বোয়িং: এয়ারবাস বিমানের মূল পার্থক্য
বোয়িং ও এয়ারবাস বিমানের পার্থক্য জানুন
এয়ারবাস পৃথিবীর অন্যতম বড় বিমান সংস্থা, যারা বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের নকশা, নির্মাণ ও বিপণন করে। এটি ইউরোপভিত্তিক এবং ফ্রান্স, ব্রিটেন ও স্পেনে তাদের বড় অফিস ও সংযোজন কারখানা রয়েছে। এয়ারবাসের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং, যাদের কাছ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কিছুদিন আগে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ কিনেছে।
আজকের জীবনে বিমান ভ্রমণ আরও জটিল হয়ে উঠেছে, তাই দুটি বিমানের মধ্যে পার্থক্য বোঝা অপরিহার্য। এই নিবন্ধটি একটি এয়ারবাস এবং একটি বোয়িং বিমানের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে, যাতে আপনি উভয় বিমানে আপনার ভ্রমণগুলি সনাক্ত করতে এবং তুলনা করতে পারেন।
আকাশপথে যাত্রী পরিবহনে বিশ্বজুড়ে বোয়িং এবং এয়ারবাস বিমান বেশ জনপ্রিয়। বোয়িং একটি আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল বিমান প্রস্তুতকারক কোম্পানি। এটি বিমান, রোটোরক্রাফট, রকেট ও স্যাটেলাইট নির্মাণ করে। ১৯১৬ সালে আকাশে যাত্রা করে এই কোম্পানিটি। সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানের নির্মাতাদের মধ্যে বোয়িং অন্যতম।
এয়ারবাস একটি ইউরোপীয় বিমান উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালে এই কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করে। ২০১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এটি। এটি বাণিজ্যিক ও সামরিক বিমান তৈরি করে। এয়ারবাসের সদর দফতর নেদারল্যান্ডসে।
চলুন জেনে নিই বোয়িং এবং এয়ারবাসের মধ্যে পার্থক্য।
বিমানের সামনের অংশ
বিমানের সামনের নকশার মাধ্যমে খুব সহজেই বোয়িং ও এয়ারবাস বিমান চিনতে পারা যায়। এয়ারবাস বিমানেপ সামনের অংশটি গোলাকার। আর বোয়িং বিমানে এটি সূক্ষ্ম বা সরু আকৃতির।
ককপিটের পাশের জানালার নকশা
বোয়িং বিমানে ককপিটের পাশের জানালার নকশা ভি-আকৃতির (v-shape)। আর এয়ারবাস বিমানে এই জানালার নকশা খাঁজযুক্ত।
সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার
বোয়িং বিমানের সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার এয়ারবাস বিমানের তুলনায় ছোট থাকে। আর এয়ারবাস বিমানের এই অংশ আকারে লম্বা থাকে।
পিছনের অংশের নকশা
এয়ারবাস বিমানের মূল কাঠামো লেজের দিকে সোজা থাকে। বোয়িংয়ের ক্ষেত্রে এটি মূল কাঠামোর সঙ্গে নীচে ঢালু হয়।
এক্সস্ট টেইল
বোয়িং এর ক্ষেত্রে এক্সস্ট টেইলের দৈর্ঘ্য কম হয়। এয়ারবাসের ক্ষেত্রে এটি লম্বা এবং রাউন্ড হয়।
আলো
সাধারণত বিমানের লেজের উপর আলো জ্বলে থাকে। বোয়িং বিমানের ক্ষেত্রে এই আলো একবার জ্বলে। আর এয়ারবাস বিমানের ক্ষেত্রে এই আলো পরপর দুইবার জ্বলে।
বোয়িং এবং এয়ারবাসের মধ্যে বাহ্যিক পার্থক্য:
১. এয়ারবাসের এয়ারক্রাফটের নোজটা গোলাকার আর বোয়িংয়ের নোজটা একটু শার্প বা সরু।
২.ককপিটের সাইড উইন্ডো : বোয়িং এর ক্ষেত্রে একটু V আকৃতির এবং এয়ারবাসের ক্ষেত্রে কর্ণারটা কাট করা।
৩. সামনের ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা: বোয়িং এর ক্ষেত্রে পুরোপুরি খোলা থাকে আর এয়ারবাস এর বেশির ভাগ অংশটুকু বন্ধ থাকে অল্প কিছু অংশ খোলা থাকে।
৪. পিছনের টেইল বেজ: বোয়িং এর ক্ষেত্রে সামনের লাইনটা কার্ভ করা এবং ফিজুয়্যালাইজের সাথে দৈর্ঘ্য বেশি, আর এয়ারবাসের ক্ষেত্রে কার্ভ থাকে না একসাথে লাগনো থাকে, দৈর্ঘ্য ও কম।
৫. এক্সস্ট টেইল: বোয়িং এর ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য কম কিন্তু এয়ারবাসের ক্ষেত্রে লম্বা এবং রাউন্ড করা।