স্বাস্থ্য

আজ থেকে আম খেয়ে আটি ফেলে দিবেন না

চলছে বৈশাখ মাস। এ সময়ে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা পাকা আম। আমের সময় বাজার থেকে কিনে প্রচুর আম খাওয়া হয়। আম খাওয়ার পর আমরা সাধারণ আঁটি ফেলে দেই।  

 

তবে আপনি জেনে আবাক হবেন যে, আম অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এছাড়া আমের আঁটি অনেক রোগ সারাবে।

 

আপনিও কি আম খেয়ে আটি ফেলে দিচ্ছেন?? তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই। জানেন কি আমের আটির উপকারিতা?আসুন একনজরে জেনে নিই…

 

আমের আটির ব্যবহার:

 

 কথায় বলে, ‘আমে-দুধে মিলেমিশে যায় আর আঁটি গড়াগড়ি খায়’। বৈশাখের চাঁদিফাটা রোদ্দুরে যতই অস্বস্তি বাড়ুক না কেন, এই সময়টা কিন্তু আমের জন্য একেবারে সেরা। সবে পাক ধপতে শুরু করেছে আমে। আপাতত বাজার মাত করছে কাঁচা আমই। আমের মিষ্টি শাঁসটুকু খেয়ে সকলেই আঁটি-টা ফেলে দেন। আঁটি খাওয়ার আর লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। আমের কিন্তু একাধিক উপকারিতা রয়েছে। আমের মধ্যে ভিটামিন, পুষ্টি, খনিজতে ভরপুর। বছরে মাত্র এই একটা সময়েই আম পাওয়া যায়। তবে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই আম খেতে চান না। এমনকী যাদের ডায়াবিটিসের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও আমের থেকে দূরে থাকেন। যদি ও এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। ডায়াবিটিসের রোগীরাও যে নিয়ম মেনে আম খেতে পারেন একথা কিন্তু বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরাই।

 

তবে আম খেয়ে এবার আর আঁটি ফেলে দেবনে না। সম্প্রতি আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য। অতিরিক্ত আম খেলে যেমন রক্তশর্করা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তেমনই কিন্তু আমের আঁটি খেলে কমে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা। কোলেস্টেরল থাকে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও একাধিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

 

তেমনই কিন্তু আমের আঁটি খেলে কমে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা। কোলেস্টেরল থাকে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও একাধিক সমস্যা থেকেও কিন্তু মুক্তি পাওয়া যায়। আমের মধ্যে যেমন প্রচুর পরিমাণ খনিজ, ভিটামিন থাকে তেমনই আমের বীজ বা আঁটিতেও থাকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আছে ভিটামিন, এ, সি, ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ফলেট। এছাড়াও আমের আঁটির মধ্যে থাকে ম্যাঞ্জিফেরিন, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভাল উৎস। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের কোশকে ক্যানসারের মত ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও আমের আঁটির একাধিক উপকারিতা আছে। যেমন

 

পেটের রোগ সারাতে-

 

 অনেকেই আছেন, যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী পেটের সমস্যায় ভুগছেন। ডায়ারিয়ার সমস্যা প্রায়শই লেগেই থাকে। এঁদের ক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে আমের আঁটি। দীর্ঘদিন ধরে আমাশয়, পেটের সমস্যা এসব গোলযোগ যাঁদের লেগেই রয়েছে তারা যদি আমের আঁটি শুকনো করে গুঁড়ো করে খান তাহলে উপকার পাবেন। আঁটির গুঁড়ো ইষদুষ্ণ জলে একচামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ একাধিক পেটের গুপ্ত রোগ সারিয়ে দেয়।

 

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে-

 

আজকাল কোলেস্টেরলের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। আর এই কোলেস্টেরলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু ভূমিকা রয়েছে আমের আঁটির। আমের আঁটি শুকনো করে গুঁড়ো করে নিয়ে গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান। কয়েকদিন এই ভাবে খেতে পারলেই নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টেরল।

 

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে- আজকাল হৃদরোগের সমস্যাও আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। এই হার্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে আমের আঁটির। রোজ এক চামচ করে শুকনো আমের আঁটির গুড়ো খেতে পারলে হার্ট ভাল থাকবে।

 

অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে-

 

অ্যাসিডিটির মত দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার অনেক সময় ওষুধেও সমাধান হয় না। আর এই সমস্যা দূর করতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে আমের আঁটির। আমের আঁটির মধ্যে আছে ফেনোল, আছে অ্যান্টিঅক্সাইড যা আমাদের হজমে সাহায্য করে।

 

সুতরাং আজ থেকে আর আটি ফেলে দেয়া নয়। আটির ও সঠিক ব্যবহার করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link