ইতিহাস

মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির ইতিহাস পর্ব – ৩

সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী:

 

মুক্তাগাছা জমিদার
সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী

 

মুক্তাগাছার জমিদারদের মধ্যে মহারাজ সূর্যকান্ত ছিলেন দোর্দণ্ড প্রতাপের অধিকারী। ১৮৬৩ সালে লক্ষীদেবী মারা গেলে সূর্যকান্ত তখন নাবালক থাকায়, জমিদারি সরকার প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ “কোর্ট অব ওয়ার্ডস” এর অধীনে চলে যায়।

সরকার সূর্যকান্তের সম্পত্তি স্বীয় তত্ত্বাবধানে রেখে তাকে কোলকাতা এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশনে প্রেরন করে। সেখানে ৩ বছর পাঠগ্রহণ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে সূর্যকান্ত নিজেকে সব কিছুর জন্য যােগ্য করে গড়ে তােলেন। ১৮৬৬ সালে বর্তমান রাজশাহী জেলার কলম গ্রাম নিবাসী ভবেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তীর বড় মেয়ে “রাজরাজেশ্বরী” এর সাথে সূর্যকান্তের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

প্রথম জীবনে সূর্যকান্ত স্বাভাবিকভাবেই বিলাসপ্রিয় ও অলস প্রকৃতির ছিলেন। অধিকাংশ সময় কাটাতেন আমােদে প্রমােদে। পরবর্তীতে তিনি সচেতন হয়ে, নিজ কর্মের মাধ্যমে নিজেকে কর্মীর করে তােলেন।

তখন বাংলায় প্রথম বৃহত্তম জমিদারি এস্টেট স্থাপিত হয়ছিল ঢাকার নবাব এস্টেট সমিলিত হয়ে। সূর্যকান্ত ছিলেন দ্বিতীয় বৃহত্তম এস্টেটের জমিদার। ১৮৭৭ সালে পহেলা জানুয়ারি তিনি দিল্লির রাজ্যভিষেক দরবারে তাকে “রায় বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৮৮০ সালে লর্ড লিটনের শাসনামলে তাকে গৌরবময় “রাজা “উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এর সাত বছর পর মহারানী ভিক্টোরিয়া রাজত্বকাল জুবিলী দরবারে তাকে “রাজা বাহাদুর” উপাধি প্রদান করে গৌরবান্বিত করা হয়। ১৮৯৭ সালে তিনি লাভ করেন বিরল সম্মানের প্রতীক “মহারাজ” উপাধি।

মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী, বিদ্যাশিক্ষার প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। সে সময় পূর্ববঙ্গে কেল ঢাকাতেই একটি কলেজ ছিল (বর্তমানের ঢাকা কলেজ)। ১৮৭২ সালে তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। বিপুল অর্থ দান করেন (প্রকৃত অর্থের পরিমান জানা যায়নি)। ১৮৮৪ সালে তিনি ময়মনসিংহের অধিবাসীদের কল্যাণার্থে ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ শহরে একটি টাউন হল নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। এই টাউনহলের এক অংশে সাধারণ গ্রন্থাগারও ছিল।

কলকাতার “কটন ইনস্টিটিউশন” ও “মুকবধির বিদ্যালয়” তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৮৮৭ সালে। ময়মনসিংহ শহরে “সিটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ৬৫০০ টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করেছিলেন। এছাড়াও শিক্ষার ব্যাপারে সূর্যকান্ত অকৃপণভাবে দান করেছিলেন। জাতীয় শিক্ষা সমিতিকে তিনি বিভিন্ন ভাবে পৃষ্ঠপােষকতা করেছিলেন। ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি শিক্ষা সমিতিকে বিপুল সম্পত্তি দান করেছিলেন, যার মূল্যমান ১০০০০ টাকা।

মহারাজ সূর্যকান্তের প্রচেষ্টায় ১৮৭৫ সালে মুক্তাগাছা পৌরসভা স্থাপিত হয় ।

 

মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি

 

 

