Every time when we are get frustrated we like to read something that makes us happier. bangla choti kahini choti kahini banglachotikahini be the better solution to get rid of this monotonous life. We are publishing bangla choti kahini regular stay with us to don’t miss another new comer.
সুমনা আমার সহপাঠি এবং চাচাতো বোন। একসাথে আমরা বড় হয়েছি| এমন কোন কথা নেই, আমরা পরস্পরকে শেয়ার করি না| ও আমার কাছে যতোটা বোন তার থেকে বন্ধু বেশি| মনের অসম্ভব মিল দুজনের| তখন দশম শ্রেণীতে পড়ি| ছেলে মেয়ে আমরা একসাথে একই ক্লাসে পড়তাম| ক্লাসের একপাশের কয়েকটা বেঞ্চে মেয়েরা বসতো, অন্যপাশের বেঞ্চে ছেলেরা বসতো তবে মেয়েরা ক্লাস শুরুর আগে মেয়েদের কমন রুমে থাকতো| ক্লাসের শুরুতে স্যারদের পিছু পিছু মেয়েরা আসতো, ক্লাস শেষে আবার নির্ধারিত কমন রুমে ওরা চলে যেতো bangla choti kahini
সেদিন সুমনা মাঝামাঝি একটা বেঞ্চে বসেছিলো| সেদিন গনিতের স্যার ছিলেন কৃপা সিন্দু দাস| এ পর্যন্ত যত শিক্ষককে ভয় পেয়েছি কৃপা স্যার ছিলেন সবচেয়ে এগিয়ে| ছাত্ররা জমের মতো ভয় পেতো|স্যার এক মনে সরল অংক বুঝিয়ে দিচ্ছেন| সবাই মনোযোগ সহকারে শুনছে, লিখছে কারণ পরে জিজ্ঞেস করলে কেউ না বুঝলে কেয়ামত হবে ওর
সুমনা অনেকক্ষণ থেকে কিছুই লিখছে না, ইতস্তত করছে| পাশে বসা রিনির সাথে চুপিচুপি কথা বলছে আর খুব উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে| স্যারের রক্ত চক্ষু এড়ায়নি সুমনাকে|
এই মেয়ে দাঁড়াও স্যারের হুংকার !
সুমনা ভয়ে ভয়ে দাঁড়ালো|bangla choti kahini
স্যার জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি অংকটা বুঝেছো| খাতায় কি লিখেছো ?
সুমনা নিশ্চুপ| নীচের দিকে তাকিয়ে ভয়ে কান্না লুকাবার বৃথা চেষ্টা করছে|
স্যারের মেজাজ চরমে উত্তর না পেয়ে| স্যার এবার টেবিল আর ব্ল্যাকবোর্ড ছেড়ে সুমনার কাছে এসে বললেন…খাতা কই দেখাও কি লিখেছো? খাতা এগিয়ে দিয়ে সুমনা বললো স্যার আমি অসুস্থ আমি লিখতে পারিনি! আমি বুঝতে পারছিলাম না, সুমনার সাথে স্কুলে আসলাম, তখনো অসুস্থতার কথা বলেনি সে| হঠাৎ কি হলো সুমনার|স্যারের চিন্তা সুমনাকে নিয়ে না, কেন সে অংক করেনি সেটা নিয়ে| স্যার হাতে বেত নিলেন টেবিলের উপর থেকে| বুঝতে পারছিলাম সুমনার কেয়ামত আসন্ন কিন্তু এই কেয়ামত যে এত ভয়ংকর হবে ভাবতেই পারিনি|স্যারের চিৎকার, অসুস্থ হলে স্কুলে আসার কি দরকার ছিলো সুমনা? কি অসুস্থ তুমি?bangla choti kahini
সুমনা নিশ্চুপ এবার ! চোখের জল গাল বেয়ে পড়ছে|স্যার এবার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে চিৎকার করলেন, পড়ায় মনোযোগ নাই আর এখন অসুস্থতার বাহানা…কোন কথাই বলছে না সুমনা| আমরা সবাই অনেকটা ভয়ে অস্থির|স্যার এবার সুমনাকে বেঞ্চে উঠে দাঁড়াতে বললেন, স্যারের যখন অনেক রাগ উঠে তখন হয় বেঞ্চে দাঁড় করিয়ে বলবেন হাত পাতো ! তারপর থপাস থপাস করে বেতের বাড়ি|আর নাহয় টেবিলের নীচে মাথা ঢুকিয়ে নীল ডাউন করে রেখে কোমরে বেত দিয়ে পিটাবেন|স্যার এ যাত্রা সুমনাকে বেঞ্চে দাঁড় করালেন জোর করে, ভয়ে সুমনা কুঁকড়ে গেছে, স্যারের এহেন কর্মকান্ডে আমার স্তম্ভিত কিন্তু ভয়ে কেউ কিছু বলছে না| সুমনা বেঞ্চে দাঁড়ালো, স্যারের নির্দেশে হাত সামনে এগিয়ে দিতেই ধপাস ধপাস করে বেতের বাড়ি শুরু হলো|সুমনা কেঁদেই যাচ্ছে, স্যারের বিন্দুমাত্র মায়া হলো না| এতক্ষণে খেয়াল হলো, সুমনার সাদা ধবধবে সালোয়ার রক্তে অনেক জায়গা লাল হয়ে গেছে।এতক্ষণে পাশে বসা নিরব সুমনার বান্ধবী সুপর্ণা আস্তে করে স্যারকে বললো স্যার ওর পেইন হচ্ছে খুব, ওর পিরিয়ড শুরু হয়েছে|স্যার এবার থামলেন, আর বললেন এসব নিয়ে স্কুলে আসার কি দরকার ! যত্তসব ফাজিল মেয়ে কোথাকার|ক্লাসে পিনপিতন নীরবতা| সুমনা বইয়ের ভাঁজে মুখ লুকাবার বৃথা চেষ্টা করছে| ছেলে সহপাঠিদের অনেকেই মুখ টিপে হাসছে| পিরিয়ড সম্পর্কে অল্প বিস্তর জ্ঞান থাকায় আমি নিশ্চুপ বসে আছি| সুমনার জন্য খুব খারাপ লাগছিলো কেবল স্যারকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে খুব মন চেয়েছিলো, স্যার আপনার মেয়ের আপনার স্ত্রীর কি পিরিয়ড হয়? স্যার আপনি ক্যামন করে জন্মেছিলেন !bangla choti kahini
স্যার আপনি কেমন করে জন্মেছিলেন?
নাহ ! আমি পারিনি, এতোটাই ভীতু ছিলাম যে সুমনার উপর স্যারের অন্যায় মার দেখেও নিশ্চুপ ছিলাম|নির্ধারিত ক্লাস শেষ হলে স্যার চলে যান, পিছু পিছু অন্যান্য ছাত্রীদের মতো সুমনা চোখ মুছে মুছে কমন রুমে চলে যায়|bangla choti kahini
স্যার চলে যাবার পর ক্লাসে হাসির রোল ! সুমনাকে নিয়ে যে যেভাবে পারছে মজা নিচ্ছে|vaginal bleeding, menses, cramps but no period
আমি লেকচার দিলাম কিন্তু তাদের হাসির রোল একটু ও কমেনি| গণিতের ক্লাস শেষ করে সুমনা কেঁদে কেঁদে বাড়ীর পথে পা বাঁড়ালো| আমিও ক্লাসে লজ্জাজনক অধ্যায় থেকে বাঁচতে বাকী ক্লাস রেখেই সুমনার সাথে পথ ধরলাম|সারা পথ সুমনা একটা কথাও বলেনি| শুধু আমাকে একবার অনুরোধ করেছে যেনো বাড়ীতে কিছু না জানাই, নাহলে লজ্জায় তাকে আত্মহত্যা করতে হবে| আমি বাড়ীতে কিছুই জানাইনি| রুমে এসে না খেয়ে শুয়ে পড়লো সুমনা| হঠাৎ আমাদের দেখে ঘাবড়ে গেলেন সুমনার মা, কি হয়েছে ওর !bangla choti kahini
আমি শুধু বললাম, পড়া পারেনি তাই স্যার লজ্জা দিয়েছেন|সুমনার আম্মা বললেন অনেক ভালো করেছেন , রাতে এত করি বলি পড়তে বোস, কে শোনে কার কথা| গল্পের বইয়ের মাঝে কি যে পেয়েছে ও, দিন রাত এইসব আউট গল্পের বই পড়তে থাকলে, রোজ তাকে এভাবে লজ্জা পেতে হবে|আমি চুপচাপ নিজের রুমে চলে আসলাম আর ভাবলাম, হায়রে মা ! নিজের মেয়েকেও বুঝতে পারেন না |বিকেলে পুকুর ঘাটে সুমনার সাথে আমার দেখা হলো, সুমনা বললো জানিস আমি অনেকদিন স্কুলে যেতে পারবো না, স্যার কি করে পারলেন আমাকে অপমান করতে|
আমার না লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো |আমি সান্ত্বনা দেয়ার বৃথা চেষ্টা করছি কিন্তু সে চোখের জলে বলেই যাচ্ছে জানিস আমার বেশ কমাস থেকে পিরিয়ড টাইম মতো হয় না , আমি তারিখ জানলে যেতাম না| আমি যে ডাক্তারের কাছে যাবো, কেন যাবো এসব কথা কাকে বলবো|
কেন তোর মাকে বল, আমি বললাম |bangla choti kahini
ধুর মাকে বলে লাভ নেই| সে বাবাকে এত ভয় পায়, কখনো বলবে না|
আমি কি বলবো সুমনা !
