Make money Online

ইউটিউব থেকে আয় করুন কোন ভিডিও না বানিয়ে make quick money online

পর্ব – ৫

পূর্বের ব্লগে আমরা জেনেছি কীভাবে খুব সহজে গ্রাফিক্স ডিজাইন, অনলাইন সার্ভে এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়। তবে আজ আমরা জানবো ইউটিউব থেকে আয় সহ আকর্ষণীয় কয়েকটি সাইট সম্পর্কে। যে সাইট গুলো থেকেও আমরা ধারাবাহিকভাবে আকর্ষণীয় ইনকাম করতে পরবো।

In previous blogs we have learned best ways to make money from home through graphic design, make money taking surveys and affiliate marketing. But today we will know about some interesting sites including income from YouTube. From those sites we will be able to consistently make interesting income.

তবে চলুন শুরু করা যাক,

  • ইউটিউবে ভিডিও না বানিয়ে থেকে ইনকাম
  • ট্রান্সক্রিপশন করে ইনকাম
  • ফ্রিতে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস বানিয়ে ইনকাম
  • ফেসবুক থেকে ইনকাম 
  • পিটিসি করে ইনকাম
  • ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব কাস্টমাইজেশন করে ইনকাম

 

 

 (৫) ইউটিউবে ভিডিও না বানিয়ে থেকে ইনকাম

 

 বর্তমানে পৃথিবীর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সোসিয়াল মিডিয়া গুলোর ভেতর একটি হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউব কেন এত বেশি জনপ্রিয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ মানুষ সাধারণত কোন কিছু দেখতে বা শুনতে পছন্দ করে। ইউটিউব থেকে আয়

বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে প্রচুর পরিমানের ইউটিউব চ্যানেল গুলোর আবির্ভাব হচ্ছে। তাই আপনি প্রচুর পরিমাণে বাংলা ইউটিউব চ্যানেল দেখতে পারবেন। এখন কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করবেন?

ইউটিউবে ইনকাম করার প্রধান শর্ত হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই ভিডিও বানাতে হবে এটি আমরা সবাই জানি। তবে আমরা যেটি নিয়ে চিন্তিত থাকি সেটি হচ্ছে আমাদের ইউটিউব ভিডিও গুলো কেন বেশি  ভিউ পায় না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আপনি ইউটিউব চ্যানেল এই ভিডিও তো আপলোড দিয়ে থাকেন কিন্তু সে ভিডিও গুলোর রেজুলেশন এবং দেখার  কোয়ালিটি ভালো না হয় মানুষ সেগুলো দেখতে আগ্রহ পায় না। এজন্য আপনি যে কাজগুলো করতে পারেন তা হচ্ছে। এর উপর আপনি যদি অন্যের ভিডিও নিয়ে আপনার নিজস্ব চ্যানেলে আপলোড দিয়ে থাকেন তাহলে এই ভিডিও কপিরাইট ইস্যুতে পড়ে এবং দেখা যায় ভিডিও ব্যান হওয়ার সাথে সাথে আপনার চ্যানেলটি  ব্যান হয়ে যায়।

সেজন্য অনেকগুলো কপিরাইট ফ্রি ভিডিও কনটেন্ট প্রোভাইডার সাইট রয়েছে যেগুলো আপনাকে কপিরাইট ফ্রি ভিডিও দিয়ে থাকে এবং সেগুলো আপলোড করলে আপনার কোন কপিরাইট ইস্যু আসবে না।  ভিডিও গুলো ডাউনলোড করে আপনার নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করে সেগুলো আবার ইউটিউবে আপলোড করার মাধ্যমে আপনি গুগল এডসেন্সে মনিটাইজেশন পাবেন এবং সে মনিটাইজেশন থেকে আপনার ইনকাম হবে। এছাড়া ইউটিউব থেকে কপিরাইট ফ্রি ভিডিও ডাউনলোড করে আপনি আপলোড দিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন পাওয়ার শর্ত হচ্ছে এক বছর সময়ে এর ভিতর  আপনাকে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম গেইন করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ইউটিউব থেকে কিভাবে কপিরাইট ফ্রি ভিডিও ডাউনলোড করব?

 

 

(৬) ট্রান্সক্রিপশন করে ইনকাম 

 

 আমরা কি কখনো ট্রানস্ক্রিপশন শব্দটি  শুনেছি। ট্রানস্ক্রিপশন এর বাংলা প্রতিলিপন। কঠিন মনে হচ্ছে? আসুন একটু সহজ ভাবে বোঝার চেষ্টা করি। ট্রান্সক্রিপশনের কাজগুলো হচ্ছে একটি অডিও কে টেক্সট বা লিখে প্রকাশ করা।

হঠাৎ আপনাকে একটি, ২ থেকে ৩ মিনিটের অডিও বা ভিডিও দেওয়া হবে। আপনাকে সেই অডিও বা ভিডিও টি শুনে সেটিকে টেক্সট বা লেখায় প্রকাশ করতে হবে। এমন অনেকগুলো ট্রানস্ক্রিপশন সাইট রয়েছে যেগুলো থেকে 1 ঘন্টায় 20 থেকে 30 ডলার ইনকাম করতে পারবে। 

 অধিকাংশ  ট্রানস্ক্রিপশন সাইটগুলোতে তারা  নিজের কর্মী নিয়োগ করে থাকে অর্থাৎ আপনি যদি সেখানে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে এপ্লাই করতে হলে একটি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ট্রানস্ক্রিপশন সাইটের পরীক্ষা গুলোর উত্তর কোথায় পাবো?

 

 আসুন কয়েকটি ট্রান্সক্রিপশন সাইট দেখে আসি

 

 

আর ও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং কি?

আর ও পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম হালাল না হারাম?

 

 

(৭) অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস

 

অ্যাপ বা অ্যাপ্লিকেশন তো আমরা সবাই চিনি। এন্ড্রয়েড ইউজাররা  তো প্লে স্টোরে গিয়ে ইচ্ছামত আমাদের  অ্যাপ গুলো ডাউনলোড করে থাকি। আমরা তো এতদিন প্লে স্টোর থেকে নিজেদের পছন্দ মত অ্যাপ ডাউনলোড করেছি মাঝে মাঝে হয়ত ভেবেওছি আমাদের যদি নিজের একটি অ্যাপ থাকত! 

আজ নিজেদের অ্যাপ নিয়েই কথা বলবো এবং এই লিখাটি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আপনিও অ্যাপ বানিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

আমরা অনেকেই জানি যে অ্যাপ সাধারনত যারা বানিয়ে থাকেন তারা সবাই কোডিং এর মাধ্যমেই অ্যাপ ডেভেলপ করে থাকেন। তাদের বলা হয় অ্যাপ ডেভেলপার।

তবে এমন কিছু সাইট আছে যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছা মত অ্যাপ সাজিয়ে নিতে পারবেন কোন প্রকার কোডিং ছাড়া। 

এটা তো গেল আপনার অ্যাপ বানানো এবার আপনার ইনকাম এর পালা। আমরা অনেকেই লক্ষ্য করে থাকবো আমরা যখন প্লে স্টোর থেকে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করে চালাই সেখানে নানা রকম  Ads আসে। আমাদের ইনকাম ও এই এড থেকেই হবে। 

শুধু Admob এ একটি একাউন্ট খুলতে হবে এবং সেখান থেকে একটি কোড এনে আপনি  যে সাইটে অ্যাপ বানাচ্ছেন সেখানে পেস্ট করবেন কাজ শেষ।

এরপর যে অ্যাপটি ওপেন করবে সে দেখতে পাবে Ads গুলো এবং Ads দেখা এবং ক্লিক করার জন্য আপনার একাউন্টে টাকা জমা হতে থাকবে।ইউটিউব থেকে আয়

 

 

(৮) ফেসবুক পেইজ থেকে ইনকাম

 

বর্তমানে পৃথিবীর সব থেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ফেসবুক। আমরা সবাই ফেসবুক চালাই কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবেছি এই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা সম্ভব!  আপনি যদি কনফিউজড হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কনফিউশন এখনি দূর করে দিচ্ছি।

আপনি অনেক ই কমার্স সাইট দেখে থাকবেন। যেখানে তারা নানা রকম প্রোডাক্ট বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণ আয় করে থাকেন। আপনি একবার ও ভেবে দেখেছেন এই প্রোডাক্ট গুলো কি তাদের নিজস্ব? 

 আসলে কোন প্রোডাক্টই তাদের নিজস্ব না। বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট এসব সাইট গুলোতে প্রমোট বা প্রচারের জন্য দিয়ে থাকেন। আর এই সব ই কমার্স সাইট গুলো শুধু মাত্র তাদের পণ্য গুলো  প্রচার এবং ডেলিভারি করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। তাদের কোন প্রোডাকশন প্রসেস না থাকা সত্ত্বেও।

 এখন আসি আপনার facebook-এ আপনি কিভাবে একটি ই-কমার্স বিজনেস এ রূপান্তরিত করবেন।  ই-কমার্স সাইট গুলোর মত আপনিও আপনার একটি ফেসবুক পেজ খুলবেন এবং সেখানে আপনার কন্টাক্ট কৃত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অন্যের ছবি এনে আপনার ফেসবুক পেজে দিয়ে রাখবেন। এবং যখন সে পণ্যগুলো আপনার ফেসবুক পেজ থেকে বিক্রি হবে তখন আপনি সেই বিক্রির একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা সেই পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়ে নিবেন।

 আমরা বাঙ্গালী হিসেবে সবাই জানি ফেসবুকের প্রতি আমাদের আসক্তি এবং ফেসবুকে আমরা কি পরিমাণ সময় দিয়ে থাকি। তাই আপনার পণ্য যদি ভাল মানের হয়ে থাকে তাহলে তা  কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অবশ্যই সমর্থ হবে এবং আপনি শুধুমাত্র অন্যের ছবি দিয়ে এবং শর্তসাপেক্ষে ডেলিভারি যদি দিতে চান সে ক্ষেত্রে মাসে একটি ভালো পরিমাণ অ্যামাউন্ট উপার্জন করতে পারবেন।ইউটিউব থেকে আয়

 

 

(৯) পিটিসি 

 

পিটিসির পূর্ণরূপ হচ্ছে পেইড-টু-ক্লিক। সাইট গুলোতে প্রধান কাজ হচ্ছে আপনাকে তাদের যে অ্যাড গুলো রয়েছে তা দেখতে হবে এবং তাতে ক্লিক করতে হবে। এছাড়া অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইট গুলো প্রমোট করার জন্য অর্থাৎ  তাদের সাইট গুলোতে ভিজিট বাড়ানোর জন্য দিয়ে থাকে। এবং আপনি এসব সাইটগুলো ভিজিট করা অথবা এডভেটাইজ গুলো তে ক্লিক করে টাকা উপার্জন করবেন।অনেকগুলি পিটিসি সাইট রয়েছে যেগুলো থেকে ভালো পরিমাণ ইনকাম করা যায় তবে অনেকগুলো সাইট এমনও রয়েছে যেগুলো  সম্পূর্ণ ভুয়া।ইউটিউব থেকে আয়

 জনপ্রিয় কিছু পিটিসি সাইট গুলো হচ্ছে

  • NeoBux 
  • GPTPlanet 
  • ojooo
  • clixblue 
  • ClixSense 
  • FamilyClix 
  • Scarlet Click 

 

 

(১০) ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েব কাস্টমাইজেশন 

 

বর্তমান সময়ে সবথেকে আলোচিত এবং ডিমান্ডেবল যে  স্কিল  বা দক্ষতা  টি রয়েছে সেটি হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। এর ডিমান্ড  অনেক বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে, সবাই এ দক্ষতা অর্জন করতে  পারে না।ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর প্রধান কাজ হচ্ছে কোডিং। Php, জাভা,  জাভাস্ক্রিপ্ট, বুটস্ট্রাপ, css  ওয়েব ডেভলপমেন্টের জনপ্রিয় সব  কোডিং রিসোর্স। আপনি নিজের সময়কে কাজে লাগিয়ে যদি একবার ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ গুলো শিখতে পারেন তাহলে দিন প্রতি ১৫00 ডলার বা এক লাখ টাকার উপর ইনকাম  করাও একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।ইউটিউব থেকে আয়

 ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন

 বর্তমান সময়ের  কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট প্রোভাইডার হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস উইব্লি ব্লগার ইত্যাদি। কোডিং করে বা কোডিং না করে শুধুমাত্র নানা রকম প্লাগিন যোগ করে  সাইটটি নিজের মত করে কাস্টমাইজ করা হচ্ছে ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন। ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর কাজের একটি ভালো ডিমান্ড রয়েছে আপনি নানারকম মার্কেটপ্লেস গুলোতে এই ধরনের  কাজগুলোর একটি পরিমাণ অ্যামাউন্ট উপার্জন করতে পারেন। মার্কেটপ্লেস গুলো হচ্ছে

  • Fiver.com
  • Upwork.com
  • Freelancer.com
  • Peopleperhour.com

 

 

আর ও পড়ুনঃ লিখে আয় করুন

 

আর ও পড়ুনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম 

 

আর ও পড়ুনঃ অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম

 

আর ও পড়ুনঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link