সূর্যকান্ত ছিলেন যথার্থ অর্থেই পত্নী প্রেমিক। ১৮৮৯-৯০ সালে তিনি মৃত পত্নী রাজরাজেশ্বরী দেবীর স্মৃতি রক্ষা জনস্বাস্থ্য ও সুপেয় পানির অভাব। পূরণে “রাজরাজেশ্বরী ওয়াটার ওয়ার্কস” নামক পানীয় জলের কল স্থাপন করেন। এজন্যে ১১২৫০০ টাকা খরচ হয়েছিল। পানীয় জলের কল স্থাপিত হওয়ার ফলে শহরের জনগণ অতিশয় সংক্রামক রােগের আক্রমণ থেকে অনেকটা রক্ষা পায়। রাজরাজেশ্বরী দেবী তৃজ্ঞার্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কারণ তিনি যখন মরণ পথযাত্রী তখনাে তাকে পিপাসা নিবারণের প্রয়ােজনে পানি পান করানাে সম্ভব ছিল না। তা করলে রােগের মাত্রা বেড়ে যাবে। মহারাজ সূর্যকান্ত শহরবাসীর জন্য সুপেয় জলের ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে এবং কষ্টে মারা যাওয়ার শােকাবহ সূতিকে লাঘব করার জন্য রাজ রাজেশ্বরী ওয়াটার ওয়ার্কস প্রতিষ্ঠা করেন।

জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারেও সূর্যকান্ত বেশ যত্নশীল ছিলেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে মুক্তাগাছা শহরে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেছিলেন এবং এটি পরিচালনার জন্য সরকারের কাছে ১৬ হাজার টাকা প্রদান করেন।

তিনি “মেকেঞ্জি আই ওয়ার্ড নামে ময়মনসিংহ হাসপাতালে একটি চক্ষু ওয়ার্ড স্থাপন করেছিলেন। ১৮৮৭ সালে তিনি ঢাকা নগরীতে “টমসন মেডিকেল হল নির্মাণের জন্য পৃষ্ঠপােষকতা প্রদান করেন, এজন্য তিনি 10 হাজার টাকা দান করেন। দার্জিলিং স্বাস্থ্য নিবাস নির্মান কল্পে সূর্যকান্ত ৩০০০ টাকা প্রদান করে। তিনি “ত্রিপুরা সুন্দরী নামে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন এটি তার স্মৃতি রক্ষার্থে স্থাপিত হয়েছিল। এছাড়াও শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে আরাে নানা দান ও সহায়তা মহারাজা সূর্যকান্ত প্রদান করেছিলেন।

১৮৮৩ সালে তিনি মুক্তাগাছার নিকটবর্তী সুতিয়া নদী সেতু নির্মাণ করে যাতায়াত ব্যবস্থার নতুন দিগন্তের সূচনা করেন। এই সেতু নির্মাণে অনেক টাকা খরচ হয়েছিল। ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের নির্মাণের নিমিত্তে তিনি প্রায় ৩০০ বিঘা জমি দান করেছিলেন। মহারাজ সূর্যকান্তের এই দানকৃত জমির তৎকালীন মূল্য ছিল দুই লক্ষ টাকা যা তিনি গ্রহণ করেননি।

ব্রহ্মপুত্র নদে জনসাধারণের সুবিধার্থে, তিনি একটি উৎকৃষ্ট ঘাট নির্মাণ করে দিয়েছিলেন যাতে ২০০০ টাকা খরচ হয়েছিল। ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কের মনতলা” নামক স্থানে, যে সেতু নির্মিত হয়েছে তা নির্মাণ করেছিলেন মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী। ময়মনসিংহ শহরের মহারাজার রাজবাড়ি সংলগ্ন যে বড়বাজারটি “মেছুয়া বাজার নামে পরিচিত সেটিও নির্মাণ করেছিলেন তিনি।

কোলকাতা নগরীতে অবস্থিত চিড়িয়াখানার উন্নতিকল্পে তিনি ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেছিলেন।

সূর্যকান্ত ছিলেন ঐতিহ্যসচেতন ও সৌন্দর্যপিপাসু রাজা। তিনি মৃত ভারত সম্রাট এডওয়ার্ড ও তার স্ত্রী সঙ্গী আলেকজান্ডারের তৈলচিত্র করেই ক্ষান্ত হননি, তার বিশাল বাড়িতে এখনাে ইতিহাস হয়ে সাক্ষ্য বহন করছে আলেকজান্ডার ক্যাসেল।

সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীর মহারাজ’ উপাধি প্রাপ্তি উপলক্ষে, বাংলার তৎকালীন শাসনকর্তা Sir Alexander Mackenzie এক অভিভাষন প্রদান করেন।

