নিয়মিত শরীরচর্চা না করে, দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করলে পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও কিডনির সমস্যা থাকলে, হৃদরােগের সমস্যা থাকবে, লিভারের কোনও সমস্যা থাকলেও পা ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। শিরার কারণেই বেশির সময় এই পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। বেশিক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। রক্তনালিকার মাধ্যমে পর্যাপ্ত রক্ত হৃদযন্ত্রে ফিরে যেতে পারে না। এতেই শিরাগুলাে ফুলে ওঠে এবং রস বেরােতে থাকে। এই রসগুলি চামড়ার তলায় জমে পা ফুলে যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে এডিমা বলে। আবার অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ এসিতে বসে কাজ করার ফলে ভিটামিন ডি-৩ অভাব হয়। এই কারণেও পেশিগুলাে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পা ফুলে যাওয়া এবং প্রদাহের সমস্যা দেখা যায়। যদি সাধারণ কারণে এই পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এর জন্য আপনি ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন।
-পা ফুলে গেলে সামান্য অলিভ অয়েলে দুই বা তিনটি রসুনের কুঁচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার এই তেল দিয়ে দিনে দু’- তিনবার ম্যাসাজ করুন। এতে প্রদাহও কমে যায় এবং ফোলাভাবও কমে যাবে।
– প্রতিদিন স্নানের পর হালকা গরম সর্ষের তেল দিয়ে পায়ে মালিশ করুন। কয়েক দিনের মধ্যেই এর প্রভাব আপনি দেখতে পাবেন।
-আদা দিয়ে চা তৈরি করে পান করতে পারেন। এতেও পায়ের প্রদাহ কমে যাবে।
-গরম জলে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মেশান। এবার এতে একটি তােয়ালে ভিজিয়ে তারপর সেটা পায়ে রাখুন। এতে কয়েকদিনের মধ্যে পায়ের এই ফোলাভাব দূর হয়ে যাবে।
– আধ কাপ জলে দু’ টেবিল চামচ গােটা ধনে। ভিজিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পরে সেই ধনে বেটে ওই পেস্ট পায়ে লাগান। এতে আপনি প্রদাহ থেকে দ্রুত স্বস্তি পাবেন।
– গরম জলে শিলা লবণ এবং ফটকিরির গুঁড়াে করে প্রতিদিন পায়ে সেঁক দিন। ধীরে ধীরে ফোলাভাব কমে যাবে।
-এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় খেয়াল রাখুন। জাঙ্ক ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া। কমিয়ে নিন। সীমিত পরিমাণে নুন এবং চিনি খান। -ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি করে খান। ফল খান বেশি করে। আপেল, নাশপাতি, কলা, বিট, ব্রোকলি, অঙ্কুরিত শস্য ইত্যাদি খাবার বেশি করে খান।
-একটানা পা ঝুলিয়ে বলবেন না। আর নিয়মিত ব্যায়াম করবেন বা হাঁটবেন।