গরমকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন?
গরম কালে ত্বকের যত্ন নিতে হবে খুবই ভালো ভাবে। নয়তো নানা ধরনের স্কিন প্রবলেম হতে পারে।
গরমকালে ত্বকের যত্ন গরমকালে মেয়েদের ত্বকের যত্ন গরমকালে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
গরমে ত্বকের যত্ন
ঋতু অনুয়ায়ী ত্বকের যত্ন ও পরিচর্যা ভিন্ন। তার মধ্যে গরমকালে ত্বকের বিশেষ রুপচর্চা প্রয়োজন হয়। জেনে নিন গ্রীষ্মে বাড়িতেই কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন।
সানস্ক্রিনের ব্যবহার
গরমকালে রোদের তাপে ত্বক পুড়ে কালচে হয়ে যেতে পারে। তা থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করুন। রোদে বেরোনোর প্রায় ১৫ মিনিট আগে, মুখ-হাত-পা এবং শরীরের খোলা অংশে সানস্ক্রিন লাগান। এক্ষেত্রে আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সানস্ক্রিন বাছাই করুন। তবে শুরু রোদ না, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে কাজ করার আগে ও রান্না করার আগেও সানস্ক্রিন লাগানো ভালো।
বারবার মুখে জলের ঝাপটা দেওয়া
গরমকালে কম-বেশি সকলের ঘাম হয়। তাই বারবার মুখে জলের ঝাপটা দিন। এতে ত্বকে ঘাম বসবে না। সেই সঙ্গে ফ্রেশ লাগবে।
সাবান পরিবর্তন
শীতকালে মুখ ধোওয়ার জন্য যে সাবান বা ফেস ওয়াশ ব্যবহার করতেন, গরমে তা কিন্তু চলবে না। কারণ গরমে মুখের গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল বের হয়। ফলে গরমে আলাদা ফেস ওয়াশ ব্যবহার করুন। সেই সঙ্গে বডি সোপের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রচুর ফল খান
গরমে যতটা বেশি সম্ভব ফল খান। এতে শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় থাকবে। এছাড়া ফলে থাকা ভিটামিন, পুষ্টিগুণ ত্বক ও শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় ক্রিম ব্যবহার
অতিরিক্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত ক্রিম বা সেরাম ব্যবহার করুন গ্রীষ্মে।কারণ এর ফলে আপনার কোমল ত্বকের কোনও ক্ষতি হবে না।
প্রচুর পরিমাণে জল পান
গরমকালে শরীরে বেশি মাত্রায় টক্সিন বা দূষিত পদার্থ জমা হয়। তাই গ্রীষ্মে বেশি জল খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে জল খেলে ত্বক হাইড্রেটেট থাকবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে।
টোনার ব্যবহার
গরমে টোনার ব্যবহার করেন উচিত। কারণ টোনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে দেয় এবং ত্বক পরিষ্কার রাখে। এমনকি টোনার ব্যবহার করলে ত্বকে সজীব ভাব আসে।
কম মেকআপ
এই সময়ে যতটা সম্ভব কম মেকআপ ব্যবহার করুন। গরমে ঘাম বেশি হয়। তার ওপরে মেকআপ করলে ত্বকে চাপ পড়ে যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। গরমে মেকআপ সামগ্রীও বুঝে বাছাই করুন।
আবহাওয়া উষ্ণ হলেও শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে ত্বক। তাই ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত সময়ে একটু একটু করে পানি এবং তরল খাবার খেতে হবে। খেজুর, দুধ, চিড়া, ফল বা সালাদ দিয়েই হতে পারে সুস্বাদু ইফতার। ভাজাপোড়া খেলেও পরিমাণে অল্প। শাকসবজি খাবেন বেশি বেশি। সারা দিন রোজা রাখার পর একটু ক্লান্তি, একটু আলসেমি পেয়ে বসতে পারে। তাই রোজ সুবিধামতো একটু সময় বরাদ্দ রাখুন। এই সময় সপ্তাহে এক দিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করা ভালো।