খবরদার কখনো এ কাজ করিস না !
সুমনা চলে যায় পুকুর ঘাট থেকে| সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে তখন| আমি ক্ষাণিক ডুবে যাওয়া সূর্যের দিকে তাকিয়ে ভাবছি এত ভুল সমাজে কি করে থাকবো, vaginal bleeding, menses, cramps but no period
যে জিনিসে লজ্জা পাওয়ার কথা সেখানে আমরা পাই না, আর যে জিনিসে লজ্জা নয়, বরং পরিষ্কার ধারণা দরকার সেখানে সব উদ্ভট চিন্তায় থাকি|আম্মুর ডাকে আমিও রুমের দিকে গেলাম| সূর্য তখন পশ্চিম আকাশে ডুবে গেছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মতো|সুমনা আমার শত অনুরোধের পরেও লজ্জায় অনেকদিন স্কুলে যায়নি, আর যখন গিয়েছে তখনো ছেলেদের বাক্যবানে জর্জরিত হয়েছে| সবচেয়ে পাজি ছেলে কোরবান ওকে জ্বালিয়েছে ,ওকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতো, জাতীয় পতাকার সবুজের সাথে আর কি রং থাকে রে…
আরেকজন বলে…লাল, লাল |
আমি কতোবার এ নিয়ে ঝগড়া করেছি এদের নিয়ে তা ইয়াত্তা নেই| কেউ কেউ বুঝতো তখন। আমাকে বলতো বাদ দে, এদের এসব বিষয়ে ধারণা নেই তাই এরা মজা নেয়|সুমনাসহ আমাদের একই বাড়ীতে মেয়ে কাজিনসহ আমার দুইবোন সহ সব মিলিয়ে তেরো জন|
আমি অনেকবার দেখেছি আমার এতগুলো বোন যারা তখন বড় হয়ে গিয়েছিলো তাদের পিরিয়ড নিয়ে বিব্রতকর মুহূর্তগুলো|bangla choti kahini
আমি তখন ক্লাস ফাইভে, দুনিয়ার এত কিছু বুঝি না| একবার রোজার মাসে দেখি আমার বড় আপু, আর আমার অন্যান্য দুজন কাজিন এক রুমের দরজা বন্ধ করে আছে| আমি আর আমার অন্য কাজিন ভাইয়ের মাথায় দুষ্টুমি আসলো, ঘরের ভেন্টিলেটর বরাবর সুপারি গাছ বেয়ে তখন ঘরের ভেতরের দৃশ্য দেখে হতবাক, তিনজন আপা ভাত খাচ্ছে তাও রোজার মাসে|নীচে এসে সোজা চিৎকার শুরু দেখো দেখো জুঁই আপুরা তিনজন মিলে দরজা বন্ধ করে ভাত খাচ্ছে|আম্মু আমাকে ধমকালে আমি শান্ত হই,ততক্ষণে বাবা চাচাদের কানে খবর চলে গেছে| vaginal bleeding, menses, cramps but no period
আম্মাকে না জানি আব্বু কি সব ধমক দিলেন|
সেদিন আমার বোনেরা সারাদিন দরজা খুলেনি| ইফতারেও আসেনি| আমি বুঝিনি সেদিন কি ভুল করেছিলাম |আম্মুকে একবার পানি খেতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম সবাই রোজা রাখলো তুমি রাখলা না ক্যান !
