স্বাস্থ্য

দাঁতের মাড়ি সরে গেলে কি করবেন?

 

দাঁতের মাড়ি সরে গেলে কি করবেন.? 

 

 স্থায়ী দাঁত নড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। নানা কারণে দাঁত নড়ে যেতে পারে। দাঁত থেকে মাড়ি সরে যাওয়ার রোগটি অনেকের মাঝে দেখা যায়। অনেকের ব্রাশের সাথে রক্ত চলে।যা মাড়ি সরে যাওয়ার কারণে হতে পারে। আর মাড়ি সরে যাওয়ার কারণে অনেকের দাত নড়ে যেতে পারে। একাধারে সব নষ্ট হয়ে যেতে পারে সেক্ষেত্রে আমাদের সকলের জানা উচিত কেন আমাদের মাড়ি সরে যায় ও তার প্রতিকার  বা শক্ত করার উপায়।

 

কারণ

সঠিক নিয়মে দাঁত পরিষ্কার না করলে অথবা দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকলে দাঁতের ধারক–কলাতে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এতে দাঁত নড়ে যায়।

 

কোনো কারণে মুখে আঘাত পেলে দাঁত নড়ে যেতে পারে। জোরে শক্ত কোনোকিছুতে কামড় দিলেও দাঁত নড়ে যেতে পারে।

 

অনেকের দাঁতে দাঁত ঘসার বা কামড়ানোর বদভ্যাস আছে, যাকে ‘ব্রুকসিজম’ বলে। অনেকের দাঁত এলোমেলো, উঁচু–নিচু বা বাঁকা থাকে। এসব ক্ষেত্রে দাঁত পরিষ্কার রাখা কষ্টসাধ্য এবং কোনো কোনো দাঁতে অতিরিক্ত চাপ পড়ার ঝুঁকি থাকে। এসব কারণেও দাঁত নড়ে যেতে পারে।

 

ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি–স্বল্পতায় চোয়ালের হাড়সহ সব হাড়ই ক্ষয় (অস্টিওপোরোসিস) হতে পারে। চোয়ালের হাড় ক্ষয় হলে দাঁত নড়ে যেতে পারে।

 

প্রোজেস্টেরন ও এস্ট্রোজেন হরমোনের ওঠা-নামার জন্য গর্ভকালীন সময় ও মেনোপোজের পর হাড় ক্ষয় হয়ে দাঁত দুর্বল হতে পারে।

 

অর্থোডন্টিক চিকিৎসা, ফিলিং বা ক্যাপ পরানো যথাযথ না হলে বা পাশের দাঁতের সঙ্গে সংযোগ যথাযথ না হলেও দাঁত নড়ে যেতে পারে।

 

ক্রনিক রোগ, বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, ভিটামিন ও খনিজ স্বল্পতা বা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এবং ধূমপান থেকেও মাড়িতে প্রদাহ হয়। এতে অকালে দাঁত নড়ে যেতে পারে।

 

করণীয়

READ MORE:  How to overcome depression?

প্রকৃত পরিচর্যার মাধ্যমে দাঁত সুস্থ ও মজবুত রাখা সম্ভব। সকালের নাস্তা ও রাতের খাবারের পর দুই মিনিট ধরে প্রতিটি দাঁতের পৃষ্ঠকে পরিষ্কার করতে হবে। টুথপিক বা কাঠির পরিবর্তে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে।

 

খাদ্যতালিকায় চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে মৌসুমি তাজা শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, টক দই, ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছসহ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সিযুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে।

 

মুখ শুষ্ক বা অন্যান্য রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

মাড়ি ফুলে গেলে বা রক্ত পড়লে স্কেলিংয়ের মাধ্যমে দাঁতের পৃষ্ঠে জমা ব্যাকটেরিয়াল প্লাক বা ক্যালকুলাস দূর করতে হবে। দেরি হলে অনেক সময় রুট প্ল্যানিং, গ্রাফটিং, কামড় শুদ্ধকরণ, বাইট প্লেট, স্প্লিনটিংয়ের মতো চিকিৎসার দরকার হতে পারে।

 

দাঁত ফেলে দেওয়ার পর কৃত্রিম দাঁত সংযোজন করা দরকার। তা না হলে অন্য দাঁত নড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

 

বছরেকমপক্ষেএকবারদন্তচিকিৎসকেরপরামর্শনেওয়াউচিত।

 

সূত্র – প্রথম আলো 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *