কত টুকু জানি নিম গাছের উপকারিতা?
নিম গাছ আমাদের পরম বন্ধু। নিম গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। নিম গাছ প্রতিটি বাড়িতে অত্যন্ত একটি করে থাকা উচিত বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিম গাছের উপকারিতা দেখে বিস্মিত হয়ে নিম গাছকে ‘একুশ শতকের বৃক্ষ ‘ উপাধি দিয়েছে। আমরা কল্পনাও করতে পারব না যে নিম আমাদের জন্য কত বড় উপকারী বন্ধু। নিম গাছের উপকারিতা চলুন জেনে আসি।
আর ও পড়ুনঃ কিভাবে পেঁয়াজ কাটলে চোখ থেকে কম পানি বের হয়?
নিম গাছ থেকে আর দশটা গাছের মতই আমরা অক্সিজেন পাই। অক্সিজেন এর অপরিহার্য গুরুত্ব তো আমরা সবাই জানি। অক্সিজেন ছাড়া আমরা এক মূহুর্তও বেঁচে থাকতে পারব না। নিম গাছ থেকে আমরা কাঠও পেয়ে থাকি। কিন্তু নিম গাছ অন্যান্য গাছ থেকে আলাদা। নিম গাছ একটি ওষুধি গাছ। নিম গাছের পাতা, বাকল, ছাল, ফল, ফুল সবকিছুর মধ্যেই আছে নানা রকম ওষুধি গুণ। নিম গাছের বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে নানা রকম ওষুধ তৈরি করা হয়। নিম গাছের পাতা এলার্জীর ব্যাকটেরিয়া, খোসপাঁচড়া প্রতিরোধ করে। তাই কেউ এলার্জিতে আক্রান্ত হলে নিম পাতা বেটে শরীরে লাগালে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিমপাতা গুড়া করে পাউডার বানিয়ে মুখে ব্যবহার করলে ত্বক সুন্দর হয়। সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে নানা রকম জটিল রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায় বলে জানান চিকিৎসকরা। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। নিমপাতার রস মাথায় দিলে খুশকি দূর হয়। চুলের গোড়া শক্ত হয়। চুল পড়া কমে যায়। নতুন চুল বের হয়। নিমের ডাল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের মাড়ির গোড়া শক্ত হয়। মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় পায়। এছাড়া কারও যদি শরীরে কোথাও কেটে যায় বা ক্ষত হয় তবে সেখানে নিমের পাতার রস দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। ক্ষতের ঘা দ্রুত শুকায়। অনেকের পা ঘেমে দুর্গন্ধ বের হয়। পায়ে নিম পাতার রস লাগালে পা এর দুর্গন্ধ দূর হয়। নিম গাছের বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে নানা রকম ভেষজ ঔষধ তৈরি করা হয় যা অত্যন্ত উপকারী। উপকারী বন্ধু নিম গাছের উপকারিতা সত্যিই অকল্পনীয়। আমাদের সবার উচিত বাসার পাশে অত্যন্ত একটি নিম গাছ লাগানো।