এই অভিভাষণ এর মর্মবাণী হচ্ছে: মহারাজ সূর্যকান্ত আপনি উচ্চ বংশে জন্মগ্রহণ করিয়া স্বীয় অভিজাত্যের গৌরব বৃদ্ধি করিয়াছেন। রাজা”, “রাজাবাহাদুর” এবং পরিশেষে মহারাজ’ উপাধি পেয়ে আপনার মহত্বকে গৌরবমণ্ডিত করিয়াছেন। আমি আশা করি, আপনি বঙ্গের ভূস্বামীগণের আদর্শস্থল হইয়া থাকিবেন”

দুঃখজনক হলেও সত্য যে মহারাজ সূর্যকান্তের পারিবারিক জীবন সুখের ছিল না। একদিকে তিনি রাজ সম্মান লাভ করছিলেন অন্যদিকে লাভ করছিলন প্রজাদের শ্রদ্ধা। কিন্তু, যদি পারিবারিক জীবনে সুখ। থাকতাে তাহলে তার জীবন কানায় কানায় পূর্ণ হত।

তারুণ্যের প্রথম প্রহরেই সূর্যকান্ত বিয়ে করেছিলেন। ১৮৬৬ সালে তিনি রাজরাজেশ্বরী দেবীকে বিয়ে করেন। কয়েক বছর সুখময় দাম্পত্য জীবন যাপন করলেও অল্পদিনের মধ্যেই তাদের দাম্পত্য জীবনে। বেদনার কালাে ছায়া নেমে আসে। রাজরাজেশ্বরী দেবীর স্বাস্থ্যহানি ঘটে। ময়মনসিংহ ও কলকাতার বিজ্ঞ চিকিৎসকগণ প্রাণপণ চেষ্টা করেও তাকে সুস্থ করতে পারেননি। দীর্ঘ ১১ বছর রােগ যন্ত্রণা ভােগ করে ১৮৮৭ সালের নভেম্বর মাসে তিনি দেহত্যাগ করেন।

মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী শিকার করতে খুবই পছন্দ করতেন। তার শতাধিক সুশিক্ষিত শিকারি হাতি ছিল। সেই ছােটবেলা থেকে মহারাজ সূর্যকান্ত শিকারপ্রেমী ছিলেন। শিকারের ব্যাপারে মহারাজ। সূর্যকান্তের এতটাই প্রসিদ্ধ ছিল যে ইউরােপের বিখ্যাত শিকারীরা সূর্যকান্তের শিকারের ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করেন। ইংল্যান্ডের প্রসিদ্ধ শিকারি স্যার স্যামুয়েল বেকার একবার সূর্যকান্তের সাথে শিকারে গিয়েছিলেন। তার সাথে গণ্যমান্য যারা শিকারে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ভারতের ভূতপূর্ব প্রধান সেনাপতি, স্যার জর্জ হােয়াইট, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্যার ক্রোমার পেখারাম, রাশিয়ার রাজ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী গ্র্যান্ড ডিউক বরিস এবং ভারতের বড় লাট লর্ড কার্জন বাহাদুর প্রমুখ।

 

মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি

 

 

সাহিত্যসেবী হিসেবেও তিনি ছিলেন বিশিষ্ট। ১৮৮৯ সালে তিনি জমিদারি কার্যের নিয়মাবলী” নামক | গ্রন্থ রচনা করে সরল ও সৎ উপায়ে জমিদারি কার্য পরিচালনার কৌশল উদ্ভাবন করেন। ১৯০২ সালে | শিকার সংক্রান্ত বিচিত্র কলা-কৌশল নিয়ে রচনা করেন শিকার কাহিনী”।

নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে, মহারাজ সূর্যকান্ত ছিলেন বঙ্গের আদর্শ জমিদার। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছরের জমিদারী কার্য পরিচালনার করেন। সূর্যকান্ত প্রজাসাধারণের অভাব-অভিযােগ এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। বিপদগ্রস্ত প্রজাসাধারণকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রেও কৃপণতা প্রদান করেননি। এ ভাবে সুকৌশলে তিনি। ন্যায় পরায়নতার সঙ্গে জমিদারি পরিচালনা করতেন। যার ফলশ্রুতিতে ১৫ বছরের মধ্যে তার জমিদারি | দ্বিগুণের অধিক বেড়ে গিয়েছিল।

যে কেউ তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলে মহারাজ সূর্যকান্ত ইতিবাচক সাড়া দিতেন। উদাহরণস্বরূপ| ঢাকার পরলােকগত নবাব স্যার সলিমুল্লাহ বাহাদুর বাল্যকাল থেকে অমিতব্যয়ী ছিলেন। যার জন্য তার | পিতা আহসানুল্লাহ বাহাদুর তাকে পছন্দ করতেন না। ঢাকার কমিশনার, বাহাদুর নবাব স্যার সলিমুল্লাহকে অল্প বয়সে ময়মনসিংহে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়ােগ করে পাঠান। দুই বছর পর। যখন তিনি বদলি হন তখন তিনি দেখতে পেলেন যে বিভিন্ন ভাবে তার প্রায় ৫০ হাজার মুদ্রা ঋণ হয়ে গেছে। পিতা কিংবা ঢাকার অন্য কোন বন্ধুর কাছে কোন সাহায্য প্রাপ্তির আশা করাও তখন অসম্ভব ছিল তার জন্য। মহারাজ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ৫০০০ টাকা প্রদান করেন এবং মহারাজ তাৎক্ষণিকভাবে | তাকে ৫০০০ টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে কলকাতার বিখ্যাত পান্থনিবাস, নবাব সলিমুল্লাহর টাকা। বাকি করে মহারাজের শরণাপন্ন হলে মহারাজ তার সমুদয় ঋণ পরিশােধ করে দেন। স্বর্গীয় মহারাজ। | সূর্যকান্তের পুত্র মহারাজ শশীকান্ত আচার্য যখন ১৯১৩ সালে বঙ্গদেশের জমিদারি গণের প্রতিনিধি | হিসেবে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তখন নবাব সলিমুল্লাহ | স্বজাতীয় জমিদারের নিষেধ সত্ত্বেও, মহারাজ শশীকান্ত আচার্য নির্বাচনে জয়ের জন্য পূর্ণ শক্তি প্রয়ােগ করেছিলেন।

১৯০২ সালে ভারতে প্রতিনিধি লর্ড কার্জন সস্ত্রীক বঙ্গের অতি অতি প্রাচীন রাজধানী গৌড় এর ভগ্নাবশেষ পরিদর্শনের জন্য ভ্রমণ করেন। ওই স্থান মহারাজ সূর্যকান্তের অধিকারভুক্ত ছিল। তিনি । অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করেন কিন্তু অসুস্থ থাকায় স্বয়ং উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি নিজে উপস্থিত থাকতে না পারায় নিজ পুত্র শশীকান্ত আচার্য কে সেখানে প্রেরণ করেন।

মহারানী রাজরাজেশ্বরী পরলােক গমন করলে মহারাজের ভাবি উত্তরাধিকারী বলতে কেউ থাকলাে না। এ কারণে ১৯৮৭ সালে তার চাচাতাে ভাই রাজা জগৎ কিশাের আচার্যের দ্বিতীয় পুত্র শশীকান্ত আচার্যকে দক স্বরূপ গ্রহণ করেন। মহারাজ সূর্যকান্ত তাকে নানাভাবে সুশিক্ষিত ও যােগ্য গড়ে তােলেন। ১৯০৪ সালে ২০ জুন কলকাতা নগরীর বিখ্যাত ব্যারিস্টার শ্রীযুক্ত ব্যোমকেশ চক্রবর্তীর তৃতীয় কন্যা শ্রীমতি লীলা দেবীর সঙ্গে, তাঁর পুত্র শশীকান্ত আচার্যের বিবাহ সম্পন্ন হয়। এই বিয়ে সম্পাদনের পর মহারাজ তার পুত্র ও পুত্রবধু কে নিয়ে ময়মনসিংহ শহরে উপস্থিত হলে শহরবাসী বিরাট সভা করে তাকে অভিনন্দিত করে। ১৯০৮ সালের শুরুতেই মহারাজ সূর্যাস্তের স্বাস্থ্যহানি ঘটে। ১৯০৮ সালের শেষে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের তাগিদ অনুভব করেন। এজন্য তিনি পুত্রবধূ ও পুত্রের সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বৈদ্যনাথ বাসভবনে গমন করেন। সে বছরের ২০ অক্টোবর রাতে ৫৭ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এভাবেই শেষ হয় একজন প্রভাবশালী, ক্ষমতাশালী অথচ ন্যায়পরায়ণ জমিদার মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য | | চৌধুরীর বর্ণাঢ্য ইতিহাস।

পরবর্তী ব্লগে আমরা জানবো শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী সম্পর্কে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link