মৎস্য মায়া
মৎস্য মায়া
সে তো কেবলই একটি নীলরঙ্গা পরাণ;
যাহার জন্য আছিলো হেথা সামগ্রিক আয়োজন।
প্রিয় কিছু অভ্যাস অবিচ্ছেদ্য অংশ বিশেষ;
খাওনের বেলা,জল বদলের বেলা-রহিয়া গিয়াছে যে তাহার রেশ।
এজীবন বড্ড রহস্যময়-
১৩২ দিবসের মায়া যে কাটিবার নাহি পারে;
সে ঠিকই ৫৪৭৫ দিবসের মায়া ভুলিবার নাট্যকলা রপ্ত করে।
শিশুপুত্র শোকে মায়ের বক্ষের দুগ্ধধারের যে যন্ত্রণা;
তাহা তো নয় কেবলই সে জননীর বাহ্যিক বেদনা।
সেথায় রয় সহস্র স্বপ্ন আপন সন্তান লাগি,সেথায় রয় সুপ্ত মহব্বত-যাহা বানায় তাহারে পথের ও বিবাগী।
যেদিন চক্ষের সম্মুখে প্রিয় চিত্তের দেখিতে হয় দাফন;
সেদিন থাকে না ভাষা মলিন সে বদনে,রয় না জীবিত সে আপন ও ভুবনে।
তাহার লাগিয়া আইজ ও পরাণ টানে যে বড্ড মায়ায়;
ছুটিয়া দেখিবা যায়-
শীর্ণ সে দেহখানি রক্তজবার ছায়ায়।
–নাসরিন আখতার
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।