পবিত্র কাবার ঈমামের বেতন কত?
মক্কায় অবস্থিত সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মসজিদ আল-হারামের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান ইবন আবদুল আজিজ আস-সুদাইস।
তাঁর হৃদয়গ্রাহী কুরআন তেলাওয়াতের কারণে সারাবিশ্বে রয়েছে নামডাক। চলুন দেখে আসা যাক তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য যা অনেকেই জানে না।
১.তাঁর বেতন কত?
ইমামদের সেবা কখনও অর্থ দিয়ে পরিশোধ করা না গেলেও তাঁদের কিছু হলেও অর্থ দিতে হয় মসজিদ কর্তৃপককে।
অনেকের ধারণা, যেহেতু ইমাম আবদুর রহমান আস সুদাইস বিশ্বের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ মসজিদের ইমাম, সেহেতু তাঁর বেতনও অনেক হওয়া উচিত। তবে তা সঠিক নয়।
সৌদি সরকার তাঁকে প্রতি মাসে একটি খালি চেক প্রদান করে, যেখানে তিনি তাঁর মন মত সংখ্যা বসাতে পারেন। এ হিসেবে বলা যায় তিনি নিজেই তাঁর বেতন নির্ধারণ করে থাকেন।
২. তাঁর পুরো নাম আবদুর রহমান ইবন আবদুল আজিজ আস-সুদাইস ।
৩. তিনি ১৯৬০ সালে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন।
৪. তিনি মাত্র ১২ বছর বয়সেই সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্ত করে ফেলেন।
৫. তিনি রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়জিত ছিলেন।
৬. মাত্র ২৪ বছর বয়সে তাঁকে গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তিনি এ বয়সেই ১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে সৌদিতে খুতবা দেন।
৭. ২০১২ সালে তাঁকে সৌদির দুই গ্র্যান্ড মসজিদে ‘হেড অফ প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে নির্বাচন করা হয় এবং তাঁকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়।
৮. সুদাইস তাঁর মধুর কণ্ঠ এবং অসাধারণ কুরআন পাঠের জন্য বেশ বিখ্যাত।
৯. তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে থেকে ‘বিস্ফোরণ, আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং সন্ত্রাসবাদ’ সম্পর্কে বেশকিছু ভুল ভাঙ্গান। তিনি বলেন, এসব কিছু ইসলামের চোখে ঘৃণ্য অপরাধ।
১১. ২০০৪ সালে লন্ডনে ১০ হাজার মানুষের সামনে তিনি একটি আন্তঃধর্মীয় খুতবা দেন। এসময়ে যুক্তরাজ্যের জাতিগত সমতা বিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রধান রাব্বিও উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্স চার্লসও এই খুতবাতে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন।
১২. তিনি ইমামতি করার পাশাপাশি পুরো মুসলিম উম্মাহর সমস্যার দিকে বিশেষ নজর রাখেন। এজন্য তাঁকে ২০০৫ সালে ‘সেরা ইসলামিক ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।