ঘোরোয়া উপায়ে কালাে মুখ ফর্সা করুন মাত্র এক সপ্তাহে
সুন্দর ত্বক কে না চায়। আর সুন্দর ত্বক মানেই তো হল সুন্দর একটা মুখ বা চেহারা। যা নারী পুরুষ সকলেই কামনা করে। তবে মানুষ সুন্দরের পূজারী। সুন্দরকে ভালবাসে। যার মুখ যত সুন্দর দেখতে, সবাই ততই পছন্দ করে।
তাই বিশেষ করে যাদের ত্বক কালাে তাদের টেনশনের কোন শেষ নাই। আবার এমন অনেকে আছেন যাদের ত্বক আগে ভাল ছিল কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটা নষ্ট হয়ে গেছে বা কালাে হয়ে গেছে। কোনভাবেই পূর্বে হারানো সৌন্দর্যে ফিরতে পারছেন না। তাদের জন্য এখানে যে টিপসটি আলােচনা করা হয়েছে সেটা জাদুর মত কাজ করবে আশা করি।
মাত্র এক সপ্তাহ আপনি যদি এই টিপসটি ফলাে করেন তাহলে আপনার কালাে চেহারা ফর্সা ও উজ্জ্বল সুন্দর হয়ে যাবে। এটি সম্পূৰ্ণৰূপে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করতে হবে যা আপনি আপনার নিজের ঘরেই বানাতে পারবেন। এটি সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক হওয়ায় এর কোন সাইড ইফেক্ট নেই।
তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে কালাে চেহারা ফর্সা করার এই মিশ্রনটি আপনি ঘরে বসে তৈরি করবেন।
অনেক নামকরা বিউটি এক্সপার্টদের মতে কালাে চেহারা ফর্সা করার জন্য এবং চেহারা থেকে ময়লা ও কালাে দাগ তুলে আনতে এর থেকে ভালাে সলিউশন আর নাকি হতেই পারে না। তাহলে বুজতেই পারছেন এই টিপসটি কতটা কার্যকরী।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
কালাে হারা ফর্সা করার উপাদান তৈরী করতে প্রথমে একটি পাত্রে এই টবিল চামচ চিনি নিয়ে নিন। আপনি শুনে হয়তাে অবাক হবেন যে, তুরে কালাে দাগ তুলতে চিনির ব্যবহার সকল কার্যকরী একটি উপাদান। চিনিকে ন্যাচারাল স্ক্রাবার বলা হয়। কারন চিনি ত্বকের মৃত কোষকে তুলে এনে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারে।
আর লাগবে অ্যালােভেরা জেল। আপনি চেষ্টা করবেন অ্যালােভোর পাতা বা ডাল থেকে জেলটা সংগ্রহ করার। অ্যালােভোর পাতা না পেলে ভালাে ব্র্যান্ডের যে কোন জেল হলেও চলবে।
অ্যালােভো কালাে চেহারা ফর্সা করার জন্য খুবই কার্যকরী। কথায় আছে নিয়মিত অ্যালােভেরা ব্যাবহার করলে তাকে আর অন্য কোন কসমেটিক্স ব্যাবহার করতে হবেনা।
অ্যালােভো জেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সংগ্ধ এবং হয়ছে ভিটামিন এ, বি, সি ও এ। চুলে এই সেল ত্বকের গম্ভীরে প্রবেশ করে ত্বকের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি যোগায়।
আপনি এখন দুই টেবিল চামুচ অ্যালােভেরা জেল নিয়ে চিনির সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর এর সাথে চা চামুচের চার ভাগের এক ভাগ কাঁচা হলুদ পাটায় পিষে তার পেস্ট মিশিয়ে নিন।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের ডার্ক সার্কেল দূর করা সহ ত্বকের সকল যত্নে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বক থেকে যে কোন দাগ তুলতে ও ত্বকের কোনাে ক্ষতিকর প্রভাব থাকলে তা দূর হয়ে যায় এই হলুদ ব্যবহারে ফলে।