আম্মু মিষ্টি হেসে জবাব দিলেন, বাবা অসুস্থ হলে রোজা রাখার নিয়ম নেই |
তোমার অসুস্থ লাগে না আম্মু, আমার পাল্টা প্রশ্ন|
আম্মু এবার বিব্রত| তুই না এত কথা বলিস, আমার পেট ব্যাথা, পেট ব্যাথা কি বাইরে থেকে বোঝা যায় !আমি মাথা ঝাঁকিয়ে না বলে খেলতে চলে গেলাম| তখন এসব কিছুই বোঝতাম না, জানতাম না বলেই বিব্রতকর প্রশ্ন করতাম বোনদের, মা দের|bangla choti kahini
বাথরুমে গেলেই দেখতাম একটা পলিথিনে টেইলার্সের ঠুকরো ঠুকরো অব্যবহৃত কাপড়গুলো থাকতো|
তখন সেনেটারি প্যাডের নাম গন্ধ ছিলো না, থাকলেও সবাই কিনতো না, কাকে দিয়ে কিনাবে| মেয়েদের পিরিয়ড কালীন সময় ঐ অব্যবহৃত কাপড়গুলো প্যাড হিসেবে ব্যবহৃত হতো| তখন এসব জানতাম না দেখে আমি আম্মুকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম, আম্মু এই কাপড় কিসের ! আম্মু এবারও বিব্রত| দাঁতে দাঁত চেপে বললেন তোর মনে এত প্রশ্ন আসে কই থেকে| তোমার আব্বু যখন মাটির দলা দিয়ে কুলুপ ব্যবহার করে, তেমনি মেয়েরা কাপড় দিয়ে কুলুপ করে | এবার যাও, পড়তে বসো|আমি এবারও মাথা ঝাঁকিয়ে চলে গেলাম, মনে তখনো সন্দেহ রয়েই গেছে|bangla choti kahini
যখন আরেকটু বড় হই, পিরিয়ড সম্পর্কে পত্রিকা, ম্যাগাজিন পড়ে জানলাম, আর নিজের ফালতু প্রশ্নে নিজেই লজ্জা পেলাম|এসব অনেক ঘটনাই শৈশবের মনে পড়ছে| এখনো মেয়েরা পিরিয়ড নিয়ে বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখিন হয়| এখনো অনেক ছেলে মেয়ে বন্ধুদের বলে কিরে আজ রোজা রাখিসনি! বলেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে| মেয়েদের তখন অসহায় হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার থাকে না|vaginal bleeding, menses, cramps but no period
গত কয়েক বছর আগে একবার আম্মুর অসুস্থতায় ছোট বোনসহ আমরা ট্রেনে করে ডাক্তার দেখাতে ঢাকা যাচ্ছিলাম| সিলেট থেকে রওয়ানা দিয়ে অল্প দূর যেতেই আমার বোনের প্রথমবারের মতো পিরিয়াড শুরু হলে রক্তে ওর পাজামা ভিজে যায়, কান্না শুরু করে দেয়| অনেকে প্রশ্ন করে পাশের যাত্রীরা কি হইছে ভাই উনার ? আমি চটজলদি বললাম পিরিয়ড হইছে মানে মাসিক।ওরে বাবা.. ট্রেনের ভেতরে কি হাসির শব্দ, আমি ঝগড়া শুরু করেই দিচ্ছিলাম, আম্মু ইশারায় চুপ থাকতে বললেন, পাশের সিটে এক মহিলা তখন বলছে কি দিনকাল পড়েছে, ছেলেটার একটুও লজ্জা নাই |আম্মুর অনুরোধে চুপ করে থাকলাম, আমার বোন লজ্জায় কুঁকড়ে গেছে, হাত ধরে আমি ওকে ট্রেনের বাথরুমে নিয়ে বাইরে দাঁড়ালাম| vaginal bleeding, menses, cramps but no period
ভরসার হাত রাখলাম ওর হাতে| আমাদের মানসিকতা এত নিম্ন না হলে এটা নিয়ে বিনোদনের খোরাক বানাতাম না| পিরিয়ড কালীন সময় একটা মেয়ে কতোটা পেইন সহ্য করে তা কেবল মেয়েরাই জানে| অথচ অনেকেই আমরা এখনো জানি না যে একটা মেয়ের জীবনে পিরিয়ড একটা স্বাভাবিক ঘটনা|আমরা এও জানি না, একজন নারী পিরিয়ডের মধ্য দিয়েই ভবিষ্যৎ মা হওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত করে। যা একজন নারীর শারীরিক নিয়মাধীন প্রক্রিয়ার শুরুই নয় বরং নিশ্চিত করে একজন নারীর সুস্থতাও।প্রত্যেক মায়ের উচিত এটা নিয়ে মেয়েদের সাথে সাথে ছেলেদের পরিচিত করিয়ে দেয়া তাহলে অদূর ভবিষ্যৎ এ পিরিয়ড নিয়ে ছেলেরা মজা নেবে না| vaginal bleeding, menses, cramps but no period
কৃপা দাস স্যার একবার খুব অসুস্থ হয়ে গেলেন, তখন আমাদের সাথে সুমনাও দেখতে গেলো স্যারকে|
স্যার ওর কাছে সেদিন ক্ষমা চাইলেন, না বুঝে ওকে মারার জন্য|স্যারের চোখে অনুতাপের জল আর সুমনার চোখে স্যারের প্রতি ভালোবাসার জল উপস্থিত সবার চোখে জল এনে দিয়েছিলো সেদিন|
Leave a Reply