প্রকাশিকা

আইপিএল এবার ইংল্যান্ডে!!!

শেয়ার করুন

এত তাড়াতাড়ি তাঁর স্বপ্ন পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা জাগবে নিশ্চয় ভাবতেও পারেননি সাদিক খান। লন্ডন শহরের ক্রীড়াপ্রেমী মেয়র সাদিক খান। তিনি কয়েক দিন আগেই লন্ডন শহরে আইপিএল আয়োজনের আশা জানিয়েছেন। মেয়র চেয়েছিলেন শহরের ভাবমূর্তি ও পর্যটনশিল্পের প্রসারের ঘটা। এই জন্য আইপিএল যা কিনা ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে লোভনীয় টুর্নামেন্টে। আর সেই টুর্নামেন্টের কিছু ম্যাচ লন্ডনে আয়োজন করতে চান। সেই আশা এখন পূরণ হবার পথে। ভারতে করোনার মহামারি রূপ ধারণ করায় স্থগিত হয়ে গেছে আইপিএল। তাই আইপিএলের স্থগিত হওয়াম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছা জানিয়েছে ইংলিশ কাউন্টির বেশ কিছু দল।

স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজন করতে চায় এমসিসি, সারে, ওয়ারউইকশায়ার ও ল্যাঙ্কাশায়ার। তারা ইতিমধ্যে উঠে পড়ে লেগেছে ম্যাচ আয়োজন করতে। এমনকি ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেলেছে এমসিসি, সারে, ওয়ারউইকশায়ার ও ল্যাঙ্কাশায়াররা। তাদের নিজ নিজ মাঠে খেলা আয়োজনের প্রস্তাব জানানোর জন্যই ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) হয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আয়োজন করতে চান এবং টুর্নামেন্টটি দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার একটি প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

সাদিক খানের স্বপ্ন পূরণ হবে যদি কিনা এমসিসি ও সারে নিজেদের মাঠে ম্যাচ আয়োজন করতে পারে। কারণ লর্ডস ও কিয়া ওভাল লন্ডনেই অবস্থিত। ওয়ারউইকশায়ার ও ল্যাঙ্কাশায়ারের মাঠেও বেশ জমবে আইপিএল। তাদের মাঠও কম বিখ্যাত নয়। অন্যদিকে বার্মিংহামের এজবাস্টন আর ম্যানচেস্টারের বিখ্যাত ওল্ড ট্রাফোর্ডে আইপিএলের ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাবও ফেলে দেওয়ার নয়। এই নিয়ে আজকে হয়ত খবর আসতে পারে। আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের আলোচনায় আইপিএলের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে কথা বলার সম্ভাবনা আছে।

ইংল্যান্ডে আইপিএল আয়োজন করতে বেশ কিছু যুক্তি দেখিয়েছে ইসিবি। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ক্রিকেটারদের ছন্দে রাখা। যেটা সামনে থাকা বিশ্বকাপে কাজে দিবে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ ভারত। যদি করোনার জন্য ভারতে আয়োজন সম্ভব না হয় তাহলে বিশ্বকাপটি সংযুক্ত আরব আমিরাতেই হবে। তাই এখন যদি আইপিএল সংযুক্ত আরব আমিরাতে হয় তাহলে তিন ভেন্যুর উইকেট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের অনুপযুক্ত হবে। এটি একটি বড় যুক্তি দেখানো হয়েছে।

আইপিএল স্থগিত হওয়ার পরই গত মঙ্গলবার থেকে শোনা গিয়েছিল আইপিএল আরব আমিরাতে নেওয়ার প্রস্তাব। সেইসময় আইপিএল আয়োজন নিয়ে কিছু জানায়নি ইংল্যান্ড। এখন তারা এতসব যুক্তি নিয়ে আইপিএল আয়োজন করতে চাচ্ছে। এমনকি গ্যালারিতে দর্শকসহ আইপিএল আয়োজন করতে পারবে তারা এমনটাই প্রস্তাব দিয়েছে কাউন্টি দলগুলো। যদি আয়োজন করেই তবে এতো কম সময়ে পারবে না। শেষ করতে হলে একই দিনে দুই বা তিনটি ম্যাচ আয়োজন করতে হবে। শুধু তাই নয় গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতেও কোনো ফাঁকা সূচিও রাখা যাবে না।

 

এতো সহজেই কি আর আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা যায়। কাউন্টি দলগুলোর প্রস্তাব গ্রহণ হওয়ার পথে বেশ কিছু বাধা আছে। করোনা মহামারির গতিপ্রকৃতি বার বার পরিবর্তন হচ্ছে। তার উপর ভারত থেকে বিশ্বকাপ সরানো হবে এমন সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। সারা বিশ্ব থেকে যুক্তরাজ্যে কোয়ারেন্টিন আইন মেনে খেলোয়াড় টেনে আনাও কঠিন। আবার ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে টেস্ট সিরিজ রয়েছে যা শেষ হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। এরপর ইংল্যান্ডের আরো দুটি সিরিজ আছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফর করার কথা। এ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবে প্রায় সব দেশ। তবে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ব্যস্ততা কম থাকায় এইসময় আইপিএল আয়োজন সম্ভব বলে আশা করছে কাউন্টি দলগুলো।

Leave a Comment