এখন সবগুলাে উপাদান ভালােভাবে মেশান হয়ে গেলে পরে মিশ্রণটির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান মেশাতে হবে। আর সেটা হল শসা।
ত্বকের যত্নে শশা এমন একটি উপাদান যার গুণ বলে শেষ করা যাবে না। আপনার ত্বকে পুষ্টি ও বয়সের ছাপ দূর করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে এই শসা। ত্বকের গভীর হতে দাশ তুলে ত্বকে দাগ মুক্ত রাখে শসা।
এছাড়া শসার রয়েছে অসংখ্য পুষ্টি ও ঔষধি গুণাবলী। তাই কচি দেখে একটি শসাকে পেস্ট করে শুধুমাত্র দুই চামচ শসার রস মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে দিন।
এখন সবশেষে যে উপাদানটি মেশাতে হবে সেটা হল বেসন। বেসন আপনার চেহারা থেকে যে কোন কালাে দাগ ও মেজ বা কাগ তুলতে সাহায্য করে। তাই মিশ্রণটির মধ্যে এক টেবিল চামচ বেসন দিয়ে সবগুলাে উপাদান এক সময় নিয়ে ভালাে করে মিশিয়ে নিন।
যাতে প্রত্যেকটি উপাদান ভালােভাবে সবগুলাের সাথে মিশে যায়। আর মিশ্রণটি যদি একটু পাতলা হয়ে যায় তাহলে সাথে কিছুটা বেসন দিয়ে নিতে পারেন। আবার যদি বেশি ঘন হয়ে যায় তাহলে শসার রস বা অন্য যে কোন উপাদান সমানুপাতিক হারে মিশিয়ে পাতলা করে নিতে পারেন।
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল কালাে চেহারা ফর্সা করার সিক্রেট টিপস না সিক্রেট উপাদান।
ব্যবহার প্রণালীঃ
মিশ্রণটি আপনি প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আধ ঘন্টা আগে আপনার মুখে মেসেজ করে করে লাগিয়ে নিতে হবে। তবে এটি আপনি শরীরের যেকোনাে কালাে হয়ে যাওয়া স্থানে যেমন হাতে পায়ে, ঘাড়ে, গলায় ও লাগাতে পারেন।
এভাবে মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে বিশ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে মিশ্রণটি মুখে বা ত্বকের যে কোন স্থানে লাগানাের পূর্বে আপনার মুমড়ল বা লাগানাের স্থানটি ভালাে করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে তারপর লাগাবেন।
মিশ্রণটি নিয়মিত চার সপ্তাহ ব্যবহারে ফলে আপনার ত্বক থেকে সমস্ত কালাে আর ময়লা পাগ দূর হয়ে যাবে। আপনি মাত্র এক সপ্তাহ ব্যবহারে এটি তো দেখতে পাবেন।
কালাে চেহারা ফর্সা করার জন্য কিছু পরামর্শঃ
মুখের ত্বক হল সবচাইতে স্পর্শকাতর একটি অংশ বা অঙ্গ। তাই সবসময় মুখের বাড়তি একটু যত্ন নেয়াটা জরুরী। তেল চর্বি জাতীয় খাবার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এগুলাে এড়িয়ে বেশী বেশী শাকসবজি খাওয়ার অত্যাস গড়ে তুলতে পারলে মুখের ত্বক ভাল থাকবে। পরিমিত পানি পান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে গুম শরীর ও তুকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান।
তাই বেশী বেশী পানি পান করুন এবং নিয়মিত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানাের চেষ্টা করুন। বাইরে বেরুলে রােদ এড়িয়ে চলুন। প্রয়ােজনে ছাতা ব্যাবহার করুন। আপনার মুখে ব্যাবহারের জন্য আপনার ত্বকের সাথে মানানসই ক্রিম বা লােনে নিয়মিত ব্যাবহার করুন। তাহলে আপনার মুখ সুন্দর থাকবে।