সরকার বর্তমানে চলমান লকডাউনের শেষ হবার পর গণপরিবহনের যাতায়াত খোলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমনটাই জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি দেশবাসীকে আহ্বান করেছেন লকডাউন শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি যেন মেনে চলা হয়। এর সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহারে তিনি জোর দিতে বলেছেন।
বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ শনিবার সকালে বরিশাল সড়ক জোনে, মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ভার্চ্যুয়ালি তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে সভায় যুক্ত হয়েছিলেন।
এ ব্যতিত তিনি আরও জানিয়েছেন, গণপরিবহনের দুর্ভোগ সম্পর্কে সরকার সচেতন। তাই গণ পরিবহন জনস্বার্থে খুলে দেওয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহনের যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল সে ভাড়া অতিরিক্ত আদায় করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও তিনি সাবধান করেন।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলোতে দেশ-বিদেশে যে মিথ্যা বার্তা ছড়ানো হচ্ছে, দেশের একটি রাজনৈতিক দল এর অর্থের জোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তিনি আরও বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সাইবার ক্রাইম যে সরকারের আওতাভুক্ত বা অ্যাকশনের বাইরে থাকবে, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা জনগণকেই দিতে হবে। এরূপ অপপ্রচার ও গুজব সামাজিক নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করে।
এছাড়া সভায় তিনি আর ও বলেন, ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিদের নির্দেশ প্রদান করেন। এরই সাথে বিআরটিসি ও বিআরটিএকে দালালচক্রের হাত থেকে মুক্ত রাখার কথা বলেন।