ভোগান্তি কমাতে ব্যাচেলরদের জন্য সহজ রান্নার রেসিপি
ব্যাচেলরদের রান্না করা একটি অত্যন্ত ঝামেলার কাজ। তাই আজ নিয়ে এলাম কয়টি ঝটপট সহজ রান্নার রেসিপি শুধুমাত্র ব্যাচেলরদের জন্য। ব্যাচেলর ভাই ও বোনেরা সারাটা দিন খাটাখাটনি করে ঘরে ফিরে দেখেন বিদ্যুৎ নাই, পানি নাই , গ্যাস নাই । এর ভিতরেই হয়ত বাজার করেছেন , এখন রান্না করতে হবে । যেহেতু অনেক কিছুই নাই এবং থাকলেও তার বিল অনেক বেশি , তাই যথা সম্ভব কম খরচ করে রান্না ও এর যোগাড় যন্ত্র , পরিশেষে ধোয়া পাকলার দিকে লক্ষ্য রেখে এই পোস্ট ।
খিচুড়ী রেসিপিঃ ব্যাচেলরদের জন্য খিচুড়ি বেস্ট। প্রথমেই একটু কষ্ট করে পেঁয়াজ আর মরিচ কেটে নিতে হবে। বাজার থেকে আগেই রসুন আর আদা বাটা কিনে রাখতে হবে। এরপর একটা হাঁড়িতে পরিমান মত চাল আর ডাল নিতে হবে। যদি খুব বেশি অলস না হোন, তবে অবশ্যই ধুয়ে নিবেন। না ধুইলেও সমস্যা নেই, রান্না করলে কোন জীবানু থাকে না। অতঃপর চাল-ডালের মিশ্রণে পেঁয়াজ, মরিচ, আদা-রসুন বাটা, তেল, মরিচের গুড়া, হলুদের গুড়া আর লবন দিয়ে মাখিয়ে দিতে হবে। এরপর তার মধ্যে বেশি করে পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। আর হ্যা, মনে করে অবশ্যই চুলায় আগুন ধরিয়ে নিতে হবে, তা না হলে খিচুড়ী কাচা কাচা থাকবে, আর স্বাদও হবে না। এরপর যতক্ষণ পর্যন্ত হাড়ির পানি না শুকায়, ততোক্ষণ পর্যন্ত ফেসবুক চালাতে পারেন বা ইউটিউব দেখতে পারেন। পানি শুকিয়ে গেলেই নামিয়ে ফেলতে হবে। আর এভাবেই হয়ে যাবে “ মজাদার খিচুড়ী।
মজাদার নুডলস রেসিপিঃ এই রেসিপি তুলনামুলক বেশি সহজ অলসদের জন্য। দোকান থেকে যেকোনো নুডলসের প্যাকেট কিনে এনে পরিমানমত গরম পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল আপনার নুডলস।
ফ্রুট সালাদ : আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিয়ে ফলমূল খাওয়া অভ্যাস করতে পারেন। এজন্য অল্প করে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল কিনুন। তা পরিষ্কার করে ধুয়ে তারপর কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এছাড়া স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য লবণ, মসলা ইত্যাদি দিতে পারে। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল ফ্রুটস সালাদ।
ডিম স্যান্ডউইচ: খুবই পুষ্টিকর খাবার ডিম। এটি রান্না কিংবা পোচ করা খুবই সহজ। একটি ডিম পোচ করে তা দুটি পাউরুটির ভেতরে রেখে স্যান্ডউইচ বানাতে পারেন। এছাড়া সেদ্ধ করেও সহজে ডিম খাওয়ার উপযোগী করা যায়।
ডিমের তরকারি: ডিমে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম, ভিটামিন ডি, বি৬ ও বি১২ রয়েছে। আর মিনারেলস হিসেবে রয়েছে জিঙ্ক, আয়রন ও কপার। ঠিক এ কারণেই ব্যাচেলরদের জন্যে ডিমের থেকে পুষ্টিকর খাদ্য হতেই পারে না।
তেল গরম করে তাতে সিদ্ধ ডিম ভেজে ফেলতে হবে। এবার ওই তেলে পেয়াজ ভেজে বাদামী হলে তাতে এলাচ,দারচিনি,লবঙ্গ দিয়ে নেড়ে রসুনকুচি দিয়ে ভালকরে ভাজতে হবে। এবার এতে একে একে টমেটও, জিরা, হ্লুদ, মরিচ, লবন দিয়ে ও আলু দিয়ে নেড়ে পানি দিয়ে কষাতে হবে। কষানো হলে ডিম দিয়ে নেড়ে ২ কাপ পানি দিয়া ঢাকনা দিয়া দিতে হবে। এবার পানি শুকালে মাখামাখা হলে নামিয়ে ধনে পাতা দিয়া গারনিশ করতে হবে। চাইলে ধনেপাতাও দেয়া যাবে স্বাদ বৃদ্ধি করতে চাইলে। এভাবে তৈরি হবে ডিমের তরকারি।
এভাবে আপনি কম খরচে কম কষ্টে পুষ্টিকর খাবার বানিয়ে খেতে পারেন। আর হ্যা, জলদি বিয়ে করুন। তাহলে বউ এর হাতের মজার রান্না খেতে পারবেন।