ক্যাম্পাস ভিউ

উত্তরবঙ্গের শিক্ষা প্রদীপ – হাবিপ্রবি

জীবনের অনেকটা সময় পেড়িয়ে,অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আমাদের জীবনে সাফল্যরূপে ধরা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন।

 

ক্যাম্পাস যেমন জ্যামিতিক আকৃতি সুন্দর করে, ঠিক তেমনি ক্যাম্পাস জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সৌন্দর্যময় করে তুলে আর তা যদি হয় প্রাণের সাড়া জাগানো ক্যাম্পাস-হাজী মোহাম্মাদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাহলে প্রাণভোমরা যেন নতুন করে উড়তে শিখে,নতুন করে স্বপ্ন বুনে।

 

১৩৫ একর জায়গায় নান্দনিক শৈল্পিকতায় গঠিত এ ক্যাম্পাস আমাদের অন্তরে বিশাল জায়গা করে আছে। 

২নং গেট মধ্যম ফটক হিসেবে ব্যবহৃত হলেও বাকি ২টা দিয়েও আমরা এই ভুস্বর্গে যাতায়াত করতে পারি। ভিতরে প্রবেশ করলেই যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়-ওয়াজেদ ভবন, কৃষি ভবন, ভেটেরিনারি ভবন, একাডেমিক ভবন এমনকি লাইব্রেরি এর প্রত্যেকটা কোণায়, সিড়িতে হাজারো স্মৃতি আর  ভালোবাসা জড়িয়ে আছে। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়ি বলেই নয় বরং আমাদের বিজ্ঞান অনুষদের ৪টি বিভাগ-পদার্থ, রসায়ন, গণিত আর পরিসংখ্যানে যেন বেশি নিবিড় হয়ে গেছি এই ক্যাম্পাসে।

 

লিচু বাগানের ওপাশটা কত শান্তির সবাই মিলে গল্প, আড্ডা, জন্মদিন উদযাপন হয়ে থাকে। শহীদ মিনার, লিমা চত্বর, গোল চত্ত্বর আবার কখনো বা লাইব্রেরির সামনে বসে বন্ধুদের গানের আড্ডা বা কখনো ঝাল মুড়ি খাওয়ার ধুম পড়ে। বিকেল বেলায় অনেককেই দেখতে পাওয়া যায় মাঠে খেলতে। টি.এস.সি তে বিকেল থেকে দেখা মেলে অনেক স্বপ্ন পূরণের দাবিদার এর যারা ভবিষ্যৎ নিয়ে মগ্ন থাকে। ফুলে, ফলে আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এই আমাদের ক্যাম্পাস যেন মায়ায় আচ্ছন্ন রাখে যে মায়া এড়ানো না যায়। ক্যাম্পাসের সামনের দিকটায় থাকে অনেকগুলো দোকান শাকিল ভাই এর দোকানের নাস্তা, উদয় দাদার দোকানের লেবু চা সিরিয়াল দিয়ে বসে গল্পে মজে থাকতে হয়। এক্টু সন্ধ্যা  নামলেই বাজার করার হিড়িক পরে যায়। বন্ধুদের ছাড়া তো কিছুই আনন্দময় না। পাশে বন্ধু -বান্ধবীরা আর এত সুন্দর মন মাতানো ক্যাম্পাস কি চাই আর..

READ MORE:  ahsanullah university of science and technology Campus | আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

করোনা মহামারী তে সবাই খুব মিস করি এই প্রাণকেন্দ্র কে সে যে পরিবারকে আগলে রাখার স্থান হয়ে গেছে। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের হৃদয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছে। 

 

জীবনানন্দ বলেছিলেন কবিতায়-

আমারে দুদন্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন। 

 

আমার মনে বাজে সর্বদা –

আমারে দুদন্ড শান্তি দিয়েছে 

হাজী মোহাম্মাদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

 

@লেখক

নাসরিন আক্তার

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *