মোস্তাফিজুর রহমান এর প্রশংসায় মুখরিত ক্রিকেট বিশ্ব এবং গণমাধ্যম
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর পুরো বিশ্বের গণমাধ্যম, সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারগণের প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। একইসাথে দেশ, বিদেশের গণমাধ্যমে এবং সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেরটাগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমানের। মোস্তাফিজের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যেই ইতিহাস গড়া জয় পেল বাংলাদেশ। ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স, সাবেক ব্যাটিং কোচ ও ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি ওয়াসিম জাফরসহ আরও অনেক ক্রিকেটারগণ বাংলাদেশের এই জয়ের পিছনে মোস্তাফিজের অবদানকে মুখ্য হিসেবে উল্লেখ করে মোস্তাফিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন।
ওয়াসিম জাফর টুইট করে বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার সাথে প্রথম সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন। মুস্তাফিজুরের উন্মাদ পারফরমেন্সে আমি বিস্মিত। অসাধারণ বোলিং পরিসংখ্যান । 19 তম ওভারে মাত্র 1 রান দিলেন আর এটিই বাংলাদেশকে জিতিয়ে দিয়েছে।” অ্যাশওয়েল প্রিন্স বলেন,” আপনি যদি বিশ্বাস করেন তবে আপনি বিজয়ী হবেন। অভিনন্দন টাইগারদের। মোস্তাফিজের বোলিং আমাকে মুগ্ধ করেছে।” স্বয়ং আইসিসি মোস্তাফিজকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। আইসিসি টুইট করে বলেন, ” ১৯ তম ওভারে মোস্তাফিজের ১ রান দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার হারের জন্য দায়ী। ”
এদিকে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও মোস্তাফিজের ওপর দারুণ খুশি। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ” আজ রাতে সে সত্যিই অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে। আমি তার পারফরম্যান্সে বিস্মিত। আমরা সত্যিই টি টোয়েন্টিতে একটি ভালো দল। যদিও রেংকিংয়ে আমরা পিছিয়ে। আমরা ক্রমান্বয়ে উন্নতি করছি। আমরা যদি আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে নিজেদের সঠিক দক্ষতা প্রদর্শন করি এবং পূর্ণাঙ্গ মনোবল নিয়ে মাঠে খেলতে নামতে পারি তবে অবশ্যই আমরা যেকোনো দলের সাথে জিততে পারব।” মাহমুদউল্লাহ হাফ সেঞ্চুরি করলেও মূলত মোস্তাফিজের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যের জন্যই বাংলাদেশ এই ম্যাচে জয় পেয়েছে। মোস্তাফিজের বলের ইকোনমি ছিল মাত্র ২.২৫। ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৯ রান দিয়েছেন কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজ। তার একের পর এক বৈচিত্র্যপূর্ণ ডেলিভারিতে হতবাক হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। ১৯ তম ওভার যেটি ছিল মোস্তাফিজের শেষ ওভার সেটিতে মোস্তাফিজ খরচ করেছেন মাত্র ১ রান। অথচ অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল শেষ ২ ওভারে ২৩ রান। মেহেদির লাস্ট ওভারের প্রথম বলে ৬ মারলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি অজিরা। আর এর পিছনে মুখ্য ভূমিকা ছিল মোস্তাফিজেরই৷