প্রকাশিকা

সর্বশেষ

যশোরের সেই পালিয়ে যাওয়া করোনা রোগীদের ধরলো পুলিশ

Share

ভারত থেকে আসা করোনায় সংক্রমিত যে সাত রোগী হাসপাতালে ভর্তির পর পালিয়ে গিয়েছিল পুলিশের সহায়তায় তাদের আবার হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গত রোববার করোনা পজিটিভ হয়ে আসা ১০ বাংলাদেশী রোগী যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে সাত জন ছিলেন ভারত থেকে আসা। আর ভারতে যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা তো সবারই জানা। তাই সেই সাত করোনা রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সারাদেশে বেশ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

তবে আশার কথা যে, তাদের অবস্থান শনাক্ত করে আবারও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভারত থেকে আসা করোনায় সংক্রমিত সাতজন গত আঠার থেকে চব্বিশ এপ্রিল এর মধ্যে দেশে আসেন যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে। তারপর তারা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই বাড়ি চলে গিয়েছিল তারা সাত জন সহ চিকিৎসাধীন দশ করোনা রোগী। বিষয়টি গত রোববার জানাজানি হলে সারাদেশে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে পুলিশ সেই সাতজনের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জানতে পারেন যে,রাজবাড়ীর একজন তার বোনের বাড়ি কুষ্টিয়ায় অবস্থান করছেন। এছাড়া নিজেদের বাড়িতেই খুলনায় তিনজন, সাতক্ষীরায় দইজন, যশোরে একজন অবস্থান করছেন।
পরে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ ওই সাতজন সহ মোট ১০ রোগীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। ইতোমধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি রোগীরাও হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) তৌহিদুল ইসলাম।জানা যায়, হাসপাতালে তাদের প্রত্যেককে নিজ জেলার সিভিল সার্জনের সহায়তায় অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয়েছে।
জানা যায়, দশ জন করোনা পজিটিভ রোগীকে শনি ও রোববার যশোর জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ভারত থেকে আসা সাতজন হলেন- যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়ার মণিমালা দত্ত, রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের নাসিমা আক্তার, কালীগঞ্জ উপজেলার শেফালি রানি সরদার, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের মিলন হোসেন, খুলনা সদর উপজেলার বিবেকান্দ, পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আমিরুল সানা ও রূপসা উপজেলার সোহেল সরদার । এরা সবাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই চলে গিয়েছিলো।


Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *