কী এবং কেন?ইসলামইসলামিক বিষয়াদি

কুকুর পোষা হালাল না হারাম?

 

কুকুর পোষা হারাম। তবে তিনটি উদ্দেশ্যে কুকুরকে ব্যবহার করা যাবে। 

  ১. বাড়ি পাহাড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ির বাইরে রাখা যাবে। 

 ২. শিকারের উদ্দেশ্যে কুকুরকে ব্যবহার করা যাবে। 

 ৩. শস্য উৎপাদনের উদ্দেশ্যে কুকুরকে ব্যবহার করা যাবে। 

 

উপরের তিনটি উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য যেকোনো উদ্দেশ্যেই কুকুর পালন করা, পোষা সম্পূর্ণ হারাম। 

 

এবার ইসলামের দৃষ্টিতে কুকুর পালন বিষয়ে উপরের তিনটি পয়েন্ট সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানবো। 

 

সহি হাদিস বুখারী শরীফ এর তথ্যানুযায়ী, মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে, যে ঘরে কুকুর থাকে ও কোন জীব জন্তুর ছবি থাকে সে ঘরে কোন রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না। এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়। বাড়ি পাহারার উদ্দেশ্যে কুকুরকে বাড়ির বাইরে রাখলে কোন সমস্যা নেই। সেক্ষেত্রে রহমতের ফেরেশতা ঐ বাড়িতে প্রবেশ করবেন। আবার ফেরেশতাদের মধ্যে রহমতের ফেরেশতার কথা বলা হয়েছে। যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য রহমতের কাজে নিয়োজিত থাকার জন্য হাজির হন। এছাড়াও বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ফেরেশতাগণ রয়েছেন তাদের কথা কিন্তু বলা হয়নি ; যেমন মানুষের জান কবজ করার জন্য নিয়োজিত ফেরেশতা আজরাইল (আঃ)। তিনি আল্লাহর নির্দেশে সকল অবস্থায় সব জায়গায় যেতে সক্ষম। এক্ষেত্রে কুকুর যদি উল্লেখিত তিনটি উদ্দেশ্য ব্যতীত ঘরে অবস্থান ও করে তবুও তিনি সেখানে উপস্থিত হতে সক্ষম এবং প্রয়োজনে উপস্থিত হবেনও।

 

সহি হাদিস মুসলিম এর তথ্য অনুযায়ী মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে, শিকার করা, গবাদিপশু ও শস্য পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া যে ব্যক্তি কুকুর পালন করে প্রতিদিন তার দুই কিরাত  সমপরিমাণ নেকি কমে যায়। জান যায়, উহুদ পাহাড় এর সমপরিমাণ হলো এক কিরাত।

 

দেখা যাচ্ছে কুকুর পালন বিষয়ে মহানবী (সাঃ) যে সব উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন সেখানে শখ করে কুকুর পোষার কথা বলেননি। অর্থাৎ সে মোতাবেক শখ করে কুকুর পোষাকে চোখ বন্ধ করে ইসলামের দৃষ্টিতে নিষেধ মানতে হবে। এরপরও কোন বিরোধিতাকারী যদি তা মানতে না চায় তাদের জন্য বিজ্ঞান কি বলে আমরা এখন দেখবো। 

 

চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কুকুরের শরীরে মারাত্মক ধরনের কিছু জীবাণু রয়েছে মানুষের সংস্পর্শে আসলে যেগুলো স্থায়ী  রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। এতে করে মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের স্বাভাবিক আকারের পরিবর্তন হতে পারে। যা একজন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর। আবার বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছেন যে কুকুরের মুখের লালা জলাতঙ্ক রোগের জন্য দায়ী। আল্লাহর সৃষ্ট  জীব হিসেবে যদি কুকুরকে আদর করতে হয় তবে কুকুরের মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করার বিধান রয়েছে কারন কুকুরের শরীরের এই একটি জায়গায় সে তার জিহ্বা পৌঁছাতে পারেনা। 

 

যেহেতু আল্লাহ সর্ব জ্ঞানী, সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী এজন্যই তিনি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার এর অনেক আগেই কুকুরের লালা কে ইসলামে হারাম করে দিয়েছেন মানুষেরই কল্যাণের জন্য। অথচ মানুষ অবুঝ হয়ে, বিকৃত চাহিদার বশবর্তী হয়ে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে কুকুরকে শখে পুষে থাকে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের থেকেও অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে এই কুকুরকে। এতে করে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করার সাথে সাথে নিজেদেরও বিপদ ডেকে আনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link