বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া ২য় টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ এর পরামর্শেই বাজিমাত আফিফের
বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া ২য় টি-টোয়েন্টিতে মিরপুর স্ট্যাডিয়াম যেন ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য এত কঠিন উইকেটে বিশ্বসেরা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা যেখানে নাস্তানাবুদ সেখানে ২১ বছর বয়সী আফিফ হোসেন ৩১ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করে বাংলাদেশকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়, যার ফলে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে আট বল বাকি থাকতে জিতে যায়। জয়ের পর নিজের এমন অসাধারণ পার্ফরমেন্সে নিয়ে আফিফ বলেন, টি -টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর একটি দরকারী পরামর্শ তার এই অসাধারণ পার্ফরমেন্সের পিছনে এবং ফলাফল অর্জনে দারুণভাবে সাহায্য করেছে। আফিফ বলেন, “যখন আমি ব্যাটিং করতে গিয়েছিলাম, তখন রিয়াদ ভাই আমাকে শুধু একটা কথা বলেছিলেন। উইকেটে থিতু হতে দুই-তিন ওভার লাগবে,”। ২১ বছর বয়সী এই যুবক বলেন “মাহমুদউল্লাহ ভাই এর পরামর্শ অনুযায়ী আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, যাই হোক, ম্যাচ আমরা হারি বা জিতি, আমি শেষ বল পর্যন্ত খেলে খেলা শেষ করার পরই ফিরে আসব। প্রথম কাজটি আমি যেটা করেছি, সেটা হলো উইকেটের ধরণ বুঝেছি এবং এই উইকেটে কিভাবে ব্যাটিং কী করা দরকার তা বুঝেছি। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে যদি আমি ধীরে সুস্থে দেখে শুনে ব্যাটিং করতে থাকি, আমি ম্যাচটি শেষ করতে পারব । আমার এবং নুরুল হাসান উভয়ের পরিকল্পনা ছিল একটি উইকেট না হারিয়ে শুধু স্কোর করা, কারণ রান-রেট ঠিক রাখা দরকার ছিল।”
২য় টি-টুয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আফিফের সর্বোচ্চ স্ট্রাইক-রেট ছিল। তার অসাধারণ ভালো ইনিংস এর জন্যই বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। ম্যাচ শেষে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ এর পুরস্কারটি আফিফ এর হাতেই উঠে। এই ম্যাচে আফিফ স্টার্কের মতো দুর্ধর্ষ বোলারের কাছ থেকে একটি দুর্দান্ত কভার ড্রাইভ বের করেন যেটি ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। নুরুলও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। নুরুল ২১ বলে ২২ রানের একটি দূর্দান্ত ইনিংস খেলেন এবং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। আফিফ ও নুরুলের পার্টনারশিপ বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতিয়ে দেয় ২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। এছাড়া প্রথমদিকে দল যখন দ্রুত একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপদে তখন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ১৭ বলে ২৬ রানের অসাধারণ ইনিংসটাই বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে।