প্রকাশিকা

সর্বশেষ

রোজা নিয়ে মাঠে চমক দেখাচ্ছে মুসলিম ফুটবলার

Share

ইউরোপে পেশাদার ফুটবলাররা রমজান মাসে রোজা রেখে যখন খেলতে নামেন সব সময়ই তা বিস্ময়ের জন্ম দেয় হঠাৎই চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ২০১৮ সালে রোজা রাখার বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল। সেবার লিভারপুলের প্রতিপক্ষ ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। লিভারপুলের ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ সালাহ ও সাদিও মানে । যারা কিনা লিভারপুলের আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার ছিলেন। এই ঘটনাটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করার পেছনে কারণ ফাইনাল খেলাটি ইফতারের একটু আগে শুরু হয়েছিল।

ইউরোপে প্রতিবছরই রমজান মাসে খেলা থাকে এমনকি ইউরোপের বিভিন্ন লীগে মুসলিম ফুটবলাররা আছেন এবং তারা রোজা রেখেও খেলতে নামেন এদের মধ্যে মেসুত ওজিল, করিম বেঞ্জেমা, মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানে অন্যতম। তবে এখন তাদের রোজা রাখা অথবা ধর্মবিষয়ক কোন ব্যাপারে তেমন আলোচনা হয় না । কিন্তু আজকে আবার এমনই এক ঘটনা আলোচনায় এসেছে আর এর নেপথ্যের ছিলেন একজন কোচ যিনি তার ফুটবলার কে স্পটলাইটে আনেন। ঘটনাটি ঘটেছে লেস্টার সিটির ওয়েসলি ফোফানাকে নিয়ে। লেস্টার সিটির কোচ ব্রেন্ডন রজার্স অবাক হয়েছেন ফোফানার খেলা দেখে যিনি কিনা রোজা রেখেও কিভাবে এত দুর্দান্ত খেলছে।

ওয়েসলি ইতোমধ্যে ইপিএলে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। তার পূর্ববর্তী ঠিকানা ছিল সেঁত এতিয়েন। তাকে লেস্টারে আনতে চার কোটি ইউরো খরচ করতে হয়েছিল তবুও ক্লাবটি তাকে আনতে কোন আপত্তি করেনি। এরই মাঝে লীগের জায়ান্ট ক্লাবগুলোর নজরে পড়ে গেছেন।

ম্যাচটি ছিল ওয়েস্ট ব্রমের বিপক্ষে লেস্টার কোচ সবাইকে চমকে দিয়েছেন। ম্যাচের ৬০ মিনিটে ফোফানাকে তুলে নেন তখন তারা ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিলো। এমন সময়ে একজন ডিফেন্ডারকে বদলি করায় সবার মাঝে প্রশ্ন জাগে। সংবাদ সম্মেলনে লেস্টার কোচ কে জিজ্ঞাসা করা হয় ফোফানা ইনজুরিতে পড়ল কিনা।

রজার্স জানান, ‘সে সম্পূর্ন ফিট আছেন, দুর্দান্ত একজন খেলোয়াড়। রমজান মাস চলায় এমনিতেই দিনের বেলা কিছু খায়নি। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে রমজান মাসের শুরুতে এফএ কাপের সেমিফাইনালে সারাদিন রোজা রেখে কি দূর্দান্ত খেলেছিলেন ‘। রাত সোয়া আটটার দিকে ইফতারের সময় হলেও আজ ম্যাচটি শুরু হয় রাত আটটায় যার কারণে কিছু খাওয়ার সময় পাননি।

ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রজার্স সাবধান রয়েছেন যাতে কোনো ইনজুরিতে না পরেন কারণ তার বর্তমান পারফরমেন্স নজরকাড়া। যদিও তিনি রোজা রেখে তার সামর্থের শতভাগ দিয়ে যাচ্ছেন। রজার্স জানেন ম্যাচের বিরতি সময়ে ইফতার হিসেবে হালকা যা খেয়েছিলো তা যথেষ্ট নয়।

লেস্টার বস আরো ব্যাখ্যা করেন, ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় তাকে তুলে নেওয়া হয় যাতে সে কিছু খেতে পারেন। তার মধ্যে অনেক প্রতিভা রয়েছে এমনকি সে রোজা রেখেও একই সাথে অনুশীলন এবং ম্যাচ খেলতেছে।

অবশেষে তাকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত টি সঠিক ছিল । কোনো গোল হজম না করেই তিন শূন্য ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে যায় লেস্টার সিটি যার ফলে পয়েন্ট টেবিলে তিনে উঠে এসেছে।


Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *