প্রকাশিকা

সর্বশেষ

সন্ধান পাওয়া গেল নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ

Share

অবশেষে সন্ধান মিললো নিখোঁজ হওয়া ইন্দোনেশিয়ান সাবমেরিন এর ধ্বংসাবশেষ ।

শনিবার ভোরে যাদের অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল, এমন ৫৩ জন ক্রু সদস্যের বেঁচে থাকার আশা ম্লান হওয়ার সাথে সাথে সর্বশেষ আপডেটটি এসেছে। যদিও এখনও অবধি তাদের কোনও চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

গত ২১ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের উত্তরে মহড়ার সময় ৫৩ নাবিকসহ নিখোজ হওয়া ৪৪ বছরের পুরনো সাবমেরিনটির সঠিক অবস্থান জানা না গেলেও এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে এবং তল্লাশি অব্যাহত থাকবে, ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী প্রধান ইউডো মারগোনো এমনটি বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধান ইউডো মারগোনো বলেছেন যে, যতদূর মনে হচ্ছে সাবমেরিনটির বিস্ফোরণ হয় নি তবে জাহাজের উপর প্রচণ্ড চাপ সম্ভবত একটি ফাটল সৃষ্টি করেছিল।

সংবাদ সম্মেলনে সাবমেরিন থেকে ছয় টুকরা ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে বলা হয়েছে । ইউডো জানিয়েছেন, সাবমেরিনটি নিখোঁজ হওয়ার আগে যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল, সেখান থেকে প্রায় দুই মাইল দূরে আইটেমগুলি পাওয়া গিয়েছে এবং এতে একটি বোতল গ্রিজ, টর্পেডো লঞ্চের একটি অংশ, একটি ধাতব নলের অংশ, জায়নামাজ এবং জ্বালানি রয়েছে।

তিনি বলেন, স্কেন করে ধ্বংসাবশেষটি এমন জায়গায় ভাসমান অবস্থায় শনাক্ত করা গিয়েছে যেখানে সমুদ্র ৮৫০ মিটার (৯৩০ গজ) গভীর। এ গভীরতা জলযানটির স্বাভাবিক সীমার অনেক নিচে বলে জানা গিয়েছে।এই গভীরতায় অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাই অত্যন্ত দক্ষতা ও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
জুলিয়াস উইদজোজোনো, ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ডিজেল-বিদ্যুৎ চালিত সাবমেরিনটি সর্বাধিক ৫০০ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে সক্ষম, এর বেশি গভীরে গেলে পানির চাপে তা ধ্বংস হয়ে যাবে।
আর ইন্দোনেশিয়ার বালি সাগরের গড় গভীরতা এক হাজার ৫০০ মিটার।

সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় সাবমেরিনটি সর্বশেষ যে এলাকায় অবস্থান করছিলো সাগরের ওই এলাকায় উদ্ধারকারীরা এক ডজনেরও বেশি তল্লাশি হেলিকপ্টার ও জাহাজ পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারত উদ্ধার কাজে সহায়তা দিচ্ছে।

গত বুধবার কেআরআই নাংগালা-৪০২ নামক সাবমেরিনটি এক সামরিক মহড়ায় টপের্ডো অনুশীলনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ইন্দোনেশিয়ার বালি সাগরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিখোঁজ হয়।নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর সন্ধান পাওয়া গেল সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ এর।